রাদিয়াল্লাহু আনহু ও রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর সঠিক ব্যবহার । Mufti Abdul Aziz Kalimi
✳️ রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর সঠিক ব্যবহার ব্যবহার ✳️
সমাধান:- 👉পবিত্র কুরআনের অনেক জায়গায় “রাদিয়াল্লাহু আনহু” শব্দটি মুমিন ও ধার্মিকদের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে:
1. যারা প্রকৃত বান্দা
رَّضِيَ اللّهُ عَنْهُمْ وَرَضُواْ عَنْهُ
"আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট।"
(সূরা মায়েদা: 119)
2.
رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ أُوْلَئِكَ حِزْبُ اللَّهِ
আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। এটা আল্লাহর দল।
(সূরা মুজাদালা: 22)
3.
رَّضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ ذَلِكَ لِمَنْ خَشِيَ رَبَّهُ
"আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তিনি তাদের প্রতি সন্তুষ্ট। এটি (সুসংবাদ) তার জন্য যে তার পালনকর্তাকে ভয় করে।"
(সূরা আল-বাইয়েনাহ ৮)
🌹 تَرَحُّم(রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলা) 🌹
একইভাবে, ধার্মিক মুমিনদের জন্য কুরআনে "আল্লাহ তাঁর প্রতি রহম করুন" শব্দগুলি উল্লেখ করা হয়েছে:
1.
رَحْمَتُ اللّهِ وَبَرَكَاتُهُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الْبَيْتِ
"আল্লাহর রহমত ও আশীর্বাদ আপনার উপর বর্ষিত হোক, এই পরিবার!"
(সূরা হুদ: 73)
2.
واُولَـئِكَ عَلَيْهِمْ صَلَوَاتٌ مِنّ رَبِّهِمْ وَرَحْمَةٌ وَأُولَـئِكَ هُمُ الْمُهْتَدُونَ
"এরাই তারা যাদের প্রতি তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে এবং তারাই সঠিক পথে রয়েছে।"
(আল-বাকারা: 157)
উপরোক্ত আয়াত ও হাদিসগুলো একটি সংক্ষিপ্ত নির্বাচন, অন্যথায় এ বিষয়ে আরো অনেক সূত্র উপস্থাপন করা যেতে পারে। যা থেকে সুস্পষ্ট যে, কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক সালাম, রহমত ও রেযা(সন্তুষ্টি) এবং এগুলি থেকে উদ্ভূত সকল শব্দই সাহাবী ও ওলী, আলেম, শহীদ এমনকি সাধারণ মুসলমানদের জন্যেও জায়েজ। যখন কুরআন ও সুন্নাহ থেকেও এর প্রমাণ তাও ইবারাতুন নাস থেকে পাওয়া যায় তখন শরীয়াহ মোতাবেক এই শ্রেণীগুলির তথা সাহাবী তাবেঈ আউলিয়া আবদাল আলেম শহীদ এমন কি সাধারণ নেককার শ্রেণী, যে কোন একটির উপর এই কথাগুলো বলা যেতে পারে এটা জায়েজ হবে। তাছাড়া নাজায়েজ এর ওপর কোনো দলিল নেই।
কিন্তু পরবর্তীতে ওলামায়ে কেরাম ( ধর্মীয় পণ্ডিতগণ) সাহাবী এবং অন্যান্য বুজুর্গ এর মধ্যে পার্থক্য করার জন্য রাদিয়াল্লাহু আনহু সাহাবীদের জন্য এবং রহমাতুল্লাহি আলাইহি অ-সাহাবীদের জন্য নির্দিষ্ট করেন।
সুতরাং রাদিয়াল্লাহু আনহু অ-সাহাবীকে না লেখা ও না বলাই উত্তম, কারণ এতে তার সাহাবী হওয়ার সন্দেহ জাগে।
যেমন আল-বাহরুর রায়েক 8 খণ্ড 555 পৃ- আছে-
"ثم الأولى أن يدعو للصحابة بالرضا فيقول: "رضي الله عنهم"؛ لأنهم كانوا يبالغون في طلب الرضا من الله تعالى ويجتهدون في فعل ما يرضيه ويرضون بما لحقهم من الابتلاء من جهته أشد الرضا، فهؤلاء أحق بالرضا، وغيرهم لايلحق أدناهم ولو أنفق ملء الأرض ذهبًا. والتابعين بالرحمة فيقول: رحمهم الله، ولمن بعدهم بالمغفرة والتجاوز، فيقول: غفر الله لهم وتجاوز عنهم؛ لكثرة ذنوبهم ولقلة اهتمامهم بالأمور الدينية".
البحر الرائق شرح كنز الدقائق - (8 / 555):
আরো দেখুন আদ-দুর্রুল মুখতার 6 খণ্ড পৃঃ 754
"(ويستحب الترضي للصحابة) وكذا من اختلف في نبوته كذي القرنين ولقمان، وقيل: يقال: صلى الله على الأنبياء وعليه وسلم، كما في شرح المقدمة للقرماني (الترحم للتابعين ومن بعدهم من العلماء والعباد وسائر الأخيار، وكذا يجوز عكسه) الترحم للصحابة والترضي للتابعين ومن بعدهم (على الراجح) ذكره القرماني، وقال الزيلعي: الأولى أن يدعو للصحابة بالرتضي وللتابعين بالرحمة ولمن بعدهم بالمغفرة والتجاوز".
الدر المختار شرح تنوير الأبصار في فقه مذهب الإمام أبي حنيفة - (6 / 754):
ইতি
🌹 ✍️ মুফতী আব্দুল আজিজ কালিমী* 🌹
🌍খাদিমঃ-এম জি এফ মাদীনাতুল উলূম
খালতিপুর, কালিয়াচক, মালদা, পঃবঃ, ভারত।🌎
07/07/2022
Comments -