KeyOfIslam
Welcome To KeyOfIslam.com. KeyOfIslam is the platform to spread love and brotherhood among all people through the light of Prophet Mohammad(peace be upon him), the Final Messanger of Allah. Here you will get informations with precision.
Individual Articles
মৃত ব্যক্তির তরফ থেকে কুরবানী করা জায়েয কিনা ? জায়েয হলে মাংস -এর বিধান কী ?
প্রশ্ন:- মৃত ব্যক্তির তরফ থেকে কুরবানী করা জায়েয কিনা ? জায়েয হলে মাংস -এর বিধান কী ? উত্তর:- হ্যাঁ, অবশ্যই মৃত ব্যক্তির তরফ থেকে কুরবানী করা জায়েয রয়েছে। হাদীস শরীফে রয়েছে - عن حنش قال رأيت عليا يضحي بكبشين فقلت له ما هذا فقال إن رسول الله صلى الله عليه وسلم أوصاني أن أضحي عنه فأنا أضحي عنه অনুবাদ:- হযরত হানাশ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকে দেখেছি তিনি দুটি ছাগল ক্বোরবানী দিতেন আমি আরয করলাম এটা কি? তিনি বললেন আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন যেন আমি তাঁর পক্ষ থেকে এ কুরবানী করি। সুতরাং আমি হুযূরের কুরবানী করে থাকি। (মিশকাত শরীফ, হাদীস: 1376) উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যা মুফাসসীরে ক্বোরআন হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন নাঈমী রহমতুল্লাহি তা'আলা আলাইহি বলেন: "এটাই সুস্পষ্ট কথা যে, হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু তিনটি ছাগল ক্বোরবানী করতেন। দু'টি হুযূর-ই আনওয়ার সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর তরফ থেকে তাঁর যাহেরী হায়াত মুবারকের ক্বোরবানীর ন্যায় এবং একটি নিজের তরফ থেকে। এ থেকে বুঝা গেল যে, ওয়াফাতের (মৃত্যুর) পর মরহুমের (মৃত ব্যক্তির) তরফ থেকে ক্বরবানী দেওয়া জায়েয। অবশ্য যদি মৃত ব্যক্তির ক্বোরবানি হয় তাহলে তার ক্বোরবানির সমস্ত গোশত সাদকা করে দেওয়া হবে। যদি ওয়ারিস নিজ থেকে সাওয়াবের জন্য মৃত্যুর পক্ষ থেকে ক্বোরবানী করে তাহলে ওই ক্বোরবানীর গোশত নিজেও খাবে এবং ধনী-দরিদ্র সকলকে খাওয়াবে। হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর জন্য কৃত ক্বোরবানির গোশত তাবাররুকই। মুসলমানগন তা বরকতের জন্য খাবে। বর্তমানেও কিছু সংখ্যক সৌভাগ্যবান ব্যক্তি হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর তরফ থেকে ক্বোরবানী করে থাকেন। তাদের দলিল হচ্ছে- এই হাদিস। (মিরআতুল মানাজীহ শারহে মিশকাতুল মাসাবীহ (বাংলা), খন্ড: 2, পৃষ্ঠা: ,448-449) হেদায়া নামক কিতাবে রয়েছে- و اذا اشتری سبعة بقرۃ لیضحوا بھا فمات احدھم قبل النحر و قالت الورثة اذبحوھا عنه و عنکم اجزاھم অনুবাদ:- যদি সাত ব্যক্তি কুরবানী করার নিয়তে একটি গরু ক্রয় করে অতঃপর তাদের মধ্যে একজন