KeyOfIslam
Welcome To KeyOfIslam.com. KeyOfIslam is the platform to spread love and brotherhood among all people through the light of Prophet Mohammad(peace be upon him), the Final Messanger of Allah. Here you will get informations with precision.
Individual Articles
রসূল ﷺ-এর পবিত্র দেহ মোবারকের ছায়া ছিল না।
রসূল ﷺ-এর পবিত্র দেহ মোবারকের ছায়া ছিল না। মোহাম্মদ জিয়া নোমানী মিসবাহী (আসাম) শিক্ষার্থীঃ আল জামিয়াতুল আশরাফিয়া, উত্তর প্রদেশ, ভারত আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় হাবিব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে অনেক মোজেযা দান করেছেন। তার মধ্য থেকে একটি মোজেযা হলো হুজুর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র দেহ মোবারক ছায়াবিহীন ছিল । সূর্যের আলোতে, চাঁদের কিরণে তার কোন ছায়া পড়তো না, বরং তিনি যে কাপড় পরিধান করতেন সেই পোশাকও ছায়াবিহিন হয়ে যেত। ★আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ قد جاءكم من الله نور وكتاب مبين، নিশ্চয় তোমাদের নিকটে আল্লাহর পক্ষ থেকে একটা নূর এসেছে ও স্পষ্ট কিতাব । [পারা-০৬ সূরা-মায়দাহ আয়াত-১৫] يايها النبي انا ارسلناك شاهدا ومبشرا ونذيرا وداعيا الى الله باذنه وسراجا হে! অদৃশ্যের সংবাদদাতা। নিশ্চয়ই আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি, “উপস্থিত” (হাযির-নাযির) সংবাদদাতা এবং সতর্ককারীরূপে। এবং আল্লাহর প্রতি তার নির্দেশে আহ্ববানকারী আর আলোকাজ্জ্বলকারী সূর্যরূপে। [পারা-১৭ সূরা-আহযাব আয়াত-৪৫-৪৬] আল্লাহ তাআলা প্রথম আয়াতে হুজুরকে নূর এবং দ্বিতীয় আয়াতে সূর্য বলে সম্বোধন করেন এবং এটা স্পষ্ট যে আলোর ছায়া নেই, সূর্যেরও নেই,।এই আয়াতগুলো প্রমাণ করে যে নবী ছায়াবিহীন ছিলেন। ★তাফসীরে মাদারিক শরীফ পারা ১৮ সূরা নূর এর মধ্যে لولا اذ سمعتموه এই আয়াতের নিচে একটি ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে,যে লোকেরা উম্মুল মু'মিনীন আয়েশা সিদ্দিকা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা কে অপবাদ দেয়, হুজুর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই বিষয়ে সাহাবায়ে কেরামের পরামর্শ নিলেন, তখন হযরত উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হুজুর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আরজ করলেন: وقال عثمان ان الله ما وقع ظلك على الارض لئلا يقع انسان قدمه على ذلك الظل فلما لم يكن احدا من وضع القدم على ظلك كيف يمكن احدا من تلويث عرض زوجتك— অর্থ:উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, হে আল্লাহর রসূল, আল্লাহ তাআলা আপনার ছায়া পৃথিবীতে পড়তে দেননি, যাতে ছায়ায় কেউ পা রাখতে না পারে, আল্লাহ রব্বুল আলামীন যখন কাউকে আপনার ছায়ায় পা রাখার সুযোগ দেননি, তখন তিনি কীভাবে কাউকে আপনার স্ত্রীর সততাকে কলঙ্কিত করার ক্ষমতা দেবেন। [তাফসীরে মাদারিক ৩ খন্ড পৃষ্ঠা ১৩৫ বৈরুত] ★আমিরুল মু'মিনীন হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেনঃ ان عمر رضي الله تعالى عنه قال رسول الله صلى الله عليه وسلم انا قاطع بكذب المنافقين لان عصمك من وقوع الذباب على جلدك لانه يقع على النجاسات فيتلطخ بها فلما عصمك فالك القدر من القدر فكيف لا يعصمك من صحبة من تكون مختلطة يمشي ه‍ذه الفاحشة — অর্থ:উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, আমরা নিশ্চিত যে মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী, কারণ আল্লাহ আপনার পবিত্র শরীরকে মাছি বসা থেকে রক্ষা করেছেন, কারণ মাছি ময়লার উপর বসে,যার মধ্যে সে হোঁচট খায়, যখন আল্লাহ তায়ালা