KeyOfIslam
Welcome To KeyOfIslam.com. KeyOfIslam is the platform to spread love and brotherhood among all people through the light of Prophet Mohammad(peace be upon him), the Final Messanger of Allah. Here you will get informations with precision.
Individual Articles
সুন্নী ছেলে বা মেয়ের বিয়ে কোন বাতিল পন্থির সাথে কি হবে ?
সুন্নী ছেলে বা মেয়ের বিয়ে কোন বাতিল পন্থির সাথে কি হবে ? মুফতি গোলাম মাসরুর আহমাদ মিসবাহী, পাকুড়, ঝাড়খণ্ড। বর্তমানে বাতিল পন্থিরা সুন্নী মুসলমানদের ঈমান ছিনতাই করার একটি খুব সহজ পদ্ধতি বের করেছে, যে ছলেবলে কলাকৌশলে যে ভাবেই হোক সুন্নীদের সঙ্গে ছেলে বা মেয়ের বিবাহ দিয়ে একটা গভীর সম্পর্ক তৈরি করা হোক, যাতে তাদের ঈমান টা লুণ্ঠন করা আমাদের জন্য সহজ হয়ে যায়, এবং ভোলা ভালা সাধারণ সুন্নী মুসলমান অজান্তে তাদের ফাঁদে পা দিয়ে দিচ্ছে, এবং তাদের সঙ্গে উঠা বসা, খাওয়া দাওয়া ইত্যাদি করে তাদের শয়তানী চক্রান্তে পড়ে তাদের ভুল, বাতিল ও কুফরী আকিদা গ্ৰহণ করে নিয়ে নিজের ঈমান টা কে হারিয়ে ফেলছে। কিছু কিছু সাধারণ মানুষ বলে যে, ওরাও তো নামাজ পড়ে, রোজা রাখে, ধর্মীয় কথা বলে, মানুষ কে ভালো শিক্ষা দেয় বরং ওরা তো আমাদের থেকে বেশি ধার্মিক মনে হয়। আমি সেই ভোলা ভালা সাধারণ সুন্নী মুসলমান কে বলবো: আযাযীল শয়তানের ব্যাপারে আপনাদের ধারনা কি ? সে কি নামাজ পড়তোনা, রোযা রাখতো না আল্লাহ তায়ালা কে মানতোনা, না ধর্মেরে শিক্ষা দিতোনা, কোন কি ভালো কাজ করেনি ? কিন্তু তাকে জান্নাত থেকে কেন বের করা হলো ? একটাই কারণ সে একজন নবী হযরত আদম আলাইহিস সালাম এর সম্মান করেনি, তাই তাকে শয়তান ও মানুষের প্রকাশ্যো দুশমন বলে ঘোষিত করা হলো এবং অভিশাপ দিয়ে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হলো। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন: قَالَ فَٱخۡرُجۡ مِنۡهَا فَإِنَّكَ رَجِیمࣱ ۝٧٧ وَإِنَّ عَلَیۡكَ لَعۡنَتِیۤ إِلَىٰ یَوۡمِ ٱلدِّینِ ۝٧٨ (পারা ২৩, সুরা সোয়াদ, আয়াত নং ৭৭/৭৮) অনুবাদ : বললেন: তু জান্নাত থেকে বের হয়ে যা, নিশ্চয়ই তু বিতাড়িত, ক্বিয়ামত পর্যন্ত তোর উপর আমার অভিসম্পাত রয়লো। আরো এক জায়গায় বলেন: إِنَّ ٱلشَّیۡطَـٰنَ لِلۡإِنسَـٰنِ عَدُوࣱّ مُّبِینࣱ ۝٥ ( পারা ১২, সুরা ইউসুফ, আয়াত নং ৫) অনুবাদ: নিশ্চয় শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। এবার বলুন : যখন শয়তান এতো নামাজ রোজা ইত্যাদি করার পরেও শুধু একজন নবীর সম্মান না করার কারণে তার কোন কিছুই কার্যকারী হলোনা, তাহলে যারা নবীদের নবী হুজুর স্বল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ব্যাপারে অসম্মানজনক কথা বললে তাদের নামাজ রোজা ইত্যাদি কি করে কাজে লাগবে? এছাড়া হাদীসে পাকের মধ্যে স্বয়ং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এদের বে ঈমান হওয়ার ঘোষনা করেছেন এবং ওদের থেকে দূরে থাকার আদেশ দিয়েছেন: عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ : " يَخْرُجُ فِيكُمْ قَوْمٌ تَحْقِرُونَ صَلَاتَكُمْ مَعَ صَلَاتِهِمْ، وَصِيَامَكُمْ مَعَ صِيَامِهِمْ، وَعَمَلَكُمْ مَعَ عَمَلِهِمْ، وَيَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لَا يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ، يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ. ( বুখারী