KeyOfIslam
Welcome To KeyOfIslam.com. KeyOfIslam is the platform to spread love and brotherhood among all people through the light of Prophet Mohammad(peace be upon him), the Final Messanger of Allah. Here you will get informations with precision.
Individual Articles
গিয়ারভী শরীফের বিধান
গিয়ারভী শরীফের বিধান মাওলানা মনিরুল ইসলাম, মালদা সর্বপ্রথম আমাদেরকে জানতে হবে, যে গিয়ারভী শরীফ এর হাকীকত কি ? আসলে এর মূল উদ্দেশ্য হলো ঈসালে সাওয়াব, আর কোরআন ও হাদিসের মধ্যে মৃত ব্যক্তির জন্য ঈসালে সাওয়াবের গুরুত্ব বলা হয়েছে। কিন্তু ঈসালে সওয়াবের জন্য কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম উল্লেখ করেননি। বরং বিভিন্ন রূপে ঈসালে সাওয়াব এর অনুমতি দিয়েছেন। যেমন, নামায রোযা,হজ্জ সাদকা ও অন্যান্য নেক আমল এর মাধ্যমে ঈসালে সাওয়াব করা যায়। বর্তমান যামানায় ঈসালে সাওয়াব এর প্রোগ্রাম বিভিন্ন নামে পরিচিত, যার মধ্যে গিয়ারভী শরীফ ও একটি ঈসালে সাওয়াব,যেটা হুজুর গাওসে আযাম আব্দুল কাদির জিলানী রাদিয়াল্লাহু আনহু এর মোহাব্বতে প্রত্যেক ইসলামী মাসের ১১ তারিখে। মুসলমানগণ একাকী হয়ে কিংবা লোকজনকে একত্রিত করে তিনার রুহে ঈসালে সাওয়াব করে, অর্থাৎ নেকি পৌঁছে দেয়। ১১ তারিখে ইসালে সওয়াব করা হয় এই জন্যই গিয়ারভী নামে পরিচিত লাভ করেছে। আর ঈসালে সাওয়াব কোরআন ও হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। নাম পরিবর্তন করলেই মূল উদ্দেশ্য পরিবর্তন হয় না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর নাম ছিল সুফ্ফাহ এখন বর্তমান যুগে তার নাম হলো মাদ্রাসা ও মক্তব তাহলে কি মাদ্রাসা ও মক্তব নাম রাখা নাজায়েয ও হারাম হয়ে যাবে ?? এ সম্পর্কে নিম্নে কিছু দলিল উপস্থাপন করা হলো: দলীল নং ১: وَالَّذِيْنَ جَآءُوْ مِنْ بَعْدِھِمْ يَقُوْلُوْنَ رَبَّنَا اغْفِرْلَنَا وَ لِاِخْوَانِنَا الَّذِىْنَ سَبَقُوْنَا بِالْاِىْمَانِ وَلَاتَجْعَلْ فِيْ قُلُوْبِنَا غِلًّالِلَّذِيْنَ اَمَنُوْا رَبَّنَا اِنَّكَ رَءُوْفٌ رَّحِيْمٌ অনুবাদ: এবং ঐ সব লোক যারা তাদের পরে এসেছে, তারা আরজ করে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ক্ষমা করো এবং আমাদের ভাইদেরকেও যারা আমাদের পূর্বে ঈমান এনেছে, এবং আমাদের অন্তরে ঈমানদার দের দিক থেকে হিংসা-বিদ্বেষ রেখো না।হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয় তুমিই অতি দয়াদ্র দয়াময়। সুরা হাশর আয়াত নং ১০ দলীল নং ২: আল্লাহ পাক বলেন, ربنا غفرالى ولوالدي ولمن دخل بيتي مؤمناً وللمؤمنين والمؤمنات ولا تزد الظلمين إلا تبارا অনুবাদ: হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা করো এবং আমার মাতা পিতাকে এবং তাকে, যে ঈমান সহকারে আমার ঘরে রয়েছে এবং সমস্ত মুসলমান পুরুষ ও নারীকে। এবং কাফেরদের জন্য বৃদ্ধি করো না কিন্তু ধ্বংস। সুরা নুহ আয়াত নং ২৮ দলীল নং ৩: আল্লাহ পাক বলেন, واستغفر لھم الله إن الله غفور رحيم অনুবাদ: হে মাহবুব! এবং আপনি তাদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করুন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। সুরা নুর আয়াত নং ৬২ দলীল নং ৪: واستغفر لذنبك و للمؤمنين والمؤمنات والله يعلم متقلبكم و مثوٰكم অনুবাদ: এবং হে মাহবুব! আপন খাস লোকদের এবং সাধারণ মুসলমান পুরুষ ও নারীদের পাপ রাশির ক্ষমা প্রার্থনা করুন। এবং আল্লাহ তা'আলা জানেন, তোমাদের দিনের বেলায় চলাফেরা করা ও রাত্রিবেলা তোমাদের বিশ্রাম গ্রহণ করা। সুরা মোহাম্মদ আয়াত নং ১৯ অতএব: উপরোক্ত আয়াতগুলো থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়। যে মৃত ব্যক্তিদের জন্য জীবিত ব্যক্তিদের দোয়া করা জায়েয। পবিত্র হাদিসের আলোকে ঈসালে সাওয়াব।: পবিত্র হাদীছ শরীফ এর মধ্যে রয়েছে, عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رجلا قال للنبي صلى الله عليه وسلم ان أبى مات وترك مالا و لم يوصِ . فھل يكفر عنه إن تصدق عنه ؟ قال ،نعم অনুবাদ: হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নিশ্চয় একজন (সাহাবী) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে প্রশ্ন করলেন।যে আমার মা ইন্তেকাল করেছেন এবং অনেক ধন-সম্পত্তি রেখে গেছেন আর ওসিয়ত করেননি। অতএব, যদি তিনার তরফ হতে সাদক্বা করা হয় তবে কি তার গুনাহ মাফ করা হবে?? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ। সহীহ মুসলিম -হাদীস নং ৪২১৯ হাদীস নং ২: عن أبي هريرة رضي الله عنه قال أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال إذا مات الإنسان انقطع عنه عمله إلا من ثلاثة إلا من صدقة جارية أو علم ينتفع به أو ولد صالح يدعو له অনুবাদ: হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,যে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: যখন মৃত্যু বরণ করে তখন তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায় তিন প্রকার আমল ছাড়া। ১/সাদক্বা জারিয়াহ ২/ এমন ইলম যার দ্ধারা উপকার হয়। ৩/ পুণ্যবান সন্তান যে তার জন্যে দুআ করতে থাকে। সহীহ মুসলিম-হাদীস নং ৪১১৫ আন্তর্জাতিক হাদীস নং ১৬৩১ উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইমাম নাবাবী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন। وفيه أن الدعاء يصل ثوابه إلي الميت وكذلك الصدقة وھما مجمع عليھما অনুবাদ: উক্ত হাদীস থেকে প্রমাণ হয়।যে নিশ্চয় দুআর সাওয়াব মৃত্যু ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছায় আর সে মতই সাদক্বার সাওয়াব ও যার উপর ইজমা তথা সমস্ত উম্মতে মোহাম্মদীর সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত রয়েছে, (শারহো মুসলিম) হাদীস নং ৩: عن سعد بن عبادة. أنه قال يا رسول الله إن ام سعد ماتت فأي الصدقة افضل قال الماء قال فحفر بںٔرا وقال ھذه لأم سعد. অনুবাদ: হযরত সাদ ইবনে উবাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,ইয়া রাসুলাল্লাহ উম্মে সাদ ইন্তেকাল করেছেন (তার পক্ষ হতে) কোন সাদক্বা সর্বোত্তম হবে ? তিনি বললেন: পানি। বর্ণনাকারী বলেন তিনি একটি কূপ খনন করে বললেন,এটা উম্মে সাদ এর জন্য। অতএব: উপরোক্ত হাদিস থেকে পরিষ্কার বুঝা যায়।যে মৃত্য ব্যক্তির নামে ঈসালে সাওয়াব করা জায়েয।আর গিয়ারভী শরীফের মূল উদ্দেশ্য হলো হুজুর গাওস পাক আব্দুল কাদির জিলানী রাদিয়াল্লাহু আনহু এর রুহে সাওয়াব রিসানী করা ঈসালে সাওয়াব করা। আর সেটা পবিত্র কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। গিয়ারভী শরীফ মুহাদ্দিসীনে কেরামের দৃষ্টিতে: এ সম্পর্কে শাইখ আব্দুল হাক্ব মুহাদ্দিস দেহলভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, مستند روایات معلومہ کے پیش نظر غوث اعظم کا عرس ٩ ربیع الاخر کو ہونا چاہیے اور اسی تاریخ کو پیر و مرشد امام کامل و عارف شیخ عبد الوہاب قادری المتقی مکی رحمہ اللہ علیہ آپ کا عرس قرار دیتے تھے - یہ وہ تاریخ عرس ہے جو قابل اعتماد اس سبب بھی ہے کہ یہی تاریخ عرس ہمارے پیر و مرشد شیخ اعظم علی متقی رحمہ اللہ علیہ اور دیگر شیوخ کے نزدیک قابل اعتماد ہے لیکن ہمارے ملک میں ان دنوں ١١ ربیع الثانی ہی زیادہ مشہور و معروف ہے اور غوث الاعظم کی اولاد و مشائخ عظام مقیم ہند (وپاک) گیارہویں تاریخ کو عرس کرتے ہیں অনুবাদ: গ্রহণযোগ্য রেওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণিত।যে গাওসে আযাম এর উর্ষ রাফিউল আখির মাসের ৯ তারিখেই হওয়া উচিত,আর ওই তারিখেই আমার পীর ও মুর্শিদ ইমামে কামিল ওয়া আরিফ শাইখ আব্দুল ওহ্হাব ক্বাদরী আল মুত্তাকী মাক্কী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হুজুর গাওসে আযাম এর নামে উর্ষ পালন করতেন। কেননা, এই তারিখটাই গ্রহণযোগ্য মত দ্বারা প্রমাণিত।এ কারণেই আমার পীর ও মুর্শিদ শাইখ আযাম আলি মুত্তাকী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি সহ আরো অন্যান্য মাশায়েখ এর নিকটে ও উর্ষের তারিখ টাই গ্রহণযোগ্য। কিন্তু আমাদের দেশে ওই উর্ষের দিনটি ১১ (এগারো) রাবিউস সানী হচ্ছে বেশি প্রসিদ্ধ আর গাউসুল আযম এর সন্তান ও মাশায়েখে ইযামগন যিনারা ভারতবর্ষে বসবাস করেন,তিনারা এগারো তারিখেই উর্ষ পালন করতেন। ( মা সাবাতা বিস সুন্নাহ পৃষ্ঠা নং ১৬৭) শাইখ আব্দুল হক মহাদ্দিস দেহলবী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর দ্বিতীয় পুস্তক থেকে গিয়ারভী শরীফের প্রমাণ: হযরত মুত্তাকী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর সম্পর্কে বলেন। سال میں چار مرتبہ عرس کرتے ہیں بہت لوگ جمع ہوتے ہیں کھانا کھاتے ہیں حضرت رسالت مآب صلی اللہ علیہ وسلم کی محفل میلاد حضرت غوث پاک کا عرس ،حضرت متقی اپنے والد ماجد کا عرس کرتے ہیں অনুবাদ: তিনি বছরে চার বার উর্ষ পালন করতেন। অনেক মানুষ একত্রিত হতেন, খাবার খেতেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মাহফিলে মিলাদ ও হযরত গাওসে পাক এর উর্ষ করতেন।আর হযরত মুত্তাকী তিনার বাবার উর্ষ করতেন। তার পর তিনি লিখেন, حضرت غوث پاک کا عرس نویں ربیع الاخر کو کیا جاتا ہے بہجۃ الاسرار کی روایت کے مطابق یہی صحیح تاریخ ہے اگر چہ ہمارے دیار میں گیارہویں تاریخ مشہور ہے অর্থাৎ: হযরত গাওস পাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর উর্ষ ৯ রাবিউল আখির -ই পালন করা হতো। বাহজাতুল আসরার এর বর্ণনার মুতাবিক এটাই বিশুদ্ধ যদিও আমাদের দেশে এগারো তারিখ টাই প্রসিদ্ধ। যাদুল মুত্তাকিন ফি সুলুকে ত্বরীকিল ইয়াক্বীন পৃষ্ঠা নং ১২৫(উর্দু মুতারজিম) হযরত শাহ আব্দুল হক মহাদ্দিস দেহলবী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি আর এক গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখ করেন। শাইখ আমানুল্লাহ পানি পাতি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে বলেন। گیارہ ربیع الثانی کو غوث الثقلین کا عرس کیا اور کہا کہ غوث پاک سے پہلے قدم اٹھانا درست نہیں چنانچہ اس دن عرس کے لئے جو کھانا پکوایا تھا تقسیم کردیا ، অনুবাদ: তিনি রাবিউস সানী মাসের এগারো তারিখে গাওস পাকের উর্ষ করতেন।আর বললেন,যে গাওস পাকের পূর্বে কদম উঠানো ঠিক হবে না। অতএব: সেই দিন উর্ষের জন্য যে খাওয়ার রান্না করেছিলেন, বিতরণ করে দিলেন। আখবারুল আখয়ার পৃষ্ঠা নং ৪৯৮ ( উর্দু মুতারজিম) এ সম্পর্কে শাহ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দিস দেহলভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর আমল: তিনি বলেন, روضہ حضرت غوث الاعظم راکہ کافی گویند تاریخ یازدہم بادشاہ وغیرہ اکابران شہر جمع گشتہ بعد نماز عصر کلام تماید مدحیہ و آنچہ حضرت غوث در وقت غنیہ حالات فرمودہ اند و سوق انگیز بے قرامیر تا مغرب میخوانند بعد ازاں صاحب سجادہ درمیان دگرداگرد مریران نشتہ صاحب حلقہ استادہ ذکر جہر میگویند درین اثنا بعضے پراوجد و سوزش ہم میشود باز چیزے از قبیل سابق خواندہ آنچہ طیار می باشد اذ مثل طعام و شرینی نیاز کردہ تقسیم کردہ نماز عشاء خواندہ رخصت میشوند ، অনুবাদ: হুজুর গাওসে আযাম রাদিয়াল্লাহু আনহু এর রাওযা পাকে ১১ ( এগারো) তারিখে বাদশা ও অন্যান্য শহরের আকাবিরগণ জমা হতেন। নামাযে আসরের পর থেকে নিয়ে মাগরিব পর্যন্ত পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করতেন। হযরত গাওস পাক এর প্রশংসাই মানকাবাত পড়তেন, মাগরিবের পর সাজ্জাদানাসীন ( আব্দুল আজিজ) মধ্যখানে অপস্হিত হতেন।আর তার আশে পাশে মুরিদগণ বসে উচ্চস্বরে বসে যিকর আযকার করতেন। এ অবস্থায় কারো কারোর ওপর স্বগ্যাত অবস্থা হয়ে যাবে যেতো।তার পর আহারের জন্য তাবারুক নিয়ায তৈরি করা হতো ও বিতরণ করা হতো,ইশা নামাযের পর তিনারা অনুষ্ঠান সমাপ্ত করে নিজ নিজ ঘরে ফিরে যেতেন। মালফুযাতে আযীযী পৃষ্ঠা নং ৬২ অতএব: উপরোক্ত আলোচনা থেকে পরিষ্কার বুঝা যায়।যে গিয়ারভী এর আমল কোনো নতুন আবিষ্কার নই। বরং পুর্বসরী বুযুর্গানে দ্বীনের আমল।