আপনাকে এত নোংরামি থেকে রক্ষা করেছেন, তাহলে কেন তিনি আপনাকে এমন মন্দ স্ত্রীর সঙ্গ থেকে রক্ষা করবেন না? হযরত উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কথা থেকে প্রমাণিত হয় যে, হুজুর সল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের শরীর ছিল পবিত্র ও ছায়াহীন এবং হজরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কথা থেকে প্রমাণিত হয় যে, মাছি কখনো তাঁর পবিত্র শরীরে বসেনি, পবিত্র শরীর ছায়াহীন হওয়া মোজেযা এবং মাছি না বসাও একটা মোজেযা। ★বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা ইমাম হাকীম তিরমিযী রহিমাহুল্লাহ বর্ননা করেনঃ ان رسول الله صلي الله عليه و سلم لم يكن يرى له ظل في شمس ولاقمر، অর্থঃ নিশ্চয়ই সূর্য ও চাঁদের আলোতে হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছায়া মুবারক দেখা যেত না।” [ নাওয়াদিরুল উসূল ] তাবেয়ী হযরত যাক্ওয়ান রাহিমাহুল্লাহ বলেনঃ انًّ رسول الله صلى الله عليه وسلم لم يكن يرى له ظل فى شمس ولا قمر অর্থঃ হুজুর সল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছায়া না সূর্যালোকে দেখা যেতো না চন্দ্রালোকে। [যুরকানী আলাল মাওয়াহিব, ৪র্থ খন্ড,পৃষ্ঠা-২৪০] ★ইমামুল মুহাদ্দিসীন, আল্লামা হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রাহিমাহুল্লাহ আরেকটি সনদে হাদিস শরীফ বর্ণনা করেনঃ وفي حديث ابن عباس قال لم يكن لرسول الله صلي الله عليه و سلم ظل ولم يقع مع الشمس قط الا غلب ضوءه ضوء الشمس ولم يقع مع سراج قط الا غلب ضوءه ضوء السراج অর্থঃ হযরত ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছায়া মুবারক ছিলো না, এবং সূর্যের আলোতেও কখনো উনার ছায়া পড়তো না। আরো বর্ণিত আছে, উনার নূর সূর্যের আলো কে অতিক্রম করে যেত। আর বাতির আলোতেও কখনো উনার ছায়া মুবারক পড়তো না। কেননা উনার আলো বাতির আলোকেও ছাড়িয়ে যেত।” [জামউল ওয়াসিল ফি শরহে শামায়িল ২১৭ পৃষ্ঠা] ★হাফিজুল হাদীস ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহিমাহুল্লাহ বর্ণনা করেনঃ اخرج الحكيم الترمذي عن ذكوان في نوادر الاصول ان رسول صلي الله عليه و سلم لم يكن يرى له ظل في شمس ولا قمر অর্থঃ হযরত হাকীম তিরমীযী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ” নাওয়াদিরুল উসূল” নামক কিতাবে জাকওয়ান থেকে বর্ণনা করেন,নিশ্চয়ই সূর্য ও চাঁদের আলোতেও রসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছায়া মুবারক দেখা যেত না।” [খাসায়েসুল কুবরা,১ম খন্ড,১২২ পৃষ্ঠা] ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহিমাহুল্লাহ তাঁর কিতাব ‘খাসায়েসুল কুবরায়’ হুজুর সল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছায়া ছিল না এই বিষয়ে একটি অধ্যায় রচনা করেছেন এবং এই জাক্ওয়ানের হাদীস বর্ণনা করে বলেন, قال ابن سبع من خصائصه صلى الله عليه وسلم انّ ظله كان لا يقع على الارض وانه كان نورا فكان اذا مضى فى الشمس او القمر لاينظر له ظل، অর্থঃ ইবনে সাবা বলেছেন, এটা হুজুর সল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এঁর বৈশিষ্ট্যসমূহের অন্তর্গত যে,হুজুর সল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছায়া জমীনে পড়তো না এবং তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ নূর। তিনি যখন সূর্যালোকে কিংবা চন্দ্রালোকে চলতেন, তাঁর ছায়া দেখা যেতো না। [খাসায়েসুল কুবরা,১ম খন্ড, পৃষ্ঠা-১১৬] ★আল্লামা ইমাম যুরকানী রহিমাহুল্লাহ উনার শারহে মাওয়াহিবুল লাদুন্নীয়া শরীফে বর্ণনা করেছেন- لم يكن له صلى الله عليه وسلم ظل فى شمس ولاقمر لانه كان نورا- অর্থঃ “সূর্য ও চাঁদের আলোতেও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছায়া ছিল না। কেননা তিনি নূর ছিলেন।”