আল্লাহ পাককে "উপর ওয়ালা" বলার হুকুম
প্রশ্ন: আল্লাহ পাককে "উপর ওয়ালা" বলার হুকুম কী?*
*উত্তর:* আল্লাহ পাকের জাত বা ব্যক্তিসত্তার জন্য "উপর ওয়ালা" শব্দ বলা কুফরী। কেননা, এ শব্দ দ্বারা তাঁর জন্য দিক প্রমাণ হয় । আর তাঁর ব্যাক্তিসত্তা দিক থেকে পবিত্র।
কিন্তু হ্যাঁ, যদি কেউ এ শব্দ আল্লাহর সর্বোচ্চ মর্যাদার অর্থে ব্যবহার করে, তাহলে কুফরী হবে না। কিন্তু তবুও বলা নিষিদ্ধ।
শাইখ নাজমুদ্দীন উমর বিন মুহাম্মদ নাসাফী আলাইহির রহমা বলেন:
ولا يتمكن في مكان
অর্থাৎ:- সৃষ্টিকর্তা কোন স্থানে অধিষ্ঠিত নন।
এর ব্যাখ্যায় আল্লামা সা'দুদ্দীন তাফতাযানী আলাইহির রহমা বলেন:
و اذ لم يكن في مكان لم يكن في جهة لا علو ولا سفل ولا غيرهما
অর্থাৎ: এবং তিনি যখন কোন স্থানে অধিষ্ঠিত নন, তখন তিনি কোন দিকেও থাকবেন না। না নিচে বা উপরে বা অন্য কোথাও। (শারহে আক্বাঈদ 63)
হযরত আল্লামা ইবনে নুজাইম মিসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন:
فان قال الله في السماء فان قصد حكاية ما جاء في ظاهر الاخبار لا يكفر و ان اراد المكان كفر و ان لم يكن له نية كفر عند الاكثر وهو الاصح و عليه الفتوى
অর্থাৎ:- যদি কেউ বলে যে আল্লাহ আরশের মধ্যে আছে। আর এ থেকে যদি এই উদ্দেশ্যে হয়, যা বাহ্যিকরূপে হাদীস সমুহের মধ্যে এসেছে সেই ঘটনা বর্ণনা করা, তাহলে কুফরী হবে না। আর যদি কিছুই উদ্দেশ্যে না হয় তবুও অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামের দৃষ্টিতে কুফরী। আর এটাই সর্ব শুদ্ধ মত ও এরই উপর ফাতওয়া রয়েছে"। (বাহরুর রায়েক 5/120, প্রকাশিত, H M সায়িদ কম্পানি কারাচী)
হুযূর ফাক্বীহে মিল্লাত আলাইহির রহমা বলেন:
"কিন্তু যদি কোন ব্যক্তি এই (উপর ওয়ালা) শব্দ (আল্লাহর) মহত্ব ও সর্বোচ্চ মর্যাদার অর্থে ব্যবহার করে, তাহলে বক্তার প্রতি কুফরের হুকুম লাগানো যাবে না। কিন্তু এই কথাকে খারাপই বলতে হবে এবং বক্তাকে তা থেকে নিষেধ করতে হবে"। (ফাতাওয়া ফায়যূর রসূল 1/2)
والله اعلم بالصواب
✍️ মুফতী গুলজার আলী মিসবাহী
🌎 হেমতাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত🌎
Comments -