আর শরীয়তে কোনো ভালো কর্ম কে আল্লাহ পাকের নেক বান্দাগণ যদি গ্রহণ করে তাহলে তা জায়েয হবে। এই কথার স্বীকৃতি দিয়েছেন, আহলে হাদীস এর ইমাম সানাউল্লাহ আমরতাসরী তাকে প্রশ্ন করা হলো,যে অসুস্থ ব্যক্তি কে পেলেটের উপরে আরবী লিখে পানি দিয়ে পান করানো হয় সেটা কি জায়েয?? তিনি উত্তরে বলেন, آیات قرآن کو لکھ کر پلانا بعض صلحاء نے جاںٔز لکھا ہے অর্থাৎ: কুরআন এর আয়াত কে লিখে পান করানো কে কিছু সংখ্যক উলামায়ে দ্বীন জায়েয বলেছেন। ফাতাওয়া সানায়িয়াহ খন্ড ২ পৃষ্ঠা ৬৮ অতএব: উক্ত ঘটনা থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়।যে কোন আল্লাহ ওয়ালা ব্যাক্তি কোনো কর্ম কে জায়েয মনে করে তাহলে সেটা জায়েয আহলে হাদীস এর ইমাম সানাউল্লাহ আমরতাসরী এর মতে। ঠিক তেমনি গিয়ারভী শরীফ তথা গাওসে আযাম আব্দুল কাদির জিলানী রাদিয়াল্লাহু আনহু এর ঈসালে সাওয়াব কে আল্লাহ পাকের নেক বান্দাগণ ভালো ও জায়েয মনে করেছেন। যেমন, ১/হযরত শাইখ আব্দুল ওহ্হাব মুত্তাকী মাক্কী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ২/ হযরত শাইখ আব্দুল হক মহাদ্দিস দেহলবী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ৩/ হযরত শাইখ আমানুল্লাহ পানি পাতি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ৪/ হযরত শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি, এই সমস্ত বুযুর্গানে দ্বীন ও মুহাদ্দিসগণ উক্ত আমল করেছেন। তাহলে কি করে গিয়ারভী শরীফ না জায়েয ও হারাম হতে পারে ?? গাইর মুকাল্লিদ আলিমের দৃষ্টিতে গিয়ারভী: সানাউল্লাহ আমরতাসরী কে প্রশ্ন করা হলো,এই ভাবে, کل یہاں ایک جلسہ بنگلور کے مسلم لاںٔبری کا ہوا جس میں مولوی حاجی غلام محمد شملوی نے لکچر دیا دوران تقریر میں گیارہویں اور بارہویں میں براۓ ایصال ثواب غرباء کو کھانا وغیرہ کھلانا جاںٔز کہا ہے آپ اس کے ثبوت کے دلائل پیش کریں ، অনুবাদ: কালকে এখানে বেঙ্গালোর এ মুসলিম লাইব্রেরীর জন্য এক জালসা হয়েছিল। যেখানে হাজী মাওলানা গোলাম মোহাম্মদ বক্তব্য দিয়েছেন। বক্তব্য এর মাঝে বলেন, গিয়ারভী শরীফ ও বারভী তে ঈসালে সাওয়াব এর উদ্দেশ্য গরীব ব্যক্তিদের আহারের ব্যবস্থা করানো কে জায়েয বলেছেন। আপনি তার বিপক্ষে দলীল পেশ করুন। তিনি উত্তরে বলেন, گیارہویں بارہویں کی بابت فریقین میں اختلاف صرف اتنی بات میں ہے کہ مانعین اس کو لغیر اللہ سمجھ کر ما اھل لغیر اللہ میں داخل کرتے ہیں اور قاںٔلین اس کو لغیر میں نہیں جانتے مولوی غلام محمد صاحب نے دونوں کا اختلاف مٹانے کی کوشش کی ہوگی کہ گیارہویں بارہویں کا کھانا بغرض ایصال ثواب کیا جاۓ یعنی یہ نیت ہو کہ ان بزرگوں کی روح کو ثواب پہنچے نہ کہ یہ بزرگ خود اس کھانے قبول کریں اس صورت میں واقعی اختلاف اٹھ جاتا ہے ہاں نام کا جھگڑا باقی رہ جاتا ہے کہ اس قسم کی دعوت کو گیارہویں بارہویں کہیں یا نذر اللہ کہیں اس میں شک نھیں کہ شرع شریف میں گیارہویں بارہویں کے ناموں کا ثبوت نہیں ، اسلیئے یہ نام