(আর নূরের কোন ছায়া নেই) ★ইমামুল জলীল, মুহাদ্দিসুশ শহীর,আল্লামা ইমাম কাজী আয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ وَمَا ذُكِرَ مِنْ اَنَّهٗ كَانَ لاَ ظِلَّ لِشَخْصِهٖ فِى شَمْسٍ وَلاَ قَمَرٍ لِاَنَّهٗ كَانَ نُوْرًا নূরের দলিল হিসেবে ছায়াহীন দেহের যে বর্ণনা পেশ করা হয়,তা হচ্ছে “দিনের সূর্যের আলো কিংবা রাত্রের চাঁদের আলো কোনটিতে হুজুর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেহ মোবারকের ছায়া পড়তো না।কারন তিনি আপাদমস্তক নূর ছিলেন।” ইমাম হাফেজ আবুল ফযল ক্বাযী আয়াজ রহিমাহুল্লাহ আরও বলেনঃ و قد سماه الله تعالى فى و سراجا منيرا فقال تعالي قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين و قال تعالى انا ارسلناك شاهدا و مبشيرا و نذيرا و داعيا الى الله باذنه و سراجا منيرا و قال فى غير هذا الموضع انه كان لاظل لشخصه في شمس و لا قمر لانه كان نورا الذباب كان لا يقع على جسده و لا ثيابه- অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা কোরআন করীমে তাঁর নাম রেখেছেন নূর ও সিরাজুম্‌ মুনীর।যেমন তিনি বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে নূর ও স্পষ্ট কিতাব এসেছে।আরো বলেছেন,আমি তো আপনাকে পাঠিয়েছি হাযির ও নাজিররূপে,আল্লাহর প্রতি তার নির্দেশে আহ্বানকারীরূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপ (সিরাজুম মুনীর ) রূপে। নিশ্চয়ই তাঁর ছায়া ছিল না।না সূর্যালোকে না চন্দ্রালোকে কারণ তিনি ছিলেন নূর। তাঁর শরীর ও পোশাক মোবারকে কখনও মাছি পর্যন্ত বসত না।[শিফা শরীফ ১ম খন্ড,পৃষ্ঠা ২৬৪] ★বাহরুল উলুম,শায়খুল মাশায়েখ,আল্লামা ইবনে সাবা রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ ان ظله كان لا يقع علي الارض كان نورا فكان اذامشى في الشمس اوالقمر لا ينظر له ظل অর্থ: নিশ্চয়ই হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছায়া মুবারক জমীনে পড়তো না।কেননা তিনি ছিলেন নূর। তিনি যখন সূর্য ও চাঁদের আলোতে হাঁটতেন তখন উনার ছায়া মুবারক দৃষ্টিগোচর হতোনা।[ শিফাউছ ছুদুর] ★বিখ্যাত আলেম, হযরত আল্লামা হুসাইন দিয়ার বিকরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ لم يقع ظله صلي الله عليه و سلم علي الارض ولايري له ظل في شمس ولا قمر অর্থঃ হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছায়া মুবারক জমিনে পড়তো না। এবং চাঁদ এবং সূর্যের আলোতেও উনার ছায়া মুবারক দেখা যেত না।”[তারিখুল খামিস ১ম পৃষ্ঠা-২৪৮] ★বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা শিহাবুদ্দীন খাফফাজী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ من دلائل نبوته صلي الله عليه و سلم ماذكر من انه لا ظل لشخصه اي جسده الشريف اللطيف اذاكان في شمس او قمر لانه صلي الله عليه و سلم نور অর্থ: হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুওয়াত মুবারকের প্রমাণসমূহের মধ্যে একটি প্রমাণ যে,উনার শরীর মুবারকের ছায়া মুবারক ছিলো না। যখন তিনি চাঁদ ও সূর্যের আলোতে হাঁটতেন তখন উনার ছায়া মুবারক পড়তো না। কেননা তিনি (আপাদমস্তক) নূর।” [নাসীমুর রিয়াজ ১ম খন্ড পৃষ্ঠা-২৮২] ★হাফিজে হাদীস, হযরত ইবনে হাজার মাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উল্লেখ করেন: انه صلي الله عليه و سلم صار نورا انه كان اذا مشى في الشمس و لا يظهر له ظل অর্থঃ নিশ্চয়ই হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নূর ছিলেন। নিশ্চয়ই তিনি যখন চাঁদ ও সূর্যের আলোতে হাঁটতেন তখন উনার ছায়া মুবারক প্রকাশ পেতো না।[আফদ্বালুল ক্বোরা] তিনি উক্ত কিতাবে আরও বলেন: ومما يؤيد انه صلى الله عليه وسلم ضاء نورا انه كان اذا مشى فى الشمس و القمر لا يظهر له ظل لانه لا يظهر الا الكثيف وهو صلى الله عليه وسلم قد خلصه الله من سائر الكثا فات الجسمانية وسيره نورا صرفا لا يظهر له ظل اصلا অনুবাদঃ হুজুর সল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পূর্ণ নূর হওয়ার সমর্থন এ থেকে হয় যে,সূর্যালোকে কিংবা চন্দ্রালোকে তাঁর ছায়া হতো না। কারণ ছায়া তো হয় জড় দেহের আর হুজুর সল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ তা’আলা সকল শারীরিক জড়তা থেকে নিঁখুত করে সম্পূর্ণ নূরে পরিপূর্ণ করেছিলেন। অতএব হুজুর সল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ‍ওয়া সাল্লামের কোন ছায়া ছিল না।[আফদ্বালুল ক্বোরা] ★ইমামুল মুহাদ্দিসীন, শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ ونبود مر أنحضرت را صلي الله عليه و سلم سايه نه در افتاب ونه قمر অর্থঃ হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক চাঁদ ও সূর্যের আলোতে দেখা যেত না।”[মাদারেজুন নবুওয়াত,১ম খন্ড,১ম অধ্যায়] ★হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ اورا صلي الله عليه و سلم سايه نبود در عالم شهادت سايه هر شخص ازشخص لطيف تراست چون لطيف تري ازوي صلي الله عليه و سلم در عالم نباشد او را سايه چه صورت وارد– অর্থঃ হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছায়া মুবারক ছিলো না। প্রত্যেক লোকের ছায়া তাঁর দেহ থেকে সুক্ষ্ম।যখন হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চাইতে আর কোন কিছু সুক্ষ্ম নয়,তখন উনার ছায়া মুবারক কি আকার ধারণ করতে পারে ?”[মাকতুবাত শরীফ,৩য় খন্ড,১০০ নং মাকতুব] ★ইমামুল মুফাসসিরীন, আল্লামা শাহ আব্দুল আযিয মুহাদ্দিস দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ سايه ايشان بر زمين نمي افتاد অর্থঃ হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছায়া মুবারক মাটিতে পড়তো না।”[তাফসীরে আযিযী-৩০ পারা- সূরা আদ দ্বুহা ] ★ফক্বীহে মিল্লাত, হযরত আল্লামা মুফতী জালালুদ্দীন আহমদ আমজাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ بے شک حضور پرنور سر کار اقدس صلی اللہ علیہ وسلم کی جسم اقدس کا سایہ نھیں پڑتا تھا، جیسا کہ حدیث شریف میں ہے ”لم یکن له ظل لا فی الشمس ولا فی القمر“ یعنی سورج اور چاندکی روشنی میں حضور کا سایہ نھیں پڑتا تھا- অর্থঃ “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পূর নূর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র দেহ মুবারকের ছায়া (জমীনে) পড়তো না।যেমন পবিত্র হাদীস শরীফের মধ্যে বর্ণিত আছে যে, চাঁদ ও সূর্যের আলোতেও সাইয়্যিদুল মুরসালীন,ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন,নূরে মুজাসসাম,হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছায়া পড়তো না।” [ফাতাওয়া ফায়জুর রসূল ১খন্ড পৃষ্ঠা -২৭] ★মৌলভী আশরাফ আলী থানবীও বলেছেনঃ يہ بات مشهور ہے کہ ہمارے حضرت صلي عليه و سلم كے سایہ نہیں تھا ( اصل یہ ہے کہ) ہمارے حضرت صلي الله عليه و سلم سرتاپا نور ہی نور تھے — অর্থঃ একথা প্রসিদ্ধ যে ,হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শরীর মোবারকের ছায়া ছিলো না।কেননা হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপাদমস্তক নূর ছিলেন তথা নূরে মুজাসসাম ছিলেন।[শুকরুন নি’মাহ,পৃষ্ঠা-৩৯] এই সমস্ত হাদীস ও দলিল দ্বারা প্রমাণিত হয়, যে হুজুর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছায়াবীহীন ছিলেন।

Comments -

Most Read Articles