পশু জবাই করার পূর্বে মারা যায় এবং তার উত্তরাধিকারিগণ বলে যে, তোমরা তার (মৃত ব্যক্তির) এবং তোমাদের পক্ষ থেকে কুরবানী কর, তাহলে তাদের জন্য কুরবানী শুদ্ধ হয়ে যাবে। (হেদায়া আখেরাঈন, পৃষ্ঠা: 433, প্রকাশিত, মজলিসে বারকাত আল- জামিয়াতুল আশরাফিয়া মুবারকপুর) আলা হযরত রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকে প্রশ্ন করা হয় যে, মৃত ব্যক্তির তরফ থেকে কুরবানী দেয়া হলে তার মাংস কিরূপ ভাবে বন্টন করতে হবে? এর উত্তরে তিনি বলেন: ‌‌ "(মৃত ব্যক্তি যদি কুরবানী করার অসিয়ত না করে থাকে তাহলে) তিন ভাগ করা মুস্তাহাব বা উত্তম। এক ভাগ নিজের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন আর এক ভাগ মিসকীনদের জন্য। হ্যাঁ, মৃত ব্যক্তির তরফ থেকে যদি মৃত ব্যক্তির হুকুমে কুরবানী করে তাহলে, সমস্ত মাংস সাদকা করে দেয়া হয়।" (ফাতাওয়া রাযাবীয়াহ, খন্ড:20, পৃষ্ঠা: 455) বাহারে শরীয়ত -এর মধ্যে রয়েছে- "মৃত ব্যক্তির তরফ থেকে কুরবানী করল, তাহলে তার মাংসেরও ঐ হুকুম যে, নিজে খাবে, আত্মীয়-স্বজনদের দিবে, ফকীরদের দিবে। সমস্ত মাংস ফকিরদের দেওয়া জরুরী নয়। কারণ, মাংস তারই মালিকানা রয়েছে। সে সব কিছু করতে পারে। আর যদি মৃত ব্যক্তি বলে দেয় যে, আমার তরফ থেকে কুরবানী করে দিবে তাহলে তার (অর্থাৎ মাংস-এর) মধ্যে থেকে খাবে না; বরং সমস্ত মাংস সাদকা করে দিবে।" (বাহারে শরীয়ত, হিসসা: 15, পৃষ্ঠা: 345, দাওয়াতে ইসলামী) রাদ্দুল মুহতার নামক কিতাবে রয়েছে- "(قوله: وعن میت) أي لو ضحی عن میت وارثه بأمره ألزمه بالتصدیق بها وعدم الأکل منها، وإن تبرع بها عنه له الأکل؛ لأنه یقع علی ملك الذابح والثواب للمیت؛ ولهذا لو کان علی الذابح واحدة سقطت عنه أضحیته، کما في الأجناس. قال الشرنبلالي: لکن في سقوط الأضحیة عنه، تأمل. أقول: صرح في فتح القدیر في الحج عن الغیر بلا أمر أنه یقع عن الفاعل فیسقط به الفرض عنه وللآخر الثواب، فراجعه". (রাদ্দুল মুহতার, খন্ড:9 পৃষ্ঠা: 484) ফাতাওয়া ক্বাযী খাঁ-এর মধ্যে বিদ্যমান - "ولو ضحی عن میت من مال نفسه بغیر أمر المیت جاز، وله أن یتناول منه ولایلزمه أن یتصدق به؛ لأنها لم تصر ملکًا للمیت؛ بل الذبح حصل علی ملکه، ولهذا لو کان علی الذابح أضحیة سقطت عنه". (ফাতাওয়া ক্বাযী খাঁ, খন্ড:3 , পৃষ্ঠা: 352) والله اعلم بالصواب ইতি ✍️মুফতী গুলজার আলী মিসবাহী 🌎হেমতাবাদ, রায়গঞ্জ, উত্তর দিনাজপুর। শিক্ষক: এম. জি. এফ. মাদীনাতুল উলূম (সোসাইটি) খালতিপুর, কালিয়াচক, মালদা, পশ্চিম বঙ্গ, ভারত।🌍 08/12/1443 হিজরী 08/07/2022 খ্রিষ্টাব্দ রোজ- শুক্রবার

Comments -

Posted On: 2022-07-08
আলহামদুলিল্লাহ। গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা।
Most Read Articles