শরীয়তের দৃষ্টিতে কুরবানী ও আকীকার পশুর নাড়িভুঁড়ি খাওয়া কি জায়েজ ?
🌹প্রশ্ন:- শরীয়তের দৃষ্টিতে কুরবানী ও আকীকার পশুর নাড়িভুঁড়ি খাওয়া কি জায়েজ ?
🌹উত্তর :- ঊনবিংশ শতাব্দীর মহান মুজাদ্দিদ আলা হজরত ইমাম আহমদ রাযা রাদীয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ,"ফাতাওয়ায়ে রাযাবীয়াহ" ৬খন্ড ,১৬৭পৃষ্ঠায় বর্ণনা করেছেন যে নাড়িভুড়ী (উদ্ধড়ী) খাওয়া মাকরুহ |
ইহা যেন কুরবানীর অংশীদারদের মধ্যে ভাগ বা বিতরণ না করা হয় |
বরং দাফন করে দিবে | তবে যদি মেথর, চামার, নিয়ে যাই তাহলে তাকে নিষেধ করার দরকার নেয় ||
আরও প্রকাশ থাকে যে," ফাতাওয়ায়ে রাযাবীয়াহ" ৮ম খন্ড ৪৬৭পৃষ্ঠায় বর্ননা করেছেন নাড়িভুড়ি খাওয়ার জিনিস নয় বরং ফেলিয়ে দেওয়ার জিনিস তবে যদি কোন কাফির নিয়ে যায় তাহলে তাকে দিয়ে দিবে | ইহাতে কোন ক্ষতি নেই |
ফেকহী ইনসাইক্লোপেডিয়া" ফাতাওয়ায়ে রাযাবীয়াহ" মুতারজাম ২০খন্ড ২৩৪পৃষ্ঠা হতে
২৪১পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে যে পশুর মাংস খাওয়া হালাল সেই পশুর দেহের ২২টি জিনিস খাওয়া নিষেধ | তার মধ্যে কিছু মাকরুহ , কিছু নাজায়েজ এবং কিছু হারাম ||
আর এই ২২টির মধ্যে নাড়িভুড়ি খাওয়া মাকরুহ তাহরিমী ||
ফাক্বীহে মিল্লাত মুফতী জালালুদ্দিন আহমদ আমজাদী রহমাতুল্লাহি আলায়হি " ফাতাওয়ায়ে ফায়জুর রসুল" ২য় খন্ড ৪৩২-৪৩৩পৃষ্ঠায় বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করেছেন (নাড়ীভুড়ি সম্পর্কে )যে, নাড়ীভুড়ি খাওয়া মাকরুহ তাহরিমী| আর মাকরুহ তাহরিমীর গুনাহ হারাম এর মতো| সুতরাং কুরবানী ও আকীকার পশুর বা যে কোন হালাল পশু যার মাংস খাওয়া জায়েজ তার নাড়ীভুড়ি খাওয়া মাকরুহ তাহরিমী |
বিঃদ্রঃ -সুন্নী মুসলমান নাড়ীভুড়ি খাওয়া বন্ধ করুন
এবং গভীর গর্ত করে পুতে দিন ||
✍️ মুফতী:-মহম্মদ জুবাইর হোসাইন মুজাদ্দেদী রেজবী
🌍শিক্ষক:- নশীপুর ফুরক্বানীয়া আলিমীয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসা, মুর্শিদাবাদ ,ভারত 🌎
📲9564500730
Comments -