KeyOfIslam
Welcome To KeyOfIslam.com. KeyOfIslam is the platform to spread love and brotherhood among all people through the light of Prophet Mohammad(peace be upon him), the Final Messanger of Allah. Here you will get informations with precision.
Individual Articles
হযরত আমীরে মু'আবিয়ার رضی اللہ عنہ এর উপর উত্থাপিত আপত্তি ও তার জবাব(দ্বিতীয় পর্ব)
হযরত আমীরে মু'আবিয়ার رضی اللہ عنہ এর উপর উত্থাপিত আপত্তি ও তার জবাব(দ্বিতীয় পর্ব) মুফতী শামসুদ্দোহা মিসবাহী ফলতা, দঃ২৪পরগনা, পঃবঃ তৃতীয় আপত্তি: হযরত আমিরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু হযরত মওলা আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুকে গালি দিতেন।( মা'যাল্লাহ) শিয়া ও রাফেজিদের পক্ষ থেকে বারংবার আপত্তি শোনা যায় যে, হযরত মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু মাওলা আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকে গালি দিতেন এবং অপরকে গালি দেওয়ার নির্দেশ দিতেন। তারা কয়েকটি দুর্বল হাদিস ও তার অপব্যাখ্যা করে নিজেদের আপত্তিকে সাব্যস্ত করার চেষ্টা চালায় এবং হাদিসের নামে অপপ্রচার করে সহজ সরল মুসলমানদের পথভ্রষ্ট করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের দলিল স্বরপ দেওয়া সমস্ত হাদিস ও তার সঠিক জবাব সম্পর্কে একের পর এক নিম্নে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ । প্রথম হাদিস: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، - وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ - قَالاَ حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، - وَهُوَ ابْنُ إِسْمَاعِيلَ - عَنْ بُكَيْرِ بْنِ مِسْمَارٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَمَرَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ سَعْدًا فَقَالَ مَا مَنَعَكَ أَنْ تَسُبَّ أَبَا التُّرَابِ فَقَالَ أَمَّا مَا ذَكَرْتُ ثَلاَثًا قَالَهُنَّ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَنْ أَسُبَّهُ لأَنْ تَكُونَ لِي وَاحِدَةٌ مِنْهُنَّ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ حُمْرِ النَّعَمِ  سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لَهُ خَلَّفَهُ فِي بَعْضِ مَغَازِيهِ فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ يَا رَسُولَ اللَّهِ خَلَّفْتَنِي مَعَ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلاَّ أَنَّهُ لاَ نُبُوَّةَ بَعْدِي ‏"‏ ‏.‏ وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ يَوْمَ خَيْبَرَ ‏"‏ لأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ رَجُلاً يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَتَطَاوَلْنَا لَهَا فَقَالَ ‏"‏ ادْعُوا لِي عَلِيًّا ‏"‏ ‏.‏ فَأُتِيَ بِهِ أَرْمَدَ فَبَصَقَ فِي عَيْنِهِ وَدَفَعَ الرَّايَةَ إِلَيْهِ فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَلَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏(‏ فَقُلْ تَعَالَوْا نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَأَبْنَاءَكُمْ‏)‏ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم অনুবাদ: সা'দ ইবনু আবি ওয়াক্কাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত : মু’আবিয়াহ্ ইবনু আবি সুফিয়ান (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা) সা’দ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-কে ‘আমির (প্রতিনিধি) নিযুক্ত করলেন এবং বললেন, আপনি ‘আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-কে কেন মন্দ বলেন না( মন্দ বলতে কোন জিনিস বাধা দেয়)? সা’দ বললেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সম্বন্ধে যে তিনটি কথা বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তা আমি মনে রাখবো ততক্ষণ পর্যন্ত কখনও তাঁকে খারাপ বলব না। সেসব কথার মধ্য হতে একটিও যদি আমি লাভ করতে পারতাম তাহলে তা আমার জন্য লাল উটের চেয়েও অধিক কল্যাণকর হত। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ‘আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর উদ্দেশ্যে বলতে শুনেছি- আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-কে কোন যুদ্ধের সময় প্রতিনিধি বানিয়ে রেখে গেলে তিনি বললেন, মহিলা ও শিশুদের মধ্যে আমাকে রেখে যাচ্ছেন, হে আল্লাহর রসূল? তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি কি এতে আনন্দবোধ করো না যে, আমার নিকট তোমার সম্মান মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট হারূন (আলাইহিস)-এর মতো। এ কথা ভিন্ন যে, আমার পর আর কোন নবী নেই। খাইবারের যুদ্ধের দিন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছি, আমি এমন এক লোককে পতাকা (ইসলামের ঝাণ্ডা) দেব যে আল্লাহ ও তাঁর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ভালবাসে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলও তাঁকে ভালবাসেন। এ কথা শুনে আমরা (অধির আগ্রহে) অপেক্ষা করতে থাকলাম। তখন তিনি বললেন, আলীকে ডাকো। আলী আসলেন, তাঁর চোখ(অসুখ হয়েছিল) উঠেছিল। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর চোখে থুথু মুবারক লাগিয়ে দিলেন এবং তাঁর হাতে পতাকা সঁপে দিলেন। অবশেষে আল্লাহ তাঁর হাতেই বিজয়মালা (পতাকা) তুলে দিলেন। আর যখন আয়াত: ‘চলো আমরা আমাদের এবং তোমাদের সন্তান-সন্ততিকে ডাকি’- (সূরাহ্ আলে ‘ইমরান ৩: ৬১) অবতীর্ণ হলো, তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসাঈন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম)-কে ডাকলেন। তারপর বললেন, হে আল্লাহ! এরাই আমার পরিবার-পরিজন। ( সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ফাযায়েল, হাদীস নং মতান্তরে ৬০০২, ৬০৪১,৬১১৪) ( সুনানে তিরমিযী, কিতাবুল মানাকীব, হাদীস নং ৩৩৫৮) ( সুনানে নাসায়ী, কিতাবুল খাসায়েস, হাদীস নং ৭১৬৯) ( হাকিম আল মুস্তাদরাক, হাদীস নং ৪৫৫২) তাদের আপত্তি ১) হযরত আমীরে মু'আবিয়া হযরত আলী কে গালি দিতেন ও অপরকে গালি দেওয়ার আদেশ ও করতেন। আমাদের জবাবঃ প্রথমত আমাদের تسب ( তাসুব্বু) শব্দের সঠিক অর্থ জানা একান্ত জরুরী যার দ্বারা প্রায় ৮০- ৯০ শতাংশ আপত্তির জবাব ও সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে । আরবি ভাষায় এক একটি শব্দের অর্থ তার ব্যবহৃত স্থান অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে যেমন উক্ত হাদিসে উল্লেখিত تسب (তাসুব্বু) শব্দটির একটি অর্থ যেমনভাবে গালি দেওয়া হয় তেমনি উক্ত শব্দের অন্যান্য অনেক অর্থ রয়েছে যেমন নিন্দা করা, দোষ ত্রুটি বর্ণনা করা ও কখনো কখনো আরববাসীরা অন্যের মতামত কে ভুল ও নিজের মতকে সঠিক সাব্যস্ত করার জন্য উক্ত শব্দটি ব্যবহার করে থাকে সুতরাং উক্ত হাদিসে উল্লেখিত শব্দটির ما منعك ان" تسب ابا تراب " সঠিক অর্থ হবে যে আবু তুরাবকে নিন্দা করতে কোন জিনিসটি বাধা দেয় ? এখানে تسب ( তাসুব্বু) শব্দের অর্থ গালি দেয়া হবে না বরং নিন্দা করা ও অপরের মতের বিপক্ষে মত পোষণ করা হবে। যেমন অন্যান্য হাদিসে উক্ত শব্দটি এই অর্থে ব্যবহার হয়েছে । যেমন বুখারী শরীফে একটি দীর্ঘ হাদীস যাতে হযরত আলী ও হযরত আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমার মধ্যে বাগে ফাদাক সম্পর্কে মতভেদের ঘটনা ও হযরত উমারের নিকটে তার সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই হাদীসে سب (সাব্ব) শব্দটি এসেছে قَالَ عَبَّاسٌ يَا أَمِيْرَ الْمُؤْمِنِيْنَ اقْضِ بَيْنِيْ وَبَيْنَ هَذَا وَهُمَا يَخْتَصِمَانِ فِي الَّذِيْ أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُوْلِهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ بَنِي النَّضِيْرِ فَاسْتَبَّ عَلِيٌّ وَعَبَّاسٌ অনুবাদ: আব্বাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, হে, আমীরুল মু’মিনীন! আমার এবং তাঁর মাঝে (বিবাদের) মীমাংসা করে দিন। বনূ নাযীরের সম্পদ থেকে আল্লাহ্ তাঁর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ফাই (বিনা যুদ্ধে লব্ধ সম্পদ) হিসেবে যা দিয়েছিলেন তা নিয়ে তাদের উভয়ের মাঝে বিবাদ চলছিল। এ নিয়ে তারা তর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন। ( সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪০৩৩) উক্ত হাদিসে سب (সাব্ব) শব্দের অর্থ "তর্কে লিপ্ত হওয়া অর্থাৎ অপরের বিরুদ্ধে ভিন্নমত পোষণ করা" করা হয়েছে ।কোন রাফেজি শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ উক্ত হাদিসের সাব্ব শব্দের অর্থ গালি দেওয়া করে এই হুকুম লাগাতে পারবে যে হযরত আলী ও হযরত আব্বাস একে অপরকে গালি দিয়েছেন। ( নাউযুবিল্লাহ) না কোনদিনই পারবেনা কারণ সাব্ব শব্দ উক্ত হাদীসে অপরের বিপক্ষে মত পোষণ করা অর্থেই ব্যবহার করা হয়েছে । এই হাদীস দ্বারা বোঝা বোঝা গেল সাব্ব শব্দের অর্থ শুধুমাত্র গালি দেওয়া নয় বরং ব্যবহৃত স্থান অনুযায়ী তার অর্থ ভিন্ন হতে পারে। বুখারী শরীফের অপর একটি হাদীসেও সাব্ব শব্দটি একই অর্থে ব্যবহার হয়েছে। عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ اللَّهُمَّ فَأَيُّمَا مُؤْمِنٍ سَبَبْتُهُ فَاجْعَلْ ذَلِكَ لَهُ قُرْبَةً إِلَيْكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏ অনুবাদ: আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি নবী কে এ দু'আ করতে শুনেছেন : হে আল্লাহ্‌! যদি আমি কোন মু'মিন লোককে খারাপ বলে থাকি, তবে আপনি সেটাকে ক্বিয়ামাতের দিন তার জন্য আপনার নৈকট্য অর্জনের উপায় বানিয়ে দিন। ( সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৩৬১) প্রিয় পাঠক বন্ধু ! উক্ত হাদিসেও সাব্ব শব্দটি নিন্দা ও দোষ ত্রুটি বর্ণনা করার অর্থেই এসেছে ।সাব্ব শব্দের কেবলমাত্র একটি অর্থ জেনে উক্ত হাদিসে রসুলে পাক সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে গালি দেওয়ার অর্থ করা কোন মুমিনের পক্ষের সম্ভব নয় তাহলে মানতে হবে যে سب ( সাব্ব) শব্দের অর্থ সব জায়গায় গালি দেওয়া হয় না বরং তার ব্যবহৃত স্থান দেখে ভিন্ন অর্থও হতে পারে যা পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া একাধিক হাদিসে উক্ত শব্দ গালি দেওয়া ছাড়া ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে যা লেখনী সংক্ষিপ্ত রূপে সমাপ্তির উদ্দেশ্যে উল্লেখ করা হলো না । মূল হাদীসের ব্যাখ্যা অতএব تسب ( তাসুব্বূ) শব্দের উক্ত বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা সম্মুখে রেখে উক্ত হাদিসে উল্লেখিত বাক্যের ما منعك ان" تسب ابا تراب সঠিক অর্থ হবে যে আবু তুরাবকে নিন্দা করতে কোন জিনিস বাধা দেয় ? এখানে হযরত আমিরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু হযরত সা'দকে গালি দেওয়ার আদেশ করেননি বরং উনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুকে নিন্দা করতে তোমাকে কোন জিনিসটি বাধা দেয় যা সুস্পষ্ট হাদিসের শব্দ দ্বারা পরিলক্ষিত । দ্বিতীয়তঃ উক্ত হাদিস সম্পর্কে বহু উলামায়ে কেরাম ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা পেশ করেছেন তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইমাম নববী,ইমাম কুরতুবী, ইমাম আলুসীও অন্যান্য অনেকেই । যেমন মুসলিম শরীফের জগৎবিখ্যাত ব্যাখ্যা কারক হযরত আল্লামা এহয়াহ বিন শারফ নববী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন: فَقَوْلُ مُعَاوِيَةَ هَذَا لَيْسَ فِيهِ تَصْرِيحٌ بِأَنَّهُ أَمَرَ سَعْدًا بِسَبِّهِ وَإِنَّمَا سَأَلَهُ عَنِ السَّبَبِ الْمَانِعِ لَهُ مِنَ السَّبِّ كَأَنَّهُ يَقُولُ هَلِ امْتَنَعْتَ تَوَرُّعًا أَوْ خَوْفًا أَوْ غَيْرَ ذَلِكَ فَإِنْ كَانَ تَوَرُّعًا وَإِجْلَالًا لَهُ عَنِ السَّبِ فَأَنْتَ مُصِيبٌ مُحْسِنٌ وَإِنْ كَانَ غَيْرُ ذَلِكَ فَلَهُ جَوَابٌ آخَرُ অনুবাদ: এখানে হযরত আমিরে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হযরত সা'দ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে গালি দেওয়ার আদেশের কথা স্পষ্ট উল্লেখ নাই বরং তিনি হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুকে নিন্দা না করার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। যেন তিনি( হযরত সা'দ কে) বলতে চাইছিলেন যে নিন্দা থেকে বিরত থাকার কারণ কী ভয়, সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য না অন্য কিছু যদি তাঁর ( হযরত আলীর) সম্মান ও তাঁর সম্পর্কে সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য (নিন্দা থেকে বিরত থাকা ) হয় তাহলে তুমি সঠিক ও ভালো ব্যক্তি এবং যদি অন্য কোন কারণ হয় তাহলে তার অন্য কোন জবাব রয়েছে । ( শারহে মুসলিম লিন নববী, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ২৭৮) আরো একটি ব্যাখ্যা হযরত ইমাম নববী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি উল্লেখ করেছেন: أَنَّ مَعْنَاهُ مَا مَنَعَكَ أَنْ تُخَطِّئَهُ فِي رَأْيِهِ وَاجْتِهَادِهِ وَتُظْهِرَ لِلنَّاسِ حُسْنَ رَأْيِنَا وَاجْتِهَادِنَا অনুবাদ: তোমাকে তার সিদ্ধান্ত এবং ইজতিহাদের ভুল এবং আমার সিদ্ধান্ত ও ইজতিহাদের সঠিকতা তুলে ধরতে তোমাকে কোন জিনিসে বাধা দিচ্ছে? (শরহে নববী আলা মুসলিম-২/২৭৮) প্রিয় পাঠকবৃন্দ! সকলেই এই বিষয়ে অবগত যে হযরত আমিরের মুয়াবিয়া ও হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুমার লোকেদের মাঝে দৃষ্টিভঙ্গিগত ইজতেহাদী মতভেদ ছিল । দুই দলই নিজেদের অবস্থানকে সঠিক এবং অপরের অবস্থানকে ভুল মনে করতেন । তাই এখানে সাব্ব শব্দ দ্বারা অপর দলকে ভুল সাব্যস্তকরণ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে । গালাগালি দেওয়া হয়নি এবং হযরত আমিরে মুয়াবিয়ার রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর মতো একজন সম্মানিত সাহাবী কাতিবে রসূল হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর মত ফজিলত পূর্ণ সাহাবী ও প্রিয় নবীর খলিফাকে কেমন ভাবে গালি দিতেন এটি অসম্ভব একটি বিষয় । উক্ত বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যার আলোকে দিবালোকের ন্যায় প্রতিয়মান হয় যে হযরত আমিরের মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু হযরত সা'দ রাদিয়াল্লাহু আনহু কে হযরত আলী সম্পর্কে গালি দেওয়ার আদেশ দেননি বরং তাঁকে (হযরত সা'দ কে) তাঁর (হযরত আলী) সম্পর্কে নিন্দা থেকে বিরত থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করেছিলেন সুতরাং উক্ত হাদীস দ্বারা শিয়া ও রাফিজিদের আপত্তি ভিত্তিহীