KeyOfIslam
Welcome To KeyOfIslam.com. KeyOfIslam is the platform to spread love and brotherhood among all people through the light of Prophet Mohammad(peace be upon him), the Final Messanger of Allah. Here you will get informations with precision.
Individual Articles
কুরআন ও হাদিসের আলোকে নাজাত প্রাপ্ত দলের বিবরণ
কুরআন ও হাদিসের আলোকে নাজাত প্রাপ্ত দলের বিবরণ মাওলানা আশিকুল হক মুজাদ্দেদী প্রায় ১৪৫০ বছর গত হয়ে গেল ইসলাম ধর্ম এ পৃথিবীতে এসেছে। এর মধ্যে অনেক বিপদাপদের মোকাবেলা করতে হয়েছে এই পবিত্র ধর্মকে। কিন্তু আল্লাহর লাখো শুকরিয়া যে, এ বাগান পূর্ব থেকে আজ অবধি আপন গতিতে রয়েছে। এ ধর্ম কখনো কুখ্যাত ইয়াযিদের শাসনামলে মেঘাচ্ছন্ন হয়েছে, কখনও শিয়া এবং রাফেজিদের চক্রান্তে ধূলিধূসরিত হয়েছে। কখনো আকবরের মতো বাদশাহরা দ্বীনে এলাহির মত ধর্ম তৈরী করে ইসলামকে পৃথীবির থেকে মুছে দিতে চেয়েছে। বর্তমান সময়ে আহলে হাদিস ও দেওবন্দী ফিতনাও ইসলামকে বিনাশ করার জন্য ইসলামকে কাঁচি দ্বারা থ্রি কোয়ার্টার প্যান্টের মত ছোট করতে শুরু করেছে। কিন্তু ইসলাম এমন এক স্থির পাহাড়, যার সম্মুখে কোন শক্তিই টিকে থাকতে পারেনি আর কিয়ামত পর্যন্ত পারবেও না । এটা যেমন ছিল তেমনই মজবুত রয়েছে। আর যতগুলো বাতিল দলই উদ্ভাবিত হোক না কেন সকল বাতিল মতবাদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য একটি হকপন্থি দল কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে, যারা রসূল এবং তাঁর সাহাবিগণ এবং সালফে স্বলেহিনের আক্বিদা, আমল, মত-পথের উপর প্রতিষ্ঠিত। সে দলের নাম হলো আহলে সুন্নাত অ জামাত। যেহেতু এই দল রসূল স্বল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবাদের নীতি আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত, সেহেতু এই দলই যে নাজাত প্রাপ্ত এতে কোন সন্দেহ নেই। আসুন এবার আমরা একের পর এক দলিলের মাধ্যমে জেনে নিই যে ,আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতই হলো একমাত্র নাজাতপ্রাপ্ত বা মুক্তিপ্রাপ্ত দল। কুরআনের আলোকে নাজাত প্রাপ্ত দলের পরিচয় : আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআন মাজিদে এরশাদ করেছেন- يَوْمَ تَبْيَضُ وُجُوهٌ وَتَسْوَدُّ وُجُوهٌ فَأَمَّا الَّذِينَ اسْوَدَّتْ وُجُوهُهُمْ أَكَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيمَانِكُمْ فَذُوقُوا الْعَذَابَ بِمَا كُنتُمْ تَكْفُرُونَ অর্থাৎ, -“সেদিন (কিয়ামতের দিন) কোন কোন মুখ উজ্জ্বল হবে, আর কোন কোন মুখ হবে কালো। বস্তুত যাদের মুখ কালো হবে, তাদরেকে বলা হবে তোমরা কি ঈমান আনার পর কাফির হয়ে গিয়েছিলে? এবার সে কুফুরির বিনিময়ে আযাবের স্বাদ আস্বাদন করো।“ ( আল ইমরান, ১০৬ নং আয়াত ) বর্তমানে আহলে হাদিস ও দেওবন্দীদের সব থেকে বড় গুরু আল্লামা ইবনে কাসীর হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর একটি উক্তি বর্ণনা করেছেন । তিনি বলেছেন- وتبيضُ وُجُوهُ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ অর্থাৎ, কিয়ামতের দিন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মুখ উজ্জ্বল হবে। ( তাফসীরে ইবনে কাসীর, ২ খন্ড, ৭৯ পৃঃ, দারুল কুতুবুল ইলমিয়্যাহ) এখান থেকে সুস্পষ্ট ভাবে বোঝা যায় যে, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত নতুন কোন দল বা মতের নাম নয়। এটি এমন একটা দল যার পরিচয় পবিত্র কোরআন আজও বহন করে চলেছে। এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম ইবনে আবি হাতেম রহমাতুল্লাহি আলাইহি সনদ সহকারে একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন, সেটি হলো – عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ : يَوْمَ تَبْيَضُ وُجُوهٌ وَتَسْوَدُّ وُجُوهٌ قَالَ: تَبْيَضُ وُجُوهُ أَهْلِ السنة والجماعة অর্থাৎ, “হযরত সাঈদ ইবনে যুবাইর রহমাতুল্লাহি আলাইহি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন যে , কিয়ামতের দিন যাদের মুখ উজ্জ্বল হবে তারাই হলো আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত। ( তাফসীরে আদ দুররুল মানসুর, ২ য় খন্ড, ২৯১ পৃঃ) তাছাড়া এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন- عن ابن عباس فِي هَذِهِ الْآيَة قَالَ تبيض وجوه وتسود وجوه قَالَ تبيض وجوه أهل السنة والجماعة وتسود وجوه أهل البدع والضلالة অর্থাৎ, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন, কিয়ামতের দিন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের মুখ উজ্জ্বল হবে এবং আহলে বিদআত বা দ্বীন থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মুখ কালো হবে।" ( তাফসীরে আদ দুররুল মানসুর, ২ য় খন্ড, ২৯১ পৃঃ) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় তিনি আরো বর্ণনা করেছেন যে, عن ابن عمر عن النبي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي قَوْله تَعَالَى يوم تبيض وجوه وتسود وجوه } قَالَ : تبيض وجوه أهل السنة وتسود وجوه أهل البدع অর্থাৎ, হযরত ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু নবী কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন যে, কিয়ামতের দিন যাদের মুখ উজ্জ্বল হবে তারাই হলো আহলে সুন্নাত ও জামাত এবং যাদের মুখ কালো হবে তারা হলো আহলে বিদআত। ( তাফসীরে আদ দুররুল মানসুর, ২ য় খন্ড, ২৯১ পৃঃ) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় তিনি আরো বর্ণনা করেছেন যে, عن أبي سعيد الْخُدْرِي أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَرَأَ يوم تبيض وجوه وتسود وجوه قَالَ : تبيض وُجُوه أهل الْجَمَاعَات والسنة وتسود وجوه أهل البدع والأهوا অর্থাৎ, হযরত আবু সাঈদ খুদরী হতে এ আয়াতের ব্যাখ্যাস্বরূপ বর্ণনা করেন যে, কিয়ামতের দিন যাদের মুখ উজ্জল হবে তারাই হলো আহলে জামাত অর্থাৎ আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাত, আর আহলে বিদআত ও দ্বীন থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এবং যাদের মধ্যে প্রবৃত্তিপূজা থাকবে তাদের মুখ কালো হবে।