শরীফ, হাদীস নং ৫০৫৮) অনুবাদ : আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি: ভবিষ্যতে এমন সব লোকের আগমন ঘটবে, যাদের নামাজের তুলনায় তোমাদের নামাজ কে, তাদের রোজার তুলনায় তোমাদের রোজাকে এবং তাদের ‘আমালের তুলনায় তোমাদের ‘আমালকে তুচ্ছ মনে করবে। তারা কুরআন পাঠ করবে, কিন্তু তা তাদের কণ্ঠনালীর নিচে (অর্থাৎ অন্তরে) প্রবেশ করবে না। এরা দ্বীন থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে যেমনভাবে নিক্ষিপ্ত তীর ধনুক থেকে বেরিয়ে যায়। যে নামাজ, রোজা ইত্যাদি আমল দেখিয়ে মানুষ কে ধোকা দিচ্ছে সেই নামাজ রোজা ইত্যাদি আমলের ব্যাপারেই অদৃশ্যের খবরদাতা আমার দয়ার রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: তারা তোমাদের থেকে বেশী নামাজ পড়বে রোজা রাখবে, অধিক পরিমাণে আমল করবে, কিন্তু সব লোক দেখানো কোনটাই কাজে লাগবেনা, কুরআন পড়বে কিন্তু অন্তর থেকে পড়বেনা, তারা দ্বীন থেকে বেরিয়ে যাবে। এবার বলুন: বর্তমান সময়ে কারা এইগুলো করছে, দেওবন্দী, নামধারী আহলে হাদীসরা নয় তো আর কারা আছে? তাহলে বুঝা গেল শুধু নামাজ রোজা ইত্যাদি আমল করলে কেউ ঈমান দার হয়না বরং আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের প্রতি সঠিক ঈমান তিনার উপর মহব্বত ও তাঁর সম্মান করতে হবে তার পরে আমল কাজে লাগবে এবং সে প্রকৃত ঈমানদার হবে। তাদের থেকে সাবধানে থাকার আরও একটি হাদীস: عن أَبَي هُرَيْرَةَ قال : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " يَكُونُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ دَجَّالُونَ كَذَّابُونَ، يَأْتُونَكُمْ مِنَ الْأَحَادِيثِ بِمَا لَمْ تَسْمَعُوا أَنْتُمْ وَلَا آبَاؤُكُمْ، فَإِيَّاكُمْ وَإِيَّاهُمْ، لَا يُضِلُّونَكُمْ وَلَا يَفْتِنُونَكُمْ ". ( মুসলিম শরীফ, হাদীস নং ৭) অনুবাদ: হযরতে আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: শেষ যুগে বহু ধোকাবাজ ও মিথ্যুকের আবির্ভাব ঘটবে, যারা এমন এমন হাদীস শুনাবে যা তোমরা ও তোমাদের বাপ দাদারাও কখনো শুনেনি, সুতরাং তাদের থেকে সাবধান থাকবে এবং তাদেরকে তোমাদের থেকে দূরে রাখবে। তারা যেন তোমাদের বিভ্রান্ত না করতে পারে এবং তোমাদেরকে ফিতনায় না ফেলতে পারে। বলুন বর্তমান সময়ে বেশি হাদীস হাদীস কারা করছে? এমনকি তারা নিজের বাতিল দলের নাম “ আহলে হাদীস” রেখেছে, যদিও বা তারা শুধু নামের আহলে হাদীস। তারা ঐ হাদীস গুলো নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে যেগুলো নিজেদের পক্ষে মনে করে, তা ব্যতীত বহু হাদীসের অমান্য করছে , এবং এমনভাবে হাদীসের অনুবাদ বা ব্যাখ্যা করছে যার হাদীসের সঙ্গে কোন সম্পর্কই নেই। এবং এমন এমন হাদীস শুনাচ্ছে যা কোন কালে কেউ শুনেনী, এদেরকেই তো উক্ত হাদীসে বড়ো ধোকাবাজ ও মিথ্যুক বলা হয়েছে। এবং তাদের থেকে দূরে থেকে নিজের ঈমান বাঁচানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে। যাদের থেকে দুরে থাকতে এবং ঈমানের হিফাজত করতে বলা হয়েছে, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক করা, উঠা বসা, খাওয়া দাওয়া, তাদের ছেলে মেয়ের সঙ্গে বিবাহ করা কি করে জায়েজ হতে পারে? সুতরাং আমি সমস্ত সুন্নী মুসলমানদের কে আহ্বান করবো, তাদের থেকে সাবধানে থাকবেন, নিজের