KeyOfIslam
Welcome To KeyOfIslam.com. KeyOfIslam is the platform to spread love and brotherhood among all people through the light of Prophet Mohammad(peace be upon him), the Final Messanger of Allah. Here you will get informations with precision.
Individual Articles
হায়াতুন্নাবী প্রসঙ্গে বিগত ইমাম ও মুহাদ্দিসগণের অভিমত
✴️ইমাম বুরহানুদ্দীন বাকায়ী (ইন্তেকাল 885 হিঃ) রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর অভিমত✴️ ﻷﻥ ﺣﻖ اﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻋﻠﻰ ﺃﻣﺘﻪ ﺃﻋﻈﻢ ﻣﻦ ﺣﻖ اﻟﻮاﻟﺪ ﻋﻠﻰ ﻭﻟﺪﻩ، ﻭﻫﻮ ﺣﻲ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ অর্থাৎ! কারণ নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর অধিকার তাঁর উম্মতের প্রতি পুত্রের প্রতি পিতার অধিকার অপেক্ষা অধিক এবং তিনি নিজ কবরে জীবিত রয়েছেন। {{ নাযমুদ দুরার খন্ড-15 পৃষ্ঠা-290}} ✴️আল্লামা আব্দুর রাহমান বিন আব্দুস সালাম স্বাফুরী (ইন্তেকাল 894-হিঃ) রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর অভিমত- ﻭﺇﻥ ﻛﺮاﻣﺎﺕ اﻷﻭﻟﻴﺎء ﺣﻖ ﻭاﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺣﻲ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ ﺳﻤﻴﻊ ﺑﺼﻴﺮ অর্থাৎ! আউলিয়ায়ে কিরাম এর কারামত সত্য এবং নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম নিজ কবরে জীবিত শ্রবণকারী দর্শনকারী। {{ নুযহাতুল মাজালিস 1/190}} ✴️ বিশ্বনন্দিত মুহাদ্দিস ও মুফাসসির হযরত ইমাম শামসুদ্দীন আবুল খায়ের সাখাবী (ইন্তেকাল 902-হিঃ) রাহমাতুল্লাহে আলাই এর অভিমত। ﻭﻧﺤﻦ ﻧﺆﻣﻦ ﻭﻧﺼﺪﻕ ﺑﺄﻧﻪ - ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﺣﻲ ﻳﺮﺯﻕ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ ﻭﺃﻥ ﺟﺴﺪﻩ اﻟﺸﺮﻳﻒ ﻻ ﺗﺄﻛﻠﻪ اﻷﺭﺽ، ﻭاﻹﺟﻤﺎﻉ ﻋﻠﻰ ﻫﺬا، অর্থাৎ! নিশ্চয়ই আমরা বিশ্বাস করি ও সত্য বলে মানি যে, নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় কবরে জীবিত আছেন ও রিযক পাচ্ছেন এবং নিশ্চয়ই তাঁর শরীর মুবারক মাটি ভক্ষণ করতে পারবে না। আর এ বিষয়ে ইজমা তথা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত রয়েছে। {{ আল-কাওলুল বাদীয় 1/172}} ✴️ইমাম আলী ইবনে আব্দুল্লাহ সামহুদী ( ইন্তেকাল 911-হিজরী) রাহমাতুল্লাহি আলাইহি-এর অভিমত, ﻭﻟﺤﻴﺎﺓ اﻷﻧﺒﻴﺎء ﺑﻌﺪ ﻣﻮﺗﻬﻢ ﻋﻠﻴﻬﻢ اﻟﺼﻼﺓ ﻭاﻟﺴﻼﻡ ﺷﻮاﻫﺪ ﻣﻦ اﻷﺣﺎﺩﻳﺚ اﻟﺼﺤﻴﺤﺔ অর্থাৎ! আম্বিয়ায়ে কেরাম আলাইহিমুস সালাম এর ইন্তেকালের পর জীবিত থাকা বহু সহীহ হাদিস হতে প্রমাণিত। {{ খুলাসাতুল ওফা খন্ড-1 পৃষ্ঠা-351 }} ✴️খাতামুল মুহাদ্দেসীন ও হাফিজুল হাদিস হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (ইন্তেকাল 911-হিঃ ) রাহমতুল্লাহি আলাইহি এর অভিমত- ﻭﻫﻮ ﺣﻲ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ، ﻳﺼﻠﻰ فيه ﺑﺄﺫاﻥ ﻭﺇﻗﺎﻣﺔ ﻭﻛﺬﻟﻚ اﻷﻧﺒﻴﺎء، ﻭﻟﻬﺬا ﻗﻴﻞ: ﻻ ﻋﺪﺓ ﻋﻠﻰ ﺃﺯﻭاﺟﻪ، ﻭﺃﻭﻛﻞ ﺑﻗﺒﺮﻩ ﻣﻠﻚ ﻳﺒﻠﻐﻪ ﺻﻼﺓ اﻟﻤﺼﻠﻴﻦ ﻋﻠﻴﻪ، ﻭﺗﻌﺮﺽ ﻋﻠﻴﻪ ﺃﻋﻤﺎﻝ ﺃﻣﺘﻪ فيستغفر ﻟﻬﻢ، অর্থাৎ! নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ কবরে জীবিত আছেন। আযান ও ইকামতের সহিত নামাজ আদায় করেন। তদ্রুপ অন্যান্য নবীগণ আলাইহিমুস সালাম। আর এ জন্য বলা হয়েছে, তাঁর স্ত্রীগণের উপর কোন ইদ্দত নেই। তাঁর কবরে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করা হয়েছে যে তার প্রতি দরুদ প্রেরণ কারীর দরুদ তাঁর কাছে পৌছিয়ে দেন। তাঁর প্রতি তার উম্মতের আমল পেশ করা হয় অতএব তিনি তাদের জন্য ইস্তেগফার করেন। {{ আনমুযাজুল লাবীব খন্ড-1 পৃষ্ঠা-230}} ✴️তিনি অন্য এক কিতাবে লিপিবদ্ধ করেন- ﻭﺃﻧﻪ ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺣﻲ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ ﻭﻟﻬﺬا ﺣﻜﻲ اﻟﻤﺎﻭﺭﺩﻱ ﻭﺟﻬﺎ ﺃﻧﻪ ﻻ ﻳﺠﺐ ﻋﻠﻴﻬﻦ ﻋﺪﺓ اﻟﻮﻓﺎﺓ অর্থাৎ! নিশ্চয়ই নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ কবরে জীবিত আছেন। আর এই জন্য ইমাম মাওয়ারদী বলেন, নিশ্চয়ই নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রীগণের ওপর ইন্তেকালের ইদ্দত পালন করা জরুরি নয়। {{ খাসাইসুল কুবরা খন্ড-2 পৃষ্ঠা-326}} ﺣﻴﺎﺓ اﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ ﻫﻮ ﻭﺳﺎﺋﺮ اﻷﻧﺒﻴﺎء ﻣﻌﻠﻮﻣﺔ ﻋﻨﺪﻧﺎ ﻋﻠﻤﺎ ﻗﻄﻌﻴﺎ ﻟﻤﺎ ﻗﺎﻡ ﻋﻨﺪﻧﺎ ﻣﻦ اﻷﺩﻟﺔ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ ﻭﺗﻮاﺗﺮﺕ [ ﺑﻪ] اﻷﺧﺒﺎﺭ، অর্থাৎ! নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর নিজ কবরে জীবিত থাকা এবং অন্যান্য আম্বিয়ায়ে কেরাম আলাইহিমুস সালাম এর জীবিত থাকা আমাদের নিকট অতি মজবুত জ্ঞান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। কারণ এ প্রসঙ্গে বহু দলিলাদি ও ধারাবাহিক হাদিস সমূহ বিদ্যমান। {{ আল-হাবী লিল-ফাতাওয়া খন্ড-2 পৃষ্ঠা-178 }} ✴️ বিশ্বনন্দিত ইতিহাসবিদ ও বুখারী শরীফের প্রখ্যাত আরাবী ভাষ্যকার ইমাম শাহাবুদ্দীন কাসতালানী (ইন্তেকাল 923-হিঃ) রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর অভিমত- ﻷﻥ اﻟﻠﻪ ﺣﺮﻡ ﻋﻠﻰ اﻷﺭﺽ ﺃﻥ ﺗﺄﻛﻞ ﺃﺟﺴﺎﺩﻫﻢ، ﻭﺃﻧﻬﻢ ﺃﺣﻴﺎء ﻓﻲ ﻗﺒﻮﺭﻫﻢ ﻳﺼﻠﻮﻥ، অর্থাৎ! নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা যমীনের উপর আম্বিয়ায়ে কেরাম আলাইহিমুস সালাম এর দেহ মোবারক কে ভক্ষণ করা হারাম করে দিয়েছেন। এবং নিশ্চয়ই তাঁরা নিজ নিজ কবরে জীবিত ও নামাজ আদায় করেন। {{ ইরশাদুস সারী কাসতালানী খন্ড-1 পৃষ্ঠা-430 }} ✴️ তিনি অন্যত্রে আরো ইরশাদ করেন- ﻭﻻ ﺷﻚ ﺃﻥ ﺣﻴﺎﺓ اﻷﻧﺒﻴﺎء- ﻋﻠﻴﻬﻢ اﻟﺼﻼﺓ ﻭاﻟﺴﻼﻡ- ﺛﺎﺑﺘﺔ ﻣﻌﻠﻮﻣﺔ ﻣﺴﺘﻤﺮﺓ، ﻭﻧﺒﻴﻨﺎ- ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ- ﺃﻓﻀﻠﻬﻢ، ﻭﺇﺫا ﻛﺎﻥ ﻛﺬﻟﻚ ﻓﻴﻨﺒﻐﻰ ﺃﻥ ﺗﻜﻮﻥ ﺣﻴﺎﺗﻪ- ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ- ﺃﻛﻤﻞ ﻭﺃﺗﻢ ﻣﻦ ﺣﻴﺎﺓ ﺳﺎﺋﺮﻫﻢ. অর্থাৎ! নিঃসন্দেহে নাবীগণ আলাইহিমুস সালাম এর জীবিত থাকা প্রমাণিত, প্রতিষ্ঠিত ও স্থায়ী। এবং আমাদের নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। আর যখন বিষয়টা এমন সুতরাং নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবিত থাকা অন্যান্য নাবীগণ আলাইহিমুস সালাম-এর জীবিত থাকা অপেক্ষা অধিক পূর্ণাঙ্গ । {{ আল-মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া 3/599 }} ✴️ বিশ্বনন্দিত মুহাদ্দিস ও ইতিহাসবিদ ইমাম মুহাম্মাদ বিন ইউসুফ স্বালেহী শামী (ইন্তেকাল 942-হিজরী) রাহমাতুল্লাহি আলাইহি-এর অভিমত, ﻓﻘﺪ ﺗﺒﻴﻦ ﻟﻚ- ﺭﺣﻤﻚ اﻟﻠﻪ ﻣﻦ اﻷﺣﺎﺩﻳﺚ اﻟﺴﺎﺑﻘﺔ- ﺣﻴﺎﺓ اﻟﻨﺒﻲ ﻭﺳﺎﺋﺮ اﻷﻧﺒﻴﺎء- ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ- ﻭﻗﺪ ﻗﺎﻝ اﻟﻠﻪ ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻭﺗﻌﺎﻟﻰ ﻓﻲ اﻟﺸﻬﺪاء: ﻭﻻ ﺗﺤﺴﺒﻦ اﻟﺬﻳﻦ ﻗﺘﻠﻮا ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ اﻟﻠﻪ ﺃﻣﻮاﺗﺎ ﺑﻞ ﺃﺣﻴﺎء ﻋﻨﺪ ﺭﺑﻬﻢ ﻳﺮﺯﻗﻮﻥ ( ﺁﻝ ﻋﻣﺮاﻥ: 169) ﻭاﻷﻧﺒﻴﺎء ﺃﻭﻟﻰ ﺑﺬﻟﻚ ﻓﻬﻢ ﺃﺟﻞ ﻭﺃﻋﻈﻢ অর্থাৎ! আপনার জন্য পূর্বের হাদিস সমূহ হতে সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও অন্যান্য আম্বিয়ায়ে কেরাম (আলাইহিমুস সালাম) জীবিত। নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন, "এবং  যারা  আল্লাহ্‌র  পথে  শহিদ  হয়েছেন,  কখনো তাদেরকে মৃত বলে  ধারণা করো না, বরং তারা নিজ  রবের   নিকট  জীবিত  রয়েছে,  জীবিকা পায়" আম্বিয়ায়ে কেরাম আলাইহিমুস সালাম এবিষয়ে শহীদগণ অপেক্ষা বেশী হকদার, কারণ তাঁরা শহীদগণ অপেক্ষা অধিক মর্যাদাশীল ও সম্মানীয়। {{ সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ খন্ড-12 পৃষ্ঠা-362 }} ✒️তিনি অন্যত্রে ইরশাদ করেন- ﻭﻗﺎﻝ اﻹﻣﺎﻡ اﻟﻌﻼﻣﺔ ﺟﻤﺎﻝ اﻟﺪﻳﻦ ﻣﺤﻤﻮﺩ ﺑﻦ ﺟﻤﻠﺔ: ﻧﺒﻴﻨﺎ- ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ- ﺃﺣﻴﺎﻩ اﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺑﻌﺪ ﻣﻮﺗﻪ ﺣﻴﺎﺓ ﺗﺎﻣﺔ ﻭاستمرت ﺗﻠﻚ اﻟﺤﻴﺎﺓ ﺇﻟﻰ اﻵﻥ، ﻭﻫﻲ ﻣستمرة ﺇﻟﻰ ﻳﻮﻡ اﻟﻘﻴﺎﻣﺔ، ﻭﻟﻴﺲ ﻫﺬا ﺧﺎﺻﺎ ﺑﻪ- ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ- ﺑﻞ ﻳﺸﺎﺭﻛﻪ اﻷﻧﺒﻴﺎء- ﺻﻠﻮاﺕ اﻟﻠﻪ ﻭﺳﻼﻣﻪ ﻋﻠﻴﻬﻢ- ﺃﺟﻤﻌﻴﻦ.ﻭاﻟﺪﻟﻴﻞ ﻋﻠﻰ ﺫﻟﻚ ﺃﻣﻮﺭ ﻛﺜﻴﺮﺓ: অর্থাৎ! ইমাম আল্লামা জামালুদ্দিন মাহমুদ বিন জুমলা রাহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমাদের নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ তা'আলা তার মৃত্যুর পর সম্পূর্ণভাবে জীবিত করেছেন এবং তাঁর এ জীবন এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং তা কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এবং এ ব্যাপারে তিনি নির্দিষ্ট নন বরং অন্যান্য আম্বিয়ায়ে কেরাম আলাইহিমুস সালাতু ওয়াস সালামো শরীক রয়েছেন এবং এই বিষয়ের উপর বহু দলিল বিদ্যমান। {{ সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ খন্ড-12 পৃষ্ঠা-360 }} ✴️হযরত ইমাম শাহাবুদ্দিন আহমাদ রিমলী শাফেয়ী (ইন্তেকাল 957-হিঃ) রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর অভিমত- ﺃﻣﺎ اﻷﻧﺒﻴﺎء ﻓﻸﻧﻬﻢ ﺃﺣﻴﺎء ﻓﻲ ﻗﺒﻮﺭﻫﻢ ﻳﺼﻠﻮﻥ ﻭﻳﺤﺠﻮﻥ ﻛﻤﺎ ﻭﺭﺩﺕ ﺑﻪ اﻷﺧﺒﺎﺭ অর্থাৎ! নাবীগণ আলাইহিমুস সালাম নিজ নিজ কবরে জীবিত আছেন, নামাজ আদায় করেন ও হজ্ব পালন করেন। এ বিষয়ে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। {{ ফাতাওয়া রিমলী খন্ড-4 পৃষ্ঠা-382 }} ✴️ইমামুল মুহাদ্দিসীন হযরত ইমাম সুবকী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির অভিমত- ﻗﺎﻝ اﻟﺴﺒﻜﻲ: ﺣﻴﺎﺓ اﻷﻧﺒﻴﺎء ﻭاﻟﺸﻬﺪاء ﻓﻲ اﻟﻘﺒﺮ ﻛﺤﻴﺎﺗﻬﻢ ﻓﻲ اﻟﺪﻧﻴﺎ ﻭﻳﺸﻬﺪ ﻟﻪ ﺻﻼﺓ ﻣﻮﺳﻰ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ، ﻓﺈﻥ اﻟﺼﻼﺓ ﺗﺴﺘﺪﻋﻲ ﺟﺴﺪا ﺟﻴﺪا، অর্থাৎ! হযরত ইমাম সুবকী রাহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আম্বিয়ায়ে কেরাম আলাইহিমুস সালাম ও শহীদগণ কবরে তেমনি জীবিত রয়েছেন যেমন পৃথিবীতে তাঁরা জীবিত ছিলেন। আর এটার সাক্ষী বহন করে হযরত মূসা আলাইহিস সালামের কবরে নামাজ আদায় করা। কারণ নামাজ পরিপূর্ণ দেহ কে সমর্থন করে। {{ সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ খন্ড-12 পৃষ্ঠা-365 }} ✴️ বিশ্বনন্দিত মুহিদ্দিস ও শাইখুল ইসলাম ইমাম শাহাবুদ্দিন ইবনে হাজার হাইতামী (ইন্তেকাল 974-হিঃ) রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর অভিমত- ﺇﺫ اﻷﻧﺒﻴﺎء ﺻﻠﻮاﺕ اﻟﻠﻪ ﻭﺳﻼﻣﻪ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﺃﺣﻴﺎء ﻓﻲ ﻗﺒﻮﺭﻫﻢ ﻳﺼﻠﻮﻥ অর্থাৎ! আম্বিয়ায়ে কেরাম আলাইকুমুস সালাম নিজ নিজ কবরে জীবিত অবস্থায় নামাজ আদায় করেন। {{ ফাতাওয়া হাদীসিয়াহ লি-ইবনে হাজার হাইসামী খন্ড-1 পৃষ্ঠা-207 }} *তিনি তাঁর অন্য এক পুস্তকে এরশাদ করেন- ﻭﺣﺮﻣﺘﻪ - ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﺑﻌﺪ ﻭﻓﺎﺗﻪ ﻛﺤﺮﻣﺘﻪ ﻓﻲ ﺣﻴﺎﺗﻪ؛ ﻷﻧﻪ ﺣﻲ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ - ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ অর্থাৎ! নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সম্মান ও মর্যাদা তার ইন্তেকালের পর তেমনি রয়েছে যেমন তাঁর জাহিরি জিন্দেগীতে ছিল। কারণ তিনি নিজ কবরে জীবিত রয়েছেন। {{ তুহফাতুল মুহতাজ খন্ড-2 পৃষ্ঠা-164 }} ✴️ইমামুল হারামাইন, বিশ্বনন্দিত মুহাদ্দিস ও ফাক্বীহ ইমাম আবুল হাসান মুল্লা আলী ক্বারী (ইন্তেকাল 1014-হিঃ) রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর অভিমত- ﻻ ﻋﺪﺓ ﻋﻠﻴﻬﻦ ﻷﻧﻪ - ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﺣﻲ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ، ﻭﻛﺬﻟﻚ ﺳﺎﺋﺮ اﻷﻧﺒﻴﺎء অর্থাৎ! নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর স্ত্রীগণের উপর কোন ইদ্দত নেই। কারণ তিনি নিজ কবরে জীবিত আছেন। তদ্রুপ অন্যান্য নাবীগণ আলাইহিমুস সালাম-ও জীবিত রয়েছেন। {{ মিরকাত শারহে মিশকাত 9/3860}} ﻷﻥ اﻷﻧﺒﻴﺎء ﺃﺣﻴﺎء ﻓﻲ ﻗﺒﻮﺭﻫﻢ ﻳﺼﻠﻮﻥ অর্থাৎ! কারণ আম্বিয়ায়ে কেরাম আলাইহিমুস সালাম নিজ নিজ কবরে জীবিত ও নামাজ আদায় করেন। {{ মিরকাত শারহে মিশকাত খন্ড-1 পৃষ্ঠা-159 }} ✴️ তিনি আরো বলেন, ﻭﻗﺪ ﻗﺪﻣﻨﺎ ﺃﻥ اﻷﻧﺒﻴﺎء ﻻ ﻳﻤﻮﺗﻮﻥ ﻛﺴﺎﺋﺮ الاحياء، ﺑﻞ ﻳﻨﺘﻘﻠﻮﻥ ﻣﻦ ﺩاﺭ اﻟﻔﻨﺎء ﺇﻟﻰ ﺩاﺭ اﻟﺒﻘﺎء، ﻭﻗﺪ ﻭﺭﺩ ﺑﻪ اﻷﺣﺎﺩﻳﺚ ﻭاﻷﻧﺒﺎء، ﻭﺃﻧﻬﻢ ﺃﺣﻴﺎء ﻓﻲ ﻗﺒﻮﺭﻫﻢ ﻓﺈﻧﻬﻢ ﺃﻓﻀﻞ ﻣﻦ اﻟﺸﻬﺪاء ﻭﻫﻢ ﺃﺣﻴﺎء ﻋﻨﺪ ﺭﺑﻬﻢ. অর্থাৎ! নিশ্চয়ই আমরা পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে, আম্বিয়ায়ে কেরাম আলাইহিমুস সালাম সাধারণ ব্যক্তিদের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন না বরং তাঁরা ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া হতে চিরস্থায়ী দুনিয়ার দিকে ইস্থানন্তর করেন। এবং বহু হাদিস ও দলিলাদি এ বিষয়ে বর্ণিত হয়েছে যে, আম্বিয়ায়ে কেরাম (আলাইহিমুস সালাম) নিজ নিজ কবরে জীবিত আছেন। কারণ তাঁরা শহীদগণ অপেক্ষা বেশি উৎকৃষ্ট ও ফজিলত প্রাপ্ত আর শহীদগণ নিজ প্রতিপালকের নিকট জীবিত। {{ মিরকাত শারহে মিশকাত খন্ড-9 পৃষ্ঠা-3760 }} ✴️ তিনি আরো বলেন- ﻭﻧﺤﻦ ﻧﻌﻠﻢ ﺃﻧﻪ - ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﺣﻲ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ ﻳﺼﻠﻲ، অর্থাৎ! আমরা জানি যে, নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম নিজ কবরে জীবিত অবস্থায় নামাজ আদায় করেন। {{ জামউল ওসাইল ফি শারহিশ শামাইল খন্ড-2 পৃষ্ঠা-237}} ✴️ প্রখ্যাত মুহাদ্দিস হযরত ইমাম জাইনুদ্দিন মুহাম্মাদ মানাবী (ইন্তেকাল 1031-হিঃ) রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর অভিমত- ﻭﺃﻧﻪ ﺣﻲ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ ﻳﺼﻠﻲ اﻟﺼﻼﺓ اﻟﺘﻲ ﻳﺼﻠﻴﻬﺎ ﻓﻲ الحياة ﻭﺫﻟﻚ ﻣﻤﻜﻦ ﻭﻻ ﻣﺎﻧﻊ ﻣﻦ ﺫﻟﻚ ﻷﻧﻪ ﺇﻟﻰ اﻵﻥ ﻓﻲ اﻟﺪﻧﻴﺎ ﻭﻫﻲ ﺩاﺭ ﺗﻌﺒﺪ অর্থাৎ! নিশ্চয়ই নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম স্বীয় কবরে দুনিয়াবী নামাজের ন্যায় নামাজ আদায় করেন। আর এটা সম্ভব এখানে অসম্ভবের কোন বিষয় নেই কারণ তিনি এখন পর্যন্ত দুনিয়াতেই আছেন আর দুনিয়া হল ইবাদতের স্থান। {{ ফাইযুল কাদীর খন্ড-5 পৃষ্ঠা-519 }} ✴️আল্লামা মুহাম্মাদ আলী বিন মুহাম্মাদ সিদ্দীকি শাফেয়ী (ইন্তেকাল 1057-হিঃ) রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর অভিমত- والاجماع علي ﺃﻧﻪ - ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﺣﻲ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ ﻋﻠﻰ اﻟﺪﻭاﻡ অর্থাৎ! এ বিষয়ে ইজমা তথা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত রয়েছে যে, নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সদাসর্বদা নিজ কবরে জীবিত আছেন। {{দালীলুল ফালেহীন 7/196}} ✴️ বিশ্ব বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও বহু গ্রন্থ প্রণেতা হযরত ইমাম আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ বিন আব্দুল বাকি যুরকানী মালেকী (ইন্তেকাল 1122 হিঃ) রাহমাতুল্লাহি আলাইহি অভিমত পেশ করেন- ﻭﻛﺬﻟﻚ اﻷﻧﺒﻴﺎء" ﺃﺣﻴﺎء ﻓﻲ ﻗﺒﻮﺭﻫﻢ ﻳﺼﻠﻮﻥ، ﺭﻭﻯ ﺃﺑﻮ ﻳﻌﻠﻰ ﻭاﻟﺒﻴﻬﻘﻲ، ﻋﻦ ﺃﻧﺲ: ﺃﻥ اﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ، ﻗﺎﻝ: "ﻣﺮﺭﺕ ﻋﻠﻰ ﻣﻮﺳﻰ ﻟﻴﻠﺔ ﺃﺳﺮﻱ ﺑﻲ ﻋﻨﺪ اﻟﻜﺜﻴﺐ اﻷﺣﻤﺮ، ﻭﻫﻮ ﻗﺎﺋﻢ ﻳﺼﻠﻲ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ"، "ﻭﻟﻬﺬا ﻗﻴﻞ: ﻻ ﻋﺪﺓ ﻋﻠﻰ ﺃﺯﻭاﺟﻪ" ﻷﻧﻪ ﺣﻲ অর্থাৎ! তেমনি নাবীগণ আলাইহিমুস সালাম নিজ নিজ কবরে জীবিত অবস্থায় নামাজ আদায় করেন। ইমাম আবু ইয়ালা ও ইমাম বাইহাকী রাহমাতুল্লাহি আলাইহিমা হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, আমি মেরাজের রাত্রিতে লাল-ওয়াদীর নিকট হযরত মূসা আলাইহিস সালাম এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করলাম। তিনি সেই সময় নিজ কবরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছিলেন। আর এ জন্য বলা হয়েছে, নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রীগণের উপর কোন ইদ্দত নেই কারণ তিনি জীবিত। {{ শারহুয যুরকানী আলাল মাওয়াহিব 7/364 }} ﻭﻧﻘﻞ اﻟﺴﺒﻜﻲ ﻓﻲ ﻃﺒﻘﺎﺗﻪ ﻋﻦ اﺑﻦ ﻓﻮﺭﻙ" "ﺑﻀﻢ ﻓﺴﻜﻮﻥ" "ﺃﻧﻪ ﻋﻠﻴﻪ اﻟﺴﻼﻡ ﺣﻲ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ، ﺭﺳﻮﻝ اﻟﻠﻪ ﺃﺑﺪ اﻵﺑﺎﺩ" ﺃﻱ: ﻓﻲ ﺟﻤﻴﻊ اﻷﺯﻣﻨﺔ، اﻟﺼﺎﺩﻕ ﺑﻤﺎ ﺑﻌﺪ ﻣﻮﺗﻪ ﺇﻟﻰ ﻗﻴﺎﻡ اﻟﺴﺎﻋﺔ، "ﻋﻠﻰ اﻟﺤﻘﻴﻘﺔ ﻻ اﻟﻤﺠﺎﺯ"، ﻟﺤﻴﺎﺗﻪ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ، ﻳﺼﻠﻲ فيه ﺑﺄﺫاﻥ ﻭﺇﻗﺎﻣﺔ. অর্থাৎ! ইমাম সুবকী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর তাবকাত গ্রন্থে ইবনু ফাওরাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি-এর মন্তব্য পেশ করেছেন যে, নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কবরে জীবিত রয়েছেন এবং তিনি সদা সর্বদা হলেন আল্লাহর প্রেরিত রাসূল অর্থাৎ সমস্ত সময়কালে। একথা সত্য যে, তার ইন্তেকালের পর থেকে কেয়ামত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত তিনি হাকিকী জীবিত মাজাযী নয়। কারণ তিনি নিজ কবরে জীবিত আছেন এবং আযান ও ইক্বামতের সহিত সেথায় নামাজ আদায় করেন। {{ শারহুয যুরকানী আলাল মাওয়াহিব 8/358 }} ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ اﻟﻠﻪ -ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ- ﻗﺎﻝ: "ﻣﻦ ﺯاﺭﻧﻲ ﺑﻊ ﻣﻮﺗﻲ ﻓﻜﺄﻧﻤﺎ ﺯاﺭﻧﻲ ﻓﻲ ﺣﻴﺎﺗﻲ"؛ ﻷﻧﻪ ﺣﻲ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ, ﻳﻌﻠﻢ ﺑﻤﻦ ﻳﺰﻭﺭﻩ ﻭﻳﺮﺩ ﺳﻼﻣﻪ অর্থাৎ! "নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার ইন্তেকালের পরে আমার (কবরের) জিয়ারত করল সে আমার জাহিরী জীবনে জিয়ারতকারী ন্যায় হবে।" (উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন) কারণ নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় কবরে জীবিত আছেন, জিয়ারতকারী ব্যক্তিদের তিনি চিনতে পান এবং তাদের সালামের উত্তর দেন। {{শারহুয যুরকানী আলাল মাওয়াহিব 12/181}} ﺃﻥ اﻟﻨﺒﻲ -ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ- ﺣﻲ -ﻛﻤﺎ ﺗﻘﺮﺭ" ﻭﺃﻧﻪ ﻳﺼﻠﻲ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ ﺑﺄﺫاﻥ ﻭﺇﻗﺎﻣﺔ, " অর্থাৎ! নিশ্চয়ই নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবিত রয়েছেন যেমনটা দলিল দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। নিশ্চয়ই