“ ( তাফসীরে আদ দুররুল মানসুর, ২ য় খন্ড, ২৯১ পৃঃ ) এ আয়াতের ব্যাখ্যায়, আহলে হাদিসদের ইমাম ইবনে তাইমিয়া উল্লেখ করেন- قال ابن عباس رضي الله عنهما : تبيض وجوه أهل السنة والجماعة وتسود وجوه أهل البدعة والفرقة অর্থাৎ, হযরত ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, কিয়ামতের দিন যাদের মুখ উজ্জ্বল হবে তারাই হল আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এবং যাদের মুখ কালো হবে তারা হল বিদআতী ও দ্বীন থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী ফিরকা। ( মাজমাউল ফাতওয়া, ২ য় খন্ড, ২৫২, মাকতাবাতুশ শামেলা ) এ ব্যাপারে আহলে হাদিসদের আরেক ইমাম শাউকানি তিনি উল্লেখ করেছেন, عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ : يَوْمَ تَبْيَضُ وُجُوهٌ قَالَ: نَبْيَضُ وُجُوهُ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ، وَتَسْوَدُّ وُجُوهُ أَهْلِ الْبَدَعِ وَالضَّلَالَةِ অর্থাৎ, হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন কেয়ামতের দিন যাদের মুখ উজ্জ্বল হবে তারা হলো আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাত এবং যাদের মুখ কালো হবে তারা হলো বেদাতি এবং পথভ্রষ্ট। ( ফাতহুল ক্বদীর, ১ মং খন্ড, ৪২৫ পৃঃ, মাকতাবাতুশ শামেলা ) হাদীস শরীফের আলোকে নাজাত প্রাপ্ত দলের পরিচয় عـن ابـن عـمـر قـال قال رسول الله صلى الله تعالى عليه وسلم لياتين على أمتـى كـمـا أتـى عـلـى بني إسرائيل حذو النعل بالنعل حتى إن كان منهم من أتى أمه علانية لكان في أمتي من يصنع ذلك وإن بني إسرائيل تفرقت على ثنتين وسبعين ملة وتفترق أمتى على ثلث وسبعين ملة كلهم في النار إلا ملة واحدة قالوا من هي يارسول الله قال ما أنا عليه وأصحابی বাংলা অনুবাদ:- হযরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা বর্ণনা করেছেন যে, রসূলে কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার উম্মতের জন্য এমন একটি সময় অবশ্যই আসবে, যেমনটি বানী ইসরাইল দের প্রতি এসেছিল। ঠিক একে অপরের মতন। এমন কি যদি ইসরাইলের কোন সন্তান তার মায়ের সাথে প্রকাশ্যে ব্যাভিচার করে থাকে, তবে আমার উম্মতের মধ্যে এমন কেউ অবশ্যই থাকবে, যে তা করবে। এবং বানী ইসরাঈল 72 দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল এবং আমার উম্মত 73 দলে বিভক্ত হয়ে যাবে। তার মধ্যে একটি দল ছাড়া বাকি সমস্ত দলগুলি জাহান্নামী হবে। সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম জিজ্ঞাসা করলেন ইয়া রসুলাল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, ওই একটি দল কারা হবে ? রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ওই দল যে দলে আমি আছি এবং আমার সাহাবারা। (সুনানে তিরমিজি, কিতাবুল ঈমান, চতুর্থ খন্ড, 291 পৃষ্ঠা, এবং মিসকাতুল মাসাবিহ, কিতাবুল ঈমান, প্রথম খন্ড, 54 পৃষ্ঠা ) এ হাদিসের ব্যাখ্যায় আল্লামা ইমাম মোল্লা আলী কারী রাহিমাহুল্লাহ বর্ণনা করেছেন, فَلَا شَكٍّ وَلَا رَيْبَ أَنَّهُمْ هُمْ أَهْلُ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ অর্থাৎ - এতে কোন সন্দেহ নেই যে, নাজাত প্রাপ্ত দলটি হল আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত। ( মিরকাতুল মাফাতিহ, প্রথম খণ্ড, ২৫৯ পৃঃ , মাকতাবাতুশ শামেলা) এ ব্যাপারে বিখ্যাত তাফসীর কারক আল্লামা ইসমাইল হাক্কী রাহিমাহুল্লাহ বর্ণনা করেন, وفرقة ناجية وهم اهل السنة والجماعة অর্থাৎ - একমাত্র নাজাত প্রাপ্ত দলই হলো আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত। ( তাফসীরে রুহুল বয়ান, প্রথম খণ্ড, ১৩ পৃঃ) এ ব্যাপারে আহলে হাদিসদের মহাগুরু আব্দুল্লাহ মুবারকপুরি বর্ণনা করেছেন, ولا شك أنهم أهل السنة والجماعة অর্থাৎ - এতে কোন সন্দেহ নেই যে মুক্তিপ্রাপ্ত দলটি হলো আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত। ( মিরআতুল মাফাতীহ, প্রথম খণ্ড, ২৭৫ পৃঃ ) এ ব্যাপারে আহলে হাদিসদের আরেক মহাগুরু আজিমাবাদি বর্ণনা করেছেন, هم أهل السنة والجماعة وهي الفرقة الناجية অর্থাৎ - এর দ্বারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতকে বুঝানো হয়েছে যারা মুক্তিপ্রাপ্ত দল। ( শারহে সুনানে আবি দাউদ, ১২ খন্ড, ২২৩ পৃঃ, মাকতাবাতুশ শামেলা) এই ব্যাপারে আহলে হাদিসদের আরেক বড় মহাগুরু ইবনে তাইমিয়া তার কেতাবে কয়েকটি হাদীস উল্লেখ করার পর নিজের সিদ্ধান্ত লিখেছে, ولهذا وصف الفرقة الناجية بأنها أهل السنة والجماعة ، وهم الجمهور الأكبروالسواد الأعظم অর্থাৎ - এই জন্য রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাজাত প্রাপ্ত দলকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত বলেছেন যেটি সব থেকে বড় ও মহান দল । ( মাজমুয়ায়ে ফাতওয়া, তৃতীয় খণ্ড, ৩৪৫ পৃঃ ) ইমাম আবু লায়েস সমরকন্দী উপরিউক্ত হাদীসটি ভিন্ন মাতান এর সহিত বর্ণনা করেছেন যে, قالوا يا رسول الله ما هذه الواحدة؟ قال: أهل السنة والجَمَاعَةِ الَّذِي أَنَا عَلَيْهِ، وَأَصْحَابِي অর্থাৎ - -“সাহাবায়ে কেরাম বললেন, হে আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাজাতপ্রাপ্ত দল কোনটি? তিনি বললেন, তারা হলো আহলুস্ সুন্নাহ ওয়াল জা’মাত। যারা আমার এবং আমার সাহাবাদের আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত।” ( তাফসীরে বাহারুল উলুম, ১ খন্ড, ৪৫৬ পৃঃ) এই হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, দুনিয়ার কোন আলেম, মুফতি, মুফাসসির তিনারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নাম বানিয়ে নেয়নি। স্বয়ং রসুলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ জোবান মোবারক দ্বারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের নাম ঘোষণা করিয়াছেন। এরপরেও যারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতকে মুক্তিপ্রাপ্ত দল হিসেবে মানে না। তারা আমাদের কোন ইমামের অমান্য করছে এমনটা নয়। স্বয়ং রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা কে অস্বীকার করছেন। এছাড়াও বড় বড় ইমামদের কিতাবের মধ্যে থেকে এই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের পরিচয় পাওয়া যায়। এ বিষয়ে আর কয়েকটি দলিল পেশ করা হলো। ইমাম মুসলিম তার সহীহ গ্রন্থের মুকাদ্দামায় বর্ণনা করেছেন, حدثنا أبو جعفر محمد بن الصباح حدثنا إسمعيل بن زكرياء عن عاصم الأحول عن ابن سيرين قال لم يكونوا يسألون عن الإسناد فلما وقعت الفتنة قالوا سموا لنا رجالكم فينظر إلى أهل السنة فيؤخذ حديثهم وينظر إلى أهل البدع فلا يؤخذ حديثهم অর্থাৎ - আগেকার যুগে মুহাদ্দিসগণ সনদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতেন না। কিন্তু যখন ফিতনার আবির্ভাব হলো , তখন তিনারা বলেছেন, “হাদিস বর্ণনাকারীর নাম বলো। বর্ণনাকারী যদি আহলে সুন্নাত এর অন্তর্ভুক্ত হতেন, তাহলে তাঁদের বর্ণিত হাদীস গ্রহণ করা হতো এবং যদি তারা বেদাতি হতো , তখন তাদের বর্ণিত হাদীস গ্রহণ করা হতোনা। ( মোকাদ্দামা সহীহ মুসলিম, প্রথম খণ্ড, ৮ পৃঃ ) ইবনে আসির তার কিতাব আল কামিল ফিত তারিখ এর মধ্যে বর্ণনা করেছেন, أنتما سيدا شباب أهل الجنة ، وقرة عين أهل السنة অর্থাৎ - রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইমাম হাসান ও হোসাইন রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা দের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা দুজন বেহেশতী যুবকদের সর্দার এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর চোখের শীতলতা। ( আল কামিল ফিত তারিখ, তৃতীয় খণ্ড, ৪৩০ পৃঃ) ইমাম শামসুদ্দিন জাহাবি তাযকিরাতুল হুফফাজ এর মধ্যে বর্ণনা করেছেন لا تصلى الا خلف من تثق به و تعلم انه من اهل السنة অর্থাৎ - আপনি শুধু সেই ব্যক্তির পিছনেই সালাত আদায় করুন যাকে আপনি বিশ্বাস করেন এবং আপনি জানেন যে তারা হলো আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর সাথে সম্পর্কিত।( তাযকিরাতুল হুফফাজ, প্রথম খণ্ড, ২০৭ পৃঃ) ইমাম জাউযী আত তারগীব ওয়াত তাহযীব গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, علامة أهل السنة كثرة الصلاة على رسول الله ﷺ অর্থাৎ - আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর আলামত হচ্ছে এটাই যে তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি বেশি বেশি পরিমাণ দরুদ পাঠ করে থাকে। ( আত তারগীব ওয়াত তাহযীব, দ্বিতীয় খণ্ড, ৩৩৩ পৃঃ) আল্লামা ইসমাইল হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাফসীরে রুহুল বয়ানের মধ্যে বর্ণনা করেছেন, ولكني على مذهب أهل السنة والجماعة شريعة وطريقة ومعرفة وحقيقة অর্থাৎ - আমি শরীয়ত, তরিকত, মারেফত, হকিকত এর দিক থেকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর মত এর উপরেই আছি। ( তাফসীরে রুহুল বয়ান, পঞ্চম খন্ড, , ১০৩ পৃঃ ) উপরের সংক্ষিপ্ত আলোচনা থেকে এটাই স্পষ্ট হয় যে নাজাত প্রাপ্ত দল হলো আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত। এরপরেও যারা বোঝেনা বা বুঝতে চায় না, বুঝে নেবেন তারা জাহান্নামী ফিরকা ছাড়া আর অন্য কেউ নয়। কারণ বর্তমানে এদের অবস্থা এমন হয়েছে যে, নিজের ঈমানকে বিক্রি করে দিবে কিন্তু শায়েখের কথাকে অমান্য করতে পারবে না। আর যারা বুঝবে না তাদেরকে হাজার দলিল দিয়েও বোঝানো সম্ভব হবে না। কারণ আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনুল কারীমে ঘোষণা করেছেন, আমি তাদের ক্বালবে মোহর মেরে দিয়েছি (সূরা বাকারা) । আর যাদের ক্বালবে আল্লাহ তাআলা মোহর মেরে দিয়েছেন , তাদেরকে আমাদের মতন সাধারন মানুষ বোঝাতে অক্ষম হবে এটাই স্বাভাবিক।

Comments -

CommentorPosted On: 2025-01-24
আরে জাহেল, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত একটা জামাআহ! এইডা ফেরকা না। তোরা তো ফেরকা বানাইয়া সভাপতি,সেক্রেটারি বানায় রাখছস।
Posted On: 2025-01-24
Posted On: 2025-01-24
Posted On: 2025-01-24
AhamadPosted On: 2025-01-24
AhamadPosted On: 2025-01-24
Most Read Articles