نہیں چاہئیے ،فقط دعوت اللہ فی اللہ کی نیت چاہئیے ، অর্থাৎ : গিয়ারভী ও বারভী নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে, শুধু এতোটুকুই যে যারা বিপক্ষে রয়েছে তারা তাকে লে গাইরিল্লাহ ভেবে ওয়ামা উহিল্লা লে গাইরিল্লাহ এর অন্তর্ভুক্ত ভাবে। আর যারা গিয়ারভী এর পক্ষে রয়েছে, তারা লে গাইরিল্লাহ এর অন্তর্ভুক্ত মানে না। মাওলানা গোলাম মোহাম্মদ সাহেব হয়তো দুই পক্ষের মধ্যে যে মতভেদ রয়েছে, হয়তো তিনি তার সংশোধন করার চেষ্টা করেছেন। গিয়ারভী ও বারভীতে আহারের আয়োজন ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে করা যাবে। অর্থাৎ ,এই উদ্দেশ্যে যে ওই সমস্ত আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্ত বান্দাদের রুহে নেকি পৌছাবে। এমনটা নয় যে আল্লাহর অলিগণ ওই সমস্ত খাওয়ার গ্রহণ করবেন। অতএব: এখানে কোন দ্বন্দ্ব থাকে না, তবে হ্যাঁ এই অনুষ্ঠানের নাম নিয়ে একটা মতবিরোধ থেকে যায়। যে এ ধরনের দাওয়াত কে গিয়ারভী ও বারভী বলা হবে নাকি নাযরুল্লাহ বলা হবে ?? এই কথার মধ্যে কোন সন্দেহ নেই, যে শরীয়তের মধ্যে গিয়ারভী ও বারভী এর নামের কোনো প্রমাণ নেই। এই জন্য এ নাম না বলাই ভালো। ফাতাওয়া সানায়িয়াহ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা নং - ৭১ উক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যায়। যে ঈসালে সাওয়াব এর উদ্দেশ্য গিয়ারভী শরীফ উদযাপন করা জায়েয। তবে মাওলানা সানাউল্লাহ আমরতাসরী এর আপত্তি নাম নিয়ে, তো আমরা লা মাযহাবী ভাইদের বিনয়ের সহিত বলবো আপনারা গিয়ারভী শরীফ বলিয়েন না ঈসালে সাওয়াব নাম দিয়ে আপনারা উদযাপন করেন, আমাদের কোন আপত্তি নেই। দেওবন্দীদের দৃষ্টিতে গিয়ারভী শরীফ: রাশিদ আহমদ গাঙ্গুহি এর ফাতাওয়া: রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি কে প্রশ্ন করা হলো। ایک شخص ہر مہینہ کی گیارہ تاریخ گیارہویں کرتا ہے نذر اللہ اور کھانا پکا پکا کر غرباء اور امراء سب کو کھلاتا ہے اور اپنے دل میں یہ سمجھتا ہے کہ جو چیز نذر لغیر اللہ ہو وہ حرام ہے اور میں گیارہویں کرتا ہوں یا توشہ کرتا ہوں کہ جو منسوب ہے بفعل حضرت بڑے پیر صاحب رحمتہ اللہ علیہ اور حضرت عبدالحق صاحب رحمۃ اللّٰہ علیہ کے ہرگز ان حضرات کی نذر نہیں کرتا بلکہ محض نذر اللہ کرتا ہوں صرف اس غرض سے کہ یہ حضرت کیا کرتے تھے ان کے عمل کے موافق عمل کرنا موجب خیر و برکت ہے اور جو شخص ان حضرت کی یا اور کسی کی نذر کریگا سواۓ اللہ جل شانہ وہ حرام ہے کبھی حلال نہیں تو دریافت طلب یہ امر ہے کہ ایسے عقیدے والے کو گیارہویں یا توشہ کرنا جائز ہے یا نہیں اور موجب برکت ہے یا نہیں اور اس کھانے کو مسلمان دیندار تناول فرماںٔیں یا نہیں ، অর্থাৎ: এক ব্যক্তি প্রত্যেক মাসের ১১ (এগারো) তারিখে গিয়ারভী শরীফ করে আহারের আয়োজন করে আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে গরিব ও ধনী অভয়কে আহার করান, আর নিজ অন্তরে এই আকিদা পোষণ করেন যে , যে জিনিস আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে উৎসর্গ হয় তা হারাম। আর আমি যে নিয়মে গিয়ারভী শরিফ পালন করি বা খাবার আয়োজন করি, তা হলো বড় পীর আব্দুল কাদির জিলানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ও শাহ আব্দুল হাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি, এর দিকে নিসবত করে, কখনোই ওই বুযর্গন এর নামে উৎসর্গ করিনা বরং আল্লাহপাকের নামে উৎসর্গ করি। শুধুমাত্র এই উদ্দেশ্যে যে এই বুযর্গণ করতেন। আর ওনাদের আমলের মত আমল করাকে রহমত ও বরকত মনে করি, আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত কোনো বুযর্গণ ও অন্য কারো নামের উৎসর্গ করবে,তা হারাম হবে কখনোই হালাল হবে না। এখানে আমার জানার বিষয় হল, এমন আকিদা পোষণকারী ব্যক্তি যদি গিয়ারভী উপলক্ষে আহারের আয়োজন করে তা জায়েয হবে কিনা ? এবং সেখানে বরকত হবে কিনা ? এবং কোন দ্বীনি মুসলমান আহার করতে পারবে কিনা ?? তিনি উত্তরে বলেন। ایصال ثواب کی نیت سے گیارہویں کو توشہ کرنا درست ہے مگر تعین یوم و تعین طعام کی بدعت اس کے ساتھ ہوتی ہے اگر چہ فاعل اس تعین کو ضروری نہیں جانتا مگر دیگر عوام کو موجب ضلالت کا ہوتا ہے لہذا تبدیل یوم وطعام کیا کرے تو پھر کوںٔی خدشہ نہیں ، অর্থাৎ: ঈসালে সাওয়াব এর নিয়তে গিয়ারভী শরীফে খাওয়ার আয়োজন করা জায়েয। তবে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট খাওয়ার আয়োজন করা বিদআত, যদিও কর্তা দিন ধার্য করাকে আবশ্যিক মনে করে না। কিন্তু অন্য লোকদের পথভ্রষ্ট করার কারণ হতে পারে, তবে খাওয়ার দিন বদলে ফেললে কোন সমস্যা নেই ফাতাওয়া রাশীদীয়াহ পৃষ্ঠা নং ১০৫ -১০৬ অতএব: দেওবন্দী ও ঘরানার আলিম রাশীদ আহমদ গাঙ্গুহি স্বীকার করে নিয়েছেন, যে ঈসালে সাওয়াব এর উদ্দেশ্য গিয়ারভী শরীফ পালন করা জায়েয। তবে এখন বাকি থাকলো দিন তারিখ নির্দিষ্ট করা যাবে কিনা। এ সম্পর্কে তাদের এই ঘরানার আলেম এর আমন কি রয়েছে আমরা দেখে আসি। হাজী ইমদাদুল্লাহ বলেন। رہا تعین تاریخ یہ بات تجربے سے معلوم ہوتی ہے کہ جو امر کسی خاص وقت میں معمولی ہو تو اس قسم کی مصلحتیں ہر امر میں ہیں جنکی تفصیل طویل ہے محض بطور نمونہ تھوڑا سا بیان کیا گیا ذہن آدمی غور کرکے سمجھ سکتا ہے اور قطع نظر مصالح مذکورہ کے ہمیں بعض اسرار بھی ہیں پس اگر یہی مصالح بناۓ تخصیص ہو تو کچھ مضائقہ نہیں، অর্থাৎ : দিন তারিখ নির্দিষ্ট করার ব্যাপার টা আমার পরিক্ষিত আমল,যে কোনো নির্দিষ্ট দিনে কোনো আমল করলে সেটা মনে থাকে, আর এটা প্রত্যেক কাজে এটা হয়ে থাকে,এই বিষয়ে নির্নয় করলে সূচিপত্র অনেক লম্বা হয়ে যাবে। শুধুমাত্র বুঝানোর জন্য সংক্ষিপ্ত আকারে বলি,যে বুদ্ধিমান ব্যক্তি খুব সহজেই বুঝতে পারবে।যে অন্য কোনো ধারণা না রেখে যদি এই উদ্দেশ্যে দিন তারিখ ধার্য করে তাহলে কোনো সমস্যা হবে না। ফাইসালা হাফত মাসয়ালা - পৃষ্ঠা নং ৬

Comments -

Posted On: 2024-11-20
Most Read Articles