তিনি নিজ কবরে আযান ও ইক্বামতের সহিত নামাজ আদায় করেন। {{শারহুয যুরকানী আলাল মাওয়াহিব 12/236 }} ✴️ বিশ্ব নন্দিত মুফাসসির হযরত ইমাম ইসমাইল হাক্কী ইস্তাম্বুলী হানাফী (ইন্তেকাল 1127-হিঃ) রাহমতুল্লাহি আলাইহি এর অভিমত- ﻭﻗﺪ ﻛﺮﻩ ﺑﻌﺾ اﻟﻌﻠﻤﺎء ﺭﻓﻊ اﻟﺼﻮﺕ ﻋﻨﺪ ﻗﺒﺮﻩ ﻋﻠﻴﻪ اﻟﺴﻼﻡ ﻻﻧﻪ ﺣﻰ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ অর্থাৎ! উলামা কেরাম নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু সালামের রওজা শরীফের পাশে আওয়াজ উঁচু করাকে অপছন্দ করেন, কারণ তিনি নিজ কবরে জীবিত আছেন। {{ তাফসীরে রুহুল বায়ান খন্ড-9 পৃষ্ঠা-66 }} ✴️আল্লামা মুহাম্মাদ বিন আলী শাওকানী (ইন্তেকাল 1250-হিঃ) এর অভিমত- ﻭاﻟﻤﺮاﺩ ﺑﺮﺩ اﻟﺮﻭﺡ اﻟﻨﻄﻖ ﻷﻧﻪ ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺣﻲ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ ﻭﺭﻭﺣﻪ ﻻ ﺗﻔﺎﺭﻗﻪ ﻟﻤﺎ ﺻﺢ ﺃﻥ اﻷﻧﺒﻴﺎء ﺃﺣﻲاء ﻓﻲ ﻗﺒﻮﺭﻫﻢ ﻛﺬا ﻗﺎﻝ اﺑﻦ اﻟﻤﻠﻘﻦ ﻭﻏﻴﺮﻩ অর্থাৎ! আত্মা ফিরিয়ে দেওয়ার অর্থ হলো, 'কথা বলা'। কারণ নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়া সালাম নিজ কবরে জীবিত আছেন এবং তাঁর আত্মা তাঁর থেকে পৃথক নেই। কারণ সহি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে, আম্বিয়ায়ে কেরাম আলাইহিমুস সালাম নিজ নিজ কবরে জীবিত রয়েছেন যেমনটা ইমাম ইবনুল মুলাক্কান ও অন্যান্যরা বলেছেন। {{তুহফাতুয যাকেরীন খন্ড-1 পৃষ্ঠা-46}} ✴️আল্লামা সুলাইমান বিন মুহাম্মাদ বিন উমার বাজীরামী শাফেয়ী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর অভিমত- ﻭﺇﻧﻤﺎ ﺣﺮﻣﻦ ﻋﻠﻰ ﻏﻴﺮﻩ ﻷﻧﻪ ﺣﻲ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ، ﻭﺭﻋﺎﻳﺔ ﻟﺸﺮﻓﻪ، ﻭﻷﻧﻬﻦ ﺃﺯﻭاﺟﻪ ﻓﻲ اﻟﺠﻨﺔ، ﻭﻷﻧﻬﻦ ﺃﻣﻬﺎﺕ اﻟﻤﺆﻣﻨﻴﻦ، অর্থাৎ! নিশ্চয়ই নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রীগণ কে অন্যান্য ব্যক্তিদের প্রতি হারাম করে দেওয়া হয়েছে। কারণ তিনি নিজ কবরে জীবিত আছেন। এবং তাঁর সম্মান ও মর্যাদার খেয়াল রাখা হয়েছে এবং তাঁরা জান্নাতে নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু সালামের স্ত্রী হিসেবে থাকবেন এবং তাঁরা হলেন মুমিনগণের মাতা। {{ তুহফাতুল হাবীব আলা শারহিল খাতীব খন্ড-1 পৃষ্ঠা-13 }} ﻭﻗﺪ ﺳﺌﻞ اﻟﻘﺎﺿﻲ ﺟﻼﻝ اﻟﺪﻳﻦ اﻟﺒﻠﻘﻴﻨﻲ ﻋﻦ ﺣﻜﻢ ﺳﺠﻮﺩ اﻟﻨﺒﻲ - ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﺗﺤﺖ اﻟﻌﺮﺵ ﻳﻮﻡ اﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ اﻟﻮﺿﻮء. ﻓﺄﺟﺎﺏ ﺑﺄﻧﻪ ﺑﺎﻕ ﻋﻠﻰ ﻃﻬﺎﺭﺓ ﻏﺴﻞ اﻟﻤﻮﺕ ﻷﻧﻪ ﺣﻲ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ ﻭﻻ ﻧﺎﻗﺾ ﻟﻄﻬﺎﺭﺗﻪ، অর্থাৎ! কাজী জালালুদ্দিন বালকিনি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি কে কিয়ামতের দিন আরশের নিচে নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়া সালাম এর ওজু অবস্থায় সাজদা প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যুর সময় গোসল এর পবিত্রতার উপর অব্যাহত আছেন। কারণ তিনি নিজ কবরে জীবিত রয়েছেন এবং তাঁর পবিত্রতা নষ্ট করার মত কোন জিনিস ঘটেনি। {{ তুহফাতুল হাবীব আলা শারহিল খাতীব খন্ড-2 পৃষ্ঠা-33}} ✴️ প্রচলিত আহলে হাদিস ভাইদের নিকট অতি গ্রহণযোগ্য একজন মুহাদ্দিস শায়েখ শুয়াইব আর্নাউত নাবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এক হাদিসের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেন, ﻓﻘﻮﻟﻬﻢ: "ﻭﻗﺪ ﺃﺭﻣﺖ" ﻛﻨﺎﻳﺔ ﻋﻦ اﻟﻤﻮﺕ، ﻭاﻟﺠﻮاﺏ ﺑﺄﻥ اﻟﻠﻪ ﺣﺮﻡ ... ﺇﻟﺦ ﻛﻨﺎﻳﺔ ﻋﻦ ﻛﻮﻥ اﻷﻧﺒﻴﺎء ﺃﺣﻴﺎء ﻓﻲ ﻗﺒﻮﺭﻫﻢ، অর্থাৎ! সাহাবায়ে কেরামের মন্তব্য "আপনি মাটি হয়ে যাবেন" হতে উদ্দেশ্য করা হয়েছে, 'মৃত্যু'কে। এবং নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু সালামের উত্তর "নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা জমিনের উপর নাবীগণের দেহ ভক্ষণ করা হারাম করে দিয়েছেন" থেকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে, নাবীগণ আলাইহিমুস সালাম কবরে জীবিত রয়েছেন। {{ তাখরিজুল মুসনাদ 26/86}} 🌹 উপরোল্লিখিত হাদিস সমূহ এবং ইমাম ও মুহাদ্দিসগনের অভিমত সমূহের পরিপ্রেক্ষিতে ইমাম ইশক মুহাব্বত চতুর্দশ শতাব্দীর মহান মুজাদ্দিদ আ'লা-হাযরাত ইমাম আহমদ রেজা রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ইরশাদ করেন, تو زندہ ہے واللہ تو زندہ ہے واللہ میرے چشم عالم سے چھپ جانے والے ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহর কসম আপনি জীবিত আছেন আল্লাহর কসম আপনি জীবিত আছেন, শুধু আমার চোখের সীমাবদ্ধতার বাইরে রয়েছেন। ✴️ সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! উপরোক্ত উদ্ধৃতি সমূহ ছাড়া আরও অসংখ্য মুহাদ্দিস ও ইমামগণের অভিমত হতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইন্তেকাল করেছেন বটে কিন্তু তাঁর ইন্তেকালের পর আল্লাহ তাআলা তাঁর আত্মা মুবারককে তাঁর শরীরের মধ্যে ফিরিয়ে দিয়েছেন। ফলে তিনি নিজ রওজা শরীফে সশরীরে জীবিত আছেন, আযান ও ইকামতের সহিত নামাজ আদায় করছেন তৎস নিজ উম্মতের সমস্ত আমল সমূহ প্রত্যক্ষ করছেন। তদ্রুপ অন্যান্য নাবীগণ আলাইহিমুস সালাম নিজ নিজ কবরে জীবিত ও নামাজ আদায় করেন। সুতরাং কোনো মুসলিম ব্যক্তির জন্য এ ধারণা ও আকীদাহ রাখা মোটেই উচিত হবে না যে, "নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ কবরে মৃত অবস্থায় আছেন" অথবা "তিনি মরে মাটির সঙ্গে মিশে গেছেন।" আল্লাহ তাআলা সমস্ত মুসলিম ভাই বোনদের কে নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে কুরআন ও হাদিস অনুযায়ী আকীদাহ রেখে জীবন অতিবাহিত করার শক্তি প্রদান করুন! আমীন বি-জাযহি সাইয়েদিল মুরসালীন আলাইহিস্ব স্বালাতু ওয়াত তাসলীম! ✍️ মুফতী আমজাদ হুসাইন সিমনানী 🌎 দক্ষিণ দিনাজপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত🌎

Comments -

FatimaPosted On: 2022-06-04
This is very important and informative article. This type of article must be spread among Muslim.
Most Read Articles