KeyOfIslam
Welcome To KeyOfIslam.com. KeyOfIslam is the platform to spread love and brotherhood among all people through the light of Prophet Mohammad(peace be upon him), the Final Messanger of Allah. Here you will get informations with precision.
Individual Articles
New year celebration ও Happy New year বলা শরিয়তে বৈধ কিনা? Mufti Gulzar misbahi
*New year night Celebration* প্রশ্ন:- কি বলেন ওলামায়ে কেরাম এ মাসআলা প্রসঙ্গে যে, New year night Celebration -এ যাওয়া এবং Happy New Year বলা শরীয়তে জায়েয আছে কি না? দলীল সহকারে উত্তর প্রদান করবেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রতিদান দেয়া হবে। প্রশ্নকারী: আব্দুর রহীম, মোথাবাড়ি, মালদা। بسم الله الرحمن الرحیم الجواب بعون الوھاب اللھم ھدایة الحق والصواب উত্তর:- যদি সেখানে নাজায়েয কর্ম যেমন- গান-বাজনা করা হয়, নাচানাচি করা হয়, মদ খাওয়া হয়, ভাটকা ফাটানো হয়, পরনারী ও পরপুরুষের সাথে মেলামেশা করা হয় ও হাসিঠাট্টা ইত্যাদি করা হয়, তাহলে এরূপ New year night Celebration -এ অংশগ্রহণ করা হল সম্পূর্ণভাবে নাজায়েয, হারাম ও জাহান্নামে যাওয়ার কাম। আর যদি সেখানে কোন অবৈধ কর্ম না করা হয়, তাহলে যাওয়া জায়েয আছে। অনুরূপভাবে দু'আ স্বরূপ Happy New year বলতে কোন অসুবিধা নেই। গান বাজনা করা:* আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন: وَ مِنَ النّاسِ مَنْ یَشْتَرِیْ لَھْوَ الْحَدِیْثِ لِیُضِلَّ عَنْ سَبِیْلِ اللّٰهِ بِغَیْرِ عِلْمٍ وَّ تَتَّخِذَھَا ھَزُوًا اُوْلَائِٕكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُھِیْنٌ অনুবাদ:- এবং কিছু লোক না বুঝে খেলা-ধুলার কথাবার্তা ক্রয় করে, যেন আল্লাহর পথ থেকে (মানুষকে) বিভ্রান্ত করে দেয়, এবং সেটাকে ঠাট্টা বিদ্রুপরুপে গ্রহণ করে নেয়; তাদের জন্য লাঞ্ছনার শাস্তি রয়েছে। (পারা 21, সূরা লুক্বমান, আয়াত: 6) উক্ত আয়াতে لھو الحدیث প্রসঙ্গে তাফসীর কারকদের একটি ব্যাখ্যা হল "গান বাজনা করা"। (সিরাতুল জিনান ফি তাফসীরিল ক্বুরআন, সূরা লুক্বমান 6 নং আয়াতের ব্যাখ্যা) তাফসির আল জামিয়ু লি আহকামিল ক্বুরআন -এর মধ্যে لھو الحدیث -এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে- الغناء والمزامیر অর্থাৎ: এ থেকে নাচগান এবং ঢোল বাজনা বুঝানো হয়েছে (অর্থাৎ এসব হারাম)। (খন্ড: 14, পৃষ্ঠা: 51) তিরমিযী শরীফে রয়েছে - عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ فِي هَذِهِ الأُمَّةِ خَسْفٌ وَمَسْخٌ وَقَذْفٌ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَتَى ذَاكَ قَالَ ‏"‏ إِذَا ظَهَرَتِ الْقَيْنَاتُ وَالْمَعَازِفُ وَشُرِبَتِ الْخُمُورُ . ‏ অনুবাদ:- হযরত ইমরান বিন হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ভূমিধস, চেহারা বিকৃতি এবং পাথর বর্ষণস্বরূপ আযাব এ উম্মাতের মাঝে ঘনিয়ে আসবে। জনৈক মুসলিম ব্যক্তি প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসূল! কখন এসব আযাব সংঘটিত হবে? তিনি বললেনঃ যখন গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্র বিস্তৃতি লাভ করবে এবং মদ্যপানের সয়লাব শুরু হবে। (তিরমিযী শরীফ: হাদীস: 2212) বুখারী শরীফে রয়েছে: নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: لَیَکُوْنَنَّ مِنْ اُمَّتِیْ اَقْوَامٌ یَسْتَحِلُّوْنَ الْحِرَّ وَالْحَرِیْرَ وَالْخَمْرَ وَالْمَعَازِفَ অনুবাদ:- আমার উম্মতের মধ্যে অবশ্যই এমন কতগুলো দল সৃষ্টি হবে, যারা ব্যভিচার, রেশমি কাপড়, মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল মনে করবে (অথচ এসব হারাম)। (বুখারী শরীফ, হাদীস: 5590) হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি গান শ্রবণ করার জন্য কোন দাসী (বা নারীর) নিকটে বসল, তার কানের মধ্যে গলানো সীসা ঢেলে দেওয়া হবে। (ইবনে আসাকির, খন্ড: 51, পৃষ্ঠা:263) ফাতাওয়া রাযাবীয়াহ এর মধ্যে রয়েছে- "গানবাজনা যা শহরগুলোতে প্রচলিত রয়েছে তা নিশ্চিত রুপে নিষেধ ও নাজায়েয।" (অনূদিত ফাতাওয়া রাযাবীয়াহ, খন্ড: 23, পৃষ্ঠা: 28, রেযা একাডেমী, মুম্বাই) ফাতাওয়া আমজাদিয়া'র মধ্যে রয়েছে- "ঢোল বাজানো, (পুরুষ ও) মহিলাদের গান করা, নাচানাচি করা, বাজনা এসব হারাম।" (ফাতাওয়া আমজাদিয়া, খন্ড: 4, পৃষ্ঠা: 75) মদ পান করা:* আল্লাহ তা'আলা বলছেন: یَآ اَیُّھَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا اِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَیْسِرُ وَالْانْصَابُ وَالْاَزْلَامُ رِجْسٌ مِنْ عَمَلِ الشَّیْطاَنِ فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّکُمْ تُفْلِحُوْنَ অনুবাদ:- হে ঈমানদারগণ! মদ, জুয়া, মূর্তি এবং ভাগ্য নির্ণায়ক শর অপবিত্র, শয়তানী কাজ। সুতরাং তোমরা তা থেকে বেঁচে থাকো । যাতে তোমরা সাফল্য লাভ করো। (পারা 7,সূরা মায়িদা, আয়াত: 90) সুনানে ইবনে মাজা -এর মধ্যে রয়েছে- عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ لَيَشْرَبَنَّ نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي الْخَمْرَ يُسَمُّونَهَا بِغَيْرِ اسْمِهَا يُعْزَفُ عَلَى رُءُوسِهِمْ بِالْمَعَازِفِ وَالْمُغَنِّيَاتِ يَخْسِفُ اللَّهُ بِهِمُ الأَرْضَ وَيَجْعَلُ مِنْهُمُ الْقِرَدَةَ وَالْخَنَازِيرَ ‏"‏ ‏.‏ অনুবাদ:- হযরত আবূ মালিক আল-আশআরী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মাতের কতক লোক মদের ভিন্নতর নামকরণ করে তা পান করবে। তাদের সামনে বাদ্যবাজনা চলবে এবং গায়িকা নারীরা গান পরিবেশন করবে। আল্লাহ তা‘আলা এদেরকে মাটির নিচে ধ্বসিয়ে দিবেন এবং তাদের কতককে বানর ও শূকরে রূপান্তরিত করবেন। (ইবনে মাজা, হাদীস: 4020) ভাটকা ফাটানো:* হুযূর আলা হযরত আলাইহির রহমা বলেন: "ভাটকা ফাটানো যেমনভাবে বিবাহে এবং শবে বারাতে প্রচলিত রয়েছে, এটা নিশ্চিতরূপে হারাম ও পুরোপুরি ভুল। কারণ, এতে সম্পদ নষ্ট কর হয়। ক্বোরআন শরীফের মধ্যে এসব লোকদেরকে শয়তানের ভাই বলা হয়েছে।" আল্লাহ তাআলা বলেছেন: اِنَّ الۡمُبَذِّرِیۡنَ کَانُوۡۤا اِخۡوَانَ الشَّیٰطِیۡنِ ؕ وَ کَانَ الشَّیۡطٰنُ لِرَبِّه کَفُوۡرًا অনুবাদ:- নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানদের ভাই। (পারা: ১৫, সুরা: বনী ইসরাইল, আয়াত: ২৭) (অনূদিত ফাতাওয়া রাযাবীয়াহ, খন্ড: 23, পৃষ্ঠা: 280, রেযা একাডেমী, মুম্বাই) পরনারী ও পরপুরুষের দিকে দৃষ্টিপাত:* اِنَّ رَسُوْلَ اللّٰهِ صَلَّی اللّٰهُ عَلَیْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَعَنَ اللّٰهُ النَّاظِرَ وَالْمَنْظُوْرَ اِلَیْهِ অনুবাদ:- আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: দৃষ্টি দানকারী এবং যার দিকে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে তার উপরে আল্লাহর অভিশাপ। (মিশকাত শরীফ 1/574, হাদীস: 3125) عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ: كُنْتُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعِنْدَهُ مَيْمُونَةُ، فَأَقْبَلَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ وَذَلِكَ بَعْدَ أَنْ أُمِرْنَا بِالْحِجَابِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: احْتَجِبَا مِنْهُ، فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلَيْسَ أَعْمَى لَا يُبْصِرُنَا، وَلَا يَعْرِفُنَا؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَفَعَمْيَاوَانِ أَنْتُمَا، أَلَسْتُمَا تُبْصِرَانِهِ অনুবাদ: হযরত উম্মে সালামাহ রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহা সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ছিলাম এবং তাঁর নিকট মাইমূনাহ রাদিআল্লাহু আনহা ছিলেন। এ সময় ইবনু উম্মে মাকতূম (অন্ধ সাহাবী) রাদিআল্লাহু আনহু এলেন। ঘটনাটি আমাদের উপর পর্দার হুকুম নাযিলের পরের। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তার থেকে আড়ালে চলে যাও। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে কি অন্ধ নয়? সে তো আমাদের দেখতে ও চিনতে পারছে না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদিও সে অন্ধ কিন্তু তোমরা উভয়ে কি তাকে দেখছো না? অর্থাৎ পুরুষদের জন্য যেমন পরনারী কে দেখা বৈধ নয় অনুরূপভাবে নারীদের জন্যও পরপুরুষ কে দেখা বৈধ নয়। (আবূ দাউদ, হাদীস: 4112) স্মর্তব্য যে, বর্তমান সময়ে মহিলাদের চেহারারও পর্দা করতে হবে। মহিলাদের বিনা হেজাবে পরপুরুষের সামনে আসা নিষেধ। হাশিয়া ইরশাদুস সারী -এর মধ্যে আন নিহায়াতো ফি শারহিল হেদায়া এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে: سدل الشیئ علی وجھھا واجب علیھا، دلت المسئلۃ علی ان المرأۃ منھیۃ عن اظھار وجھھا للاجانب بلاضرورۃ‘‘ অনুবাদ:- মহিলার উপরে নিজের চেহারার পর্দা করা ওয়াজিব বা আবশ্যক। এ মাসআলা থেকে প্রমাণিত হয় যে, মহিলার, পরপুরুষের সামনে বিনা কারণে চেহারা খুলে রাখা নিষেধ। (হাশিয়া ইরশাদুস সারী, পৃষ্ঠা: 162) হেদায়া নামক কিতাবে রয়েছে - و لا یجوز ان ینظر الرجل الی الاجنبیة অনুবাদ: পুরুষের জন্য অপরিচিত নারীর দিকে দৃষ্টিপাত করা জায়েয নেই। (হেদায়া, খন্ড: 4, পৃষ্ঠা: 368 ) হুযূর আলা হযরত আলাইহির রহমা বলেন: "এ যুগে যুবতী মহিলাদের উপরে হেজাব অপরিহার্য।" ( অনূদিত ফাতাওয়া রাযাবীয়াহ, খন্ড 22, পৃষ্ঠা: 236) মহিলাদের নিকটে যাওয়া:* عن عقبة بن عامر، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال :ایاکم والدخول علی النساء অনুবাদ: হযরত উক্ববা বিন আমির রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: পরনারীর নিকটে যাওয়া থেকে বাঁচো। (শুয়াবুল ইমাম: খন্ড: 7, পৃষ্ঠা: 9) হাসিঠাট্টা করা:* عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَلاَ تُكْثِرِ الضَّحِكَ ، فَإِنَّ كَثْرَةَ الضَّحِكِ تُمِيتُ الْقَلْبَ অনুবাদ: হযরত আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: বেশি হাসাহাসি করিও না। কারণ, অতিরিক্ত হাসি হৃদয়কে মৃত বানিয়ে দেয়। (তিরমিযী শরীফ, খন্ড: 2, পৃষ্ঠা: 56) বুখারী শরীফ রয়েছে - عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أَعْلَمُ لَبَكَيْتُمْ كَثِيرًا وَلَضَحِكْتُمْ قَلِيلاً অনুবাদ: আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবুল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যাঁর হাতে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রাণ ঐ সত্তার কসম! আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে, তাহলে তোমরা অবশ্যই কাঁদতে বেশি আর হাসতে কম। (বুখারী শরীফ, হাদীস: 6637) এমন হাসিঠাট্টা যার মধ্যে শরীর স্পর্শ করা হয়, গালাগাল করা হয়, মিথ্যা কথা বলা হয়, কাউকে ছোট করা হয়, কাউকে কষ্ট দেয়া হয়, কারো বেয়াদবি করা হয়, ছোট-বড় এর খেয়াল না রাখা হয়, স্থান ও অবস্থা লক্ষ্য না রাখা হয় তাহলে এইরকম হাসিঠাট্টা নাজায়েয। (অনূদিত ফাতাওয়া রাযাবীয়াহ, খন্ড: 23, পৃষ্ঠা: 195) আজকাল অধিকাংশ হাসিঠাট্টা এসবে যুক্ত থাকে। আলা হযরত আলাইহির রহমা আর এক জায়গায় বলেন: "শরিয়তে পুরুষ ও মহিলার মধ্যে হাসিঠাট্টার কোন সম্পর্কই রাখা হয়নি।" ( অনূদিত ফাতাওয়া রাযাবীয়াহ, খন্ড: 22, পৃষ্ঠা: 245) অন্য এক জায়গায় বলেন: "বৌদি, মামীর (বা অন্য কারো) সাথে (শরীর স্পর্শ করে) হাসিঠাট্টা করা নিশ্চিত রূপে হারাম। উভয় হাসিঠাট্টা কারী ফাসিক্ব বা পাপাচারী। যদি তার (মহিলার) স্বামী, পিতা অথবা ভাই তার উপর রাজি থাকে (অর্থাৎ দেখার পরেও শাসন না করে) তাহলে এরা দাইয়ুস হবে। আর দাইয়ুস এর উপর জান্নাত হারাম।" (অনূদিত ফাতাওয়া রাযাবীয়াহ, খন্ড:11, পৃষ্ঠা: 508) ক্বাযিউল ক্বুযাত ফিল হিন্দ, হুযূর তাজুশ শারীয়াহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন: "যদি তার (New year night celebration -এর) মধ্যে নাজায়েয কর্ম করা হয় এবং ইহুদী ও খৃষ্টানদের ঐ সমস্ত কর্ম যা তাদেরই চিহ্ন, তা করা হয় তাহলে তা থেকে বেঁচে থাকা জরুরী। যদি অমুসলিমদের সাদৃশ্য না হয়, আর না সাদৃশ্যের উদ্দেশ্য হয়, তাহলে এমনিতেই দু'আ করার উদ্দেশ্যে "Happy New year বলতে ক্ষতি নেই।" (তাজুশ শারীয়াহ কি ইলমী মাজালিস, পৃষ্ঠা: 237) সিরাজুল ফোক্বাহা, মুহাক্বিকে মাসায়েলে জাদীদাহ হযরত আল্লামা মুফতী মুহাম্মদ নেযামুদ্দীন রেজবী মিসবাহী দামাত বারাকাতুহুমুল আলীয়াহ বলেন: "নতুন বছরের অভিনন্দন জানানোর উদ্দেশ্য হল যে, এবছর আপনার কল্যাণ হোক, ভাল করে কাটুক, এটা জায়েয। কেননা, এটা একটি ভালো দু'আ। হ্যাঁ, যদি কেউ ইংরেজদের বানানো মাস ও বছরের সম্মান করার উদ্দেশ্যে বলে, তাহলে মাকরূহ। কিন্তু সাধারণত মানুষ এই নিয়ত করে না বরং তাদের উদ্দেশ্য ভালো দু'আ করাই হয়। তাই এতে ক্ষতির কিছু নেই।" (সিরাজুল ফোক্বাহা কি দ্বীনী মাজালিস 144) والله تعالیٰ اعلم ورسوله اعلم بالصواب ইতি: গুলজার আলী মিসবাহী হেমতাবাদ, রায়গঞ্জ, উঃ দিনাজপুর। সিনিয়র শিক্ষক: এম. জি. এফ. মাদীনাতুল উলূম (সোসাইটি) খালতিপুর, কালিয়াচক, মালদা, পশ্চিম বঙ্গ, ভারত। 03/06/1444 হিজরী 27/12/2022 খ্রিষ্টাব্দ রোজ- মঙ্গলবার স্বীকৃতি প্রদান: আলহামদুলিল্লাহ। উপরোক্ত মাসআলাটি আমি পূর্ণ পড়ে দেখলাম খুব সুন্দর হয়েছে এবং সঠিক হয়েছে। যুগ ও উপযোগী খুবই প্রয়োজনীয়। আল্লাহ পাক! লেখক এর জীবন ধন্য করুন। ইতি আব্দুল আজিজ কালিমী ইমাম: ৫তলা জামে মসজিদ, কালিয়াচক, মালদা। শিক্ষক: সিনিয়র শিক্ষক: এম. জি. এফ. মাদীনাতুল উলূম (সোসাইটি) খালতিপুর, কালিয়াচক, মালদা, পশ্চিম বঙ্গ, ভারত। 27/12/2022

Comments -

Posted On: 2022-12-30
খুবই প্রয়োজনীয় মাসআলা।
Most Read Articles