ছেলে বা মেয়ের বিবাহ দেওয়ার আগে ১০০ বার যাচাই করে নিবেন যে আপনি কোন ঈমান লুটা ফাঁদে পা দিচ্ছেন না তো? , কোন ঈমান ছিনতাই করা পথ গামী হচ্ছেন না তো? দেওবন্দী, নামধারী আহলে হাদীস ইত্যাদি বাতিল পন্থি দের সাথে বিবাহের বিধান :- বাতিল পন্থি সে দেওবন্দী, তাবলীগী জামাআত হোক বা নামধারী আহলে হাদীস ( ওহাবী, লামাযহাবী, গাইর মুকাল্লিদ, ফারাজী বা সালাফী ) হোক কিংবা অন্যান্য কোন বাতিল পন্থি, যাদের‌ আক্বীদা কুফর এর স্তর পর্যন্ত পৌঁছে গেছে ওদের সঙ্গে কোন সুন্নী মুসলমান ছেলে বা মেয়ের বিয়ে মোটেই জায়েজ নয়, বিয়ে দিলে সেটা বৈধ হবেনা, তারা যতদিন মিলামিশা করবে গুনাহে কাবিরায় লিপ্ত হবে, সন্তান জন্ম গ্রহণ করলে সে জারদ হবে। তাদের থেকে পৃথক হয়ে যাওয়া ফরয। কেন না তারা মুরতাদ বা কাফের। এবং সুন্নী মুসলমানের বিবাহ বৈধ হওয়ার জন্য একটি শর্ত হলো ছেলে বা মেয়ে উভয়ের মধ্যে কারোর মুরতাদ বা কাফির না হওয়া। মূলত মানুষ দুই প্রকারের হয়: (১) মুসলমান (২) কাফের। অতঃপর কাফের দুই প্রকারের হয়, আসলি কাফের, মুরতাদ কাফের। আসলি কাফের: তাদেরকে বলা হয় যারা প্রথম থেকেই ইসলামের কলেমার অস্বীকার করে অর্থাৎ আল্লাহ কে এক এবং তার রসূল কে মানেনা। যেমন- হিন্দু, আদিবাসী, ইত্যাদি। মুরতাদ কাফের : তাদের কে বলা হয় যারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর পুনরায় এই ধর্ম পরিত্যাগ করে দিয়েছে। আবার মুরতাদ কাফেরও দুই প্রকারের হয়: (১) যারা প্রকাশ্যে নিজের ইসলাম ধর্ম পরিবর্তন করে হিন্দু ইত্যাদি হয়ে যাওয়ার ঘোষণা করে দেয়। (২) যারা প্রকাশ্যে ইসলাম ধর্ম পরিবর্তন করে না সেটাকে গোপনে রাখে এবং নিজেকে মুসলমান দাবী করে, যারা মুনাফিক। যেমন- বর্তমান যুগের দেওবন্দী, নামধারী আহলে হাদীস ইত্যাদি বাতিল দল, এদের আক্বীদা কুফরি হওয়ার কারণে তারা ইসলাম থেকে বের হয়ে গেছে। কিন্তু তারা নিজেকে মুসলমান দাবী করে। যখন দেওবন্দী, নামধারী আহলে হাদীসদের গুরুরা নিজেদের পুস্তক “তাকবিয়াতুল ঈমান, তাহযিরুন নাস, বারাহীনে ক্বাতিয়া ইত্যাদির মধ্যে কুফরী আক্বিদা ও রসূলের শানে বেয়াদবীমুলক বাক্যে লিখেছিলো তখন আমাদের সর্দার ইমামে আহলে সুন্নাত আলা হযরত ইমাম আহমাদ রাযা বেরেলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহ্ তাদের কুফরি ও রসূলের শানে বেয়াদবীমুলক বাক্যে গুলো লিখে দুনিয়ার কয়েক দেশের বড়ো বড়ো ওলামায়ে কেরামদের নিকটে পাঠিয়ে ছিলেন, তিনারা তাদের সে কুফরি ও রসূলের শানে জঘন্যতম বাক্যে গুলো পড়ে তাদের উপর কাফের ও মুরতাদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়েছিলেন এবং বলে ছিলেন: যারা এদের কাফের এবং জাহান্নামী হওয়াতে সন্দেহ করবে তারাও কাফের। “ হুসসামুল হারামাইন ” নামক পুস্তকে আরব সহ বিভিন্ন দেশের কয়েক শো ওলামায়ে কেরামেদের তাদের উপর কুফরীর ফতুয়া বিদ্যমান রয়েছে। দেওবন্দী এবং নামধারী আহলে হাদীস পন্থিদের কিছু জঘন্য কুফুরী আক্বীদা যা শুনে একজন প্রকৃত মুসলমানের লোম দাঁড়িয়ে যাবে :- (১) আল্লাহ মিথ্যা কথা বলতে পারে। লেখক: রশিদ আহমদ গাংগুহী (ফাতাওয়া রাশিদিয়া, প্রথম খন্ড, ১৯ পৃষ্ঠা, প্রিন্ট: রহিমিয়া কুতুব খানা দিল্লি) (২) শয়তান এবং মালাকুল মউত এর জ্ঞান নবী'র জ্ঞানের থেকেও বেশি। লেখক: খলীল আহমদ আমবেঠি। ( বারাহীনে ক্বাতিয়া, পৃষ্ঠা নং ৫১, প্রিন্ট: কুতুব খানা রহিমিয়া, সাহারানপুর ) (৩) আল্লাহ তা'আলা নবী কে যেমন ও যতটুকু অদৃশ্যের জ্ঞান প্রদান করেছেন সেইরকম ও ততটুকু জ্ঞান তো সাধারণ মানুষ, পাগল, ছোট বাচ্চা এমনকি পশু পাখিদের কেও দিয়েছেন। লেখক: আশরাফ আলী থানবী। (হিফজুল ঈমান, পৃষ্ঠা নং ৭, ) (৪) নামাজের মধ্যে নবী'র স্মরণ আসা, গরু বা গাধার স্মরণ আসার থেকেও খারাপ। লেখক: ইসমাইল দেহলাবী। (সিরাতে মুস্তাক্বিম, পৃষ্ঠা নং ৮৬, প্রিন্ট: মাকতাবা মুজতাবাঈ দিল্লি) (৫) নবীজি আমাদের বড়ো ভাই , তিনার সম্মান বড়ো ভাইয়ের মত করতে হবে। লেখক - ইসমাইল দেহলাবী, (তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃষ্ঠা নং ৫৮, প্রিন্ট: মাকতাবা ফাইযে আম‌ দিল্লি) (৬) নবী মরে মাটিতে মিশে গেছে। লেখক - ইসমাইল দেহলাবী, ( তাকবিয়াতুল ঈমান, পৃষ্ঠা নং ৫৯, প্রিন্ট: মাকতাবা ফাইযে আম‌ দিল্লি) (৭) নবী কে তাগুত অর্থাৎ শয়তান বলা জায়েজ। লেখক: হুসাইন আলী দেওবন্দী, (তাফসিরে বালাগাতিল হিরান, পৃষ্ঠা নং ৪২, প্রিন্ট: হেমায়েত ইসলাম লাহোর) (৮) নবী এবং দাজ্জালের একই বৈশিষ্ট্য। লেখক- ক্বাসিম নানুতবী, (আবে হায়াত, পৃষ্ঠা নং ১৬৯, প্রিন্ট: কুতুব খানা ক্বাদিমী দিল্লি) (৯) নবীর পরে কোন নবী এলে তিনার শেষ নবী হওয়াতে কোন পার্থক্য আসবেনা, অর্থাৎ নবীর পরে আরো নবী আসতে পারে। লেখক - ক্বাসিম নানুতবী, (তাহজিরুন নাস, পৃষ্ঠা নং ২৫, প্রিন্ট: কুতুব খানা ক্বাসেমী দেওবন্দ ) আল্লাহ এইরকম জঘন্য ঘৃণিত কুফরী আক্বিদা থেকে প্রত্যেক মুসলমান কে বাঁচিয়ে রাখুন আমীন - একটু ইনসাফ করে বলেন যে পন্থির মান্যকারীরা এইরকম জঘন্য ঘৃণিত আক্বীদা রাখে তারা মুসলমান হতে পারে ? তাদের সঙ্গে কোন মুসলমান ছেলে বা মেয়ের বিবাহ দেওয়া জায়েজ হবে ? তাদের সঙ্গে বিবাহ জায়েয না হওয়ার দলীল:- (১) আজ থেকে ৮০০ বৎসর পূর্বের লিখা পুস্তক “ বাদাইউস সানায়ে ” এর মধ্যে রয়েছে ঃ وَمِنْهَا أَنْ يَكُونَ لِلزَّوْجَيْنِ مِلَّةٌ يَقِرَّانِ عَلَيْهَا، فَإِنْ لَمْ يَكُنْ بِأَنْ كَانَ أَحَدُهُمَا مُرْتَدًّا لَا يَجُوزُ نِكَاحُهُ أَصْلًا لَا بِمُسْلِمٍ وَلَا بِكَافِرٍ غَيْرِ مُرْتَدٍّ، وَالْمُرْتَدُّ مِثْلُهُ . (বাদাইউস সানায়ে, দ্বিতীয় খন্ড, পৃষ্ঠা নং ২৭০, শামিলা) অনুবাদ: বিবাহ বৈধ হওয়ার শর্তসমূহের মধ্যে একটি হলো: ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের একই ধর্ম হওয়া, যা তারা মেনে নিয়েছে, সুতরাং যদি তাদের মধ্যে কোন একজন মুরতাদ হয় তাহলে সে বিবাহ মোটেই জায়েজ নয়, না কোন মুসলমানের সঙ্গে না আসলি কাফেরের সঙ্গে না মুরতাদের সঙ্গে। অর্থাৎ মুরতাদের বিবাহ কারোর সঙ্গে জায়েজ নয়। (২) আজ থেকে ৩০০ বৎসর পূর্বে আলমগীর বাদশার যামানায় লিখা পুস্তক “ ফাতাওয়া আলমগীরী” এর মধ্যে রয়েছে ঃ وَلَا يَجُوزُ لِلْمُرْتَدِّ أَنْ يَتَزَوَّجَ مُرْتَدَّةً وَلَا مُسْلِمَةً وَلَا كَافِرَةً أَصْلِيَّةً وَكَذَلِكَ لَا يَجُوزُ نِكَاحُ الْمُرْتَدَّةِ مَعَ أَحَدٍ، كَذَا فِي الْمَبْسُوطِ ( ফাতাওয়া আলমগীরী, প্রথম খন্ড, পৃষ্ঠা নং ২৮২, শামিলা) অনুবাদ: এবং মুরতাদ ছেলের জন্য কোন মুরতাদ বা মুসলমান কিংবা কাফের মেয়েকে বিবাহ করা জায়েজ নয়, অনুরূপ ভাবে মুরতাদ মেয়ের বিবাহ কারোর সঙ্গে বৈধ নয়, যেমনটা আল-মাবসুত নামক পুস্তকে রয়েছে। (৩) ৯০০ বৎসর পূর্বের লিখা পুস্তক “ আল-হেদায়া ” এর মধ্যে রয়েছে ঃ وإذا ارتد أحد الزوجين عن الإسلام وقعت الفرقة بغير طلاق " وهذا عند أبي حنيفة وأبي يوسف رحمهما الله. ( আল-হেদায়া, প্রথম খন্ড, ৩২৮ পৃষ্ঠা, মাজলিসে বারাকাত) অনুবাদ: এবং যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোন একজন মুরতাদ হয়ে যায় তাহলে বিনা তালাকে বিবাহ ভঙ্গ হয়ে যাবে, এটি ইমামে আযম আবু হানিফা এবং তিনার নির্ভরযোগ্য ছাত্র ইমাম আবু ইউসুফ এর মত। ( তবে বর্তমান সময়ে ফিতনার জন্য স্ত্রীর মুরতাদ হওয়া তে বিনা তালাকে বিবাহ ভঙ্গ হবেনা কিন্তু তাকে তওবা করিয়ে, কালেমা পড়িয়ে তার স্বামীর সঙ্গেই আবার বিবাহ দিতে হবে, কিন্তু স্বামী মুরতাদ হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে বিনা তালাকে বিবাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। যেমনটা “ মাজলিসে শারঈ কে ফাইসেলে” পুস্তকে রয়েছে ) (৪) দুরের মুখতার ” এর মধ্যে রয়েছে: وَارْتِدَادُ أَحَدِهِمَا أَيْ الزَّوْجَيْنِ فَسْخٌ عَاجِلٌ . ( দুরের মুখতার, পৃষ্ঠা নং ১৯৯, শামিলা) অনুবাদ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কারোর মুরতাদ হওয়া তে সঙ্গে সঙ্গে বিয়ে ভঙ্গ হয়ে যাবে। এবার বলুন যদি বিবাহ হওয়ার পর স্বামীর মুরতাদ হওয়া তে বিনা তালাকে বিবাহ ভঙ্গ হয়ে যায়, তাহলে যে ছেলেটি বিবাহের পূর্বেই মুরতাদ, তার সঙ্গে কোন সুন্নী মেয়ের বিবাহ কেমন করে হবে ? (৫) ইমামে ইশক্ব ও মুহাব্বাত আলা হযরত ইমাম আহমাদ রাযা বেরেলবী বাতিল পন্থিদের সাথে সুন্নীর বিয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা প্রশ্নের উত্তরে বললেন ঃ وہابی ہو یا رافضی جو بد مذہب عقائد کفریہ رکھتا ہے جیسے ختم نبوت حضور پر نور خاتم النبیین صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم کا انکار یا قرآن عظیم میں نقص ودخل بشری کا اقرار ، تو ایسوں سے نکاح با جماع مسلمین بالقطع والیقین باطل محض وزنائے صرف ہے اگرچہ صورت صورت سوال کا عکس ہویعنی سنی مرد ایسی عورت کونکاح میں لانا چاہے کہ مدعیان اسلام میں جو عقائد کفریہ رکھیں ان کا حکم مثل مرتد ہے کما حققنا فی المقالۃ المسفرۃ عن احکام البدعۃ والمکفرۃ ۔ ظہیریہ وہندیہ وحدیقہ ندیہ وغیرہا میں ہے : احکامھم مثل احکام المرتدین۔ اور مرتد مرد خواہ عورت کا نکاح تمام عالم میں کسی عورت ومرد مسلم یا کافر مرتد یااصلی کسی سے نہیں ہوسکتا ، خانیہ وہندیہ وغیرہمامیں ہے…. اور اگر ایسے عقائد خود نہیں رکھتا مگر کبرائے وہابیہ یامجتہدین روافض خذلہم الله تعالٰی کہ وہ عقائد رکھتے ہیں انھیں امام وپیشوا یامسلمان ہی مانتا ہے تو بھی یقینا اجماعا خود کافر ہے کہ جس طرح ضروریات دین کا انکار کفر ہے یونہی ان کے منکر کو کافر نہ جاننا بھی کفر ہے ، وجیز امام کردری ودرمختار وشفائے امام قاضی عیاض وغیرہا میں ہے : واللفظ للشفاء مختصرًا اجمع العلماء ان من شك فی کفرہ وعذابه فقد کفر ۔ شفاء کے الفاظ اختصارًا یہ ہیں ، علما کا اجماع ہے کہ جو اس کے کفر وعذاب میں شك کرے وہ کافرہے۔ ( ফাতাওয়া রাযাবিইয়া, ১১ খন্ড, ৩৭৯ পৃষ্ঠা, “ইযালাতুল আর বি হাজরিল কারাঈমি আন কিলাবিন নারী ” নামক রিসালা ) অনুবাদ : ওহাবী ( নামধারী আহলে হাদীস) হোক বা রাফযি ( শিয়া) যে পথভ্রষ্টরা কুফুরি আক্বিদা রাখে, যেমন- হুজুর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শেষ নবী হওয়া কে অস্বীকার করা কিংবা এইরকম আক্বিদা রাখা যে, মানুষ কুরআনের আয়াত বা শব্দ কম-বেশী করে দিয়েছে, তো তাদের সাথে বিবাহ সমস্ত মুসলমানের ঐক্য মতে নিঃসন্দেহে একেবারেই বাতিল অবৈধ, শুধু যেনার কাজ, যদিওবা এর উল্টো হয় অর্থাৎ সুন্নী ছেলে বাতিল পন্থি মেয়ে কে বিবাহ করতে চায়, কেননা ইসলামের দৃষ্টিতে যারা কুফরী আক্বিদা রাখে তারা মুরতাদ, যেমন টি আমি নিজের রিসালা “ আল-মাক্বালাতুল মুসফিরা আন আহকামিল বিদআতিল মুকাফফারা” তে তার গবেষণা করেছি। যাহিরিইয়া, হিনদিইয়া, ও হাদিকাতুন নাদিয়া ইত্যাদি পুস্তকে রয়েছে: তাদের বিধান মুরতাদদের মতোই, এবং মুরতাদ ছেলে বা মেয়ের বিবাহ পুরো জগতে কোন মুসলমান বা মুরতাদ কিংবা কাফের কারোর সঙ্গে হবেনা। যেমন টা খানিয়া, হিনদিইয়া ইত্যাদি পুস্তকে রয়েছে। কিন্তু যদি সে এইরকম কুফরী আক্বিদা নিজে রাখেনা কিন্ত ওহাবী বা রাফেযিদের মধ্যে যারা গুরু (আল্লাহ তাদেরকে অপমানিত করুক) ওরা কুফরী আক্বিদা রাখে এবং সে তাদের কে নিজের গুরু বা লিডার কিংবা শুধু ওদের মুসলমান মনে করে সেও সকলের ঐক্যমতে নিঃসন্দেহে কাফির, যেমন ইসলাম ধর্মের অনিবার্য জিনিসের অস্বিকার করা কুফরী তেমনি সেগুলো কে অস্বীকার কারীদের কে কাফের না মনে করাও কুফরী, ওয়াজিয ইমাম কুরদুরি ও দুরের মুখতার, ইমাম ক্বাযি আয়ায ইত্যাদি পুস্তকে রয়েছে: এবং শিফা শরিফের সংক্ষিপ্ত শব্দ, যে উলামায়ে কেরামরা ঐক্য মত পোষন করেছেন: যে ব্যক্তি তাদের কাফের বা জাহান্নামী হওয়াতে সন্দেহ করবে সেও কাফের। (৬) “ ফাতাওয়া মুফতিয়ে আযাম হিন্দে” দেওবন্দীদের সাথে সুন্নীর বিয়ের ব্যাপারে প্রশ্নের উত্তরে রয়েছে ঃ دیوبندیوں پر ان کے عقائد کفریہ قطعیہ کی بنا پر علمائے عرب و عجم نے فتوی کفر و ارتداد دے کر فرمایا: "من شک فی کفرہ وعذابہ فقد کفر" جو دیوبندیوں کے عقائد باطلہ پر مطلع ہو کر دیوبندیوں کو مرتد خارج از اسلام نہ جانے، مسلمان سمجھے بلکہ خارج از اسلام ہونے میں شک بھی کرے تو وہ بھی مرتد خارج از اسلام ہو جاتا ہے۔ اگر وہ لڑکا مودودی کی جماعت کے عقائد باطلہ پر مطلع ہو کر انہیں مسلمان جانا، تو وہ خارج از اسلام ہو گیا ہے ، اس کی بی بی اس کے نکاح سے باہر ہو گئی ہے، اور اگر وقت نکاح بھی وہ عقیدہ کفریہ رکھنے کی وجہ سے مرتد ہو چکا تھا تو یہ نکاح منعقد ہی نہ ہوا۔ اور ایک جگہ ہے: سنیہ کا نکاح وہابی سے جو عقائد کفریہ کے سبب مرتد ہو چکے ہیں باطل محض ہے، ہوگا ہی نہیں، وہابی کو وہابی جان کر سنیہ کو اس کے نکاح میں دینا زنا کے لیے پیش کرنا ہے کہ مرتد وہ مرتدہ کا نکاح عالم میں کسی سے نہیں ہو سکتا، نہ اس کے ہم مذہب سے نہ مسلم وہ مسلمہ سے نا کافر وہ کافرہ سے۔ ( ফাতাওয়া মুফতিয়ে আযাম হিন্দ, চতুর্থ খন্ড, ২৪৩, ৩০৮ পৃষ্ঠা ) অনুবাদ: দেওবন্দীদের উপর তাদের কুফরী আক্বিদা রাখার কারণে আরব সহ অন্যান্য দেশের ওলামায়ে কেরামগণ কুফর ও মুরতাদ হওয়ার ফতুয়া লাগিয়ে বলেছেন: { من شک فی کفرہ وعذابہ فقد کفر } অর্থাৎ যে ব্যক্তি দেবন্দীদের বাতিল আক্বিদার উপর জ্ঞাত হওয়া সত্বেও দেওবন্দীদেরকে মুরতাদ, ইসলামের বাইরে না মানবে, মুসলমান মনে করবে, বরং তাদের ইসলাম থেকে বের হওয়াতে সন্দেহ করবে, সেও মুরতাদ, ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে। সুতরাং যদি সেই ছেলে মওদুদী বা দেওবন্দী জামাতের বাতিল আকিদার উপর জ্ঞাত হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে মুসলমান মনে করে থাকে, তাহলে তো সে ছেলে ইসলাম থেকে বের হয়ে গেছে, তার স্ত্রী ওর বিবাহ থেকে বের হয়ে গেছে। এবং যদি বিবাহর সময়েও সেই ছেলে নিজের কুফরী আক্বিদার কারণে মুরতাদ ছিল তাহলে তো বিবাহ মোটেই হয়নি। এবং সুন্নী মেয়ের বিবাহ কোন ওহাবীর সঙ্গে ( যে কুফরি আক্বিদা রাখার কারণে মুরতাদ হয়েগেছে) একবারেই বেকার, বিবাহ হবেই না। ওহাবীকে ওহাবী জেনে সুন্নী মেয়েকে ওর বিবাহতে দেওয়া মানে যেনা করতে দেওয়া, কোন ওহাবী ছেলে বা মেয়ের বিবাহ দুনিয়াতে কারোর সঙ্গে হবে না, না সেই পন্থিদের সঙ্গে, না কোন মুসলমান ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে, না কোন কাফিরের সঙ্গে। (৭) “ফাতাওয়া ফাক্বিহে মিল্লাত” এর মধ্যে সুন্নি ও বাতিল পন্থির বিবাহের ব্যাপারে প্রশ্নের উত্তরে রয়েছে : مولوی اشرف علی تھانوی, رشید احمد گنگوہی, خلیل احمد امبیٹھی کے کفریات قطعیہ مندرجہ حفظ الایمان، صفحہ ٨, تحذیر الناس، صفحہ ٣, ١٤, ١٢٨، اور براہین قاطعہ, صفحہ ٥١, کی بنیاد پر مکہ معظمہ، مدینہ طیبہ، ہندوستان، پاکستان، اور بنگلہ دیش و برما وغیرہ کے سینکڑوں علمائے کرام و مفتیان کرام نے مذکورہ بالا مولویوں کے کافر و مرتد ہونے کا فتوی دیا ہے اور فرمایا ہے کہ "من شک فی کفرہ فقد کفر" یعنی جو ان کے کفر و عذاب میں شک کرے وہ بھی کافر ہے۔ جس کی تفصیل فتاویٰ حسام الحرمین اور الصوارم الہندیہ میں ہے۔ اور سارے وہابی, دیوبندی ان کو اپنا پیشوا مانتے ہیں, لہذا وہ بھی کافر و مرتد ہیں, اور مرتد کے ساتھ کسی کا نکاح ہرگز نہیں ہو سکتا, جیسا کہ فتاوی عالمگیری میں ہے ۔۔۔۔۔ لہذا اگر زید وہابی لڑکی کے ساتھ نکاح کرے تو جائز نہیں ہوگا۔ ( ফাতাওয়া ফাক্বিহে মিল্লাত, প্রথম খন্ড, ৪৩৬ পৃষ্ঠা) অনুবাদ: মোলবি আশরাফ আলী থানবী, রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি, খলিল আহমদ আমবেঠি দের সম্পূর্ণ কুফরী কথা যেটি তারা নিজেদের পুস্তক “ হিফযুল ঈমান, পৃষ্ঠা নং ৮, তাহযিরুন নাস, পৃষ্ঠা নং ৩,১৪, ১২৮, এবং বারাহিনে ক্বাতিয়ার মধ্যে লিখেছে, যার কারণে মক্কা মোয়াজ্জামা, মদিনা তায়্যিবা, হিন্দুস্তান, পাকিস্তান, এবং বাংলাদেশ ও বার্মা ইত্যাদি দেশের শত শত ওলামা ও মুফতিয়ানে কেরামগণ উক্ত মৌলবীদের উপর কাফির ও মুরতাদ হওয়ার ফতুয়া দিয়েছেন, এবং বলেছেন: যারা তাদের কাফের ও জাহান্নামের আযাব হওয়াতে সন্দেহ করবে সেও কাফির হবে, যার বিশ্লেষণ “ফাতাওয়া হুসসামুল হারামাইন এবং আস-সাওয়ারিমুল হিনদিয়া” তে রয়েছে। এবং সমস্ত ওহাবী বা দেওবন্দী তাদেরকে নিজেদের গুরু বা লিডার বা কমপক্ষে মুসলমান মনে করে, সুতরাং ওরাও কাফির ও মুরতাদ । এবং মুরতাদের সঙ্গে কারোর বিবাহ কোন মতেই হতে পারে না। যেমনটা ফাতাওয়া আলমগীরির মধ্যে রয়েছে। অতএব যদি যায়েদ ওহাবী মেয়েকে বিবাহ করে তো বৈধ হবে না। (৮) “ ফাতাওয়া বাহরুল উলুম ” এর মধ্যে রয়েছে: اگر وہابی کی گمراہی حد کفر کو پہنچ گئی ہو تو اس کے ساتھ نکاح حرام خواہ مرد کا نکاح خواہ عورت کا۔ عالمگیری میں ہے " لا يجوز للمرتد أن يتزوج امرأة مسلمة" اور اگر اس کی گمراہی حد کفر کو نہ پہنچی ہو تب بھی مسلمہ کا نکاح وہابی کے ساتھ نہیں ہوگا۔ (ফাতাওয়া বাহরুল উলুম, দ্বিতীয় খন্ড, ৩০৯ পৃষ্ঠা) অনুবাদ: যদি ওহাবীর পথভ্রষ্টতা কুফরী পর্যন্ত পৌঁছে যায়, তাহলে তার সঙ্গে বিবাহ হারাম, ছেলের বিবাহ হোক অথবা মেয়ের। ফাতাওয়া আলমগীরির মধ্যে রয়েছে: মুরতাদের জন্য কোন সুন্নী মুসলমান মহিলার সঙ্গে বিবাহ করা জায়েজ নয়। কিন্তু যদি তার পথভ্রষ্টতা কুফরী পর্যন্ত না পৌঁছায়, তথাপিও কোন সুন্নি মুসলমান মহিলার বিবাহ ওহাবীর সঙ্গে হবে না। (৯) “ফাতাওয়া তাজুশ শারিয়া” তে রয়েছে: یہ لوگ اپنے عقائد کفریہ کے سبب مرتد ہیں اور مرتد نکاح کا اہل ہی نہیں لہذا کسی وہابی کا نکاح سنیہ تو درکنار اپنی جیسی وہابیہ سے بھی درست نہیں۔ در مختار میں ہے : " لا يصلح أن ينكح مرتد و مرتدة أحدا من الناس مطلقا" . ( ফাতাওয়া তাজুশ শারিয়া, দ্বিতীয় খন্ড, ১৯৭ পৃষ্ঠা) অনুবাদ : এরা নিজেদের কুফরী আক্বীদা রাখার কারণে মুরতাদ হয়ে গেছে, এবং মুরতাদ বিবাহর উপযুক্ত নয়, সুতরাং কোন ওহাবীর বিবাহ সুন্নীর সঙ্গে তো দূরের কথা নিজের পন্থীদের মধ্যে কারোর সঙ্গে জায়েজ নয়। দুররে মুখতারের মধ্যে রয়েছে : কোনো মুরতাদ ছেলে বা মেয়ের বিবাহ অনির্দিষ্ট ভাবে কারোর সঙ্গে হবেনা। (১০) “ফাতাওয়া ফাইযুর রাসূল” এর মধ্যে এক ওহাবী মেয়ের বিয়ে সুন্নি ছেলের সাথে হয়ে যাওয়া এবং সে মেয়েটি গর্ভবতী হওয়ার পর তাদের বিয়ের ব্যাপারে প্রশ্নের উত্তরে রয়েছে: وہابیت خالص ارتداد ہے لہذا اگر زینب واقعی وہابیہ تھی کہ اشرف علی تھانوی اور رشید احمد گنگوہی وغیرہما دیوبندی وہابی مولویان کو مسلمان جانتی تھی یا انہیں کافر سمجھنے والے کو مشرک سمجھتی تھی جیسے اس زمانہ کا ہر وہابی کم ازکم ہر سنیوں کو مشرک اعتقاد کرتا ہے تو اس کا نکاح نکاح نہیں اور اس مسموعی نکاح کے تحت جو کچھ بھی تعلقات زوجیت قائم رہے یہاں تک کہ زینب حاملہ بھی ہوئی یہ سب حرام اور ناجائز ہوا ( ফাতাওয়া ফাইযুর রাসূল, প্রথম খন্ড, ৫৫৭) অনুবাদ: ওহাবীরা ( নামধারী আহলে হাদীস) খাঁটি ধর্মত্যাগী (মুরতাদ) সুতরাং যদি যায়নাব আসলেই ওহাবী ছিল, আশরাফ আলী থানবী এবং রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি ইত্যাদি দেওবন্দী, ওহাবী মোলবিদেরকে মুসলমান জানতো, কিংবা তাদের কে কাফির সম্মোধন কারীদেরকে মুশরিক মনে করতো, যেমন এই জামানায় প্রত্যেক ওহাবী কমপক্ষে প্রত্যেক সুন্নি কে মুশরিক মনে করে, সে ক্ষেত্রে তার বিবাহ বিবাহ নয়, এবং শুধু নামের বিবাহর কারণে যা কিছু স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক হয়েছে, এমনকি যায়নাব গর্ভবতী হয়েছে এসব হারাম, এবং নাজায়েয হয়েছে। প্রিয় পাঠক!এই সমস্ত ওলামায়ে কেরামগণদের ফাতাওয়া দ্বারা দিবালোকের ন্যায় প্রতিয়মান হলো যে দেওবন্দী,তাবলীগী জামাআত, নামধারী আহলে হাদীস ইত্যাদি বাতিল পন্থি যাদের আক্বিদা কুফর পর্যন্ত পৌঁছে গেছে তারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অন্তর্ভুক্ত নয়, তারা মুরতাদ কাফের। তাদের সঙ্গে সুন্নী মুসলমান ছেলে বা মেয়ের বিবাহ কোন মতেই বৈধ হবেনা। তাদের সঙ্গে বিবাহ দেওয়া হারাম হারাম হারাম, বরং কোন কোন ক্ষেত্রে কুফরী। বিয়ে দিয়ে দিলে ছাড়িয়ে নিতে হবে, নইলে যত দিন তারা স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক করবে যেনা করবে, সন্তান জন্ম গ্রহণ করলে জারজ হবে। এবং আল্লাহ তায়ালা বেশি ভালো জানেন। আল্লাহ তায়ালা সুন্নী মুসলমানদের কে সমস্ত বাতিল পন্থিদের থেকে নিজের মূল্যবান ঈমান বাঁচিয়ে রাখার তৌফিক দান করুন, আমীন।

Comments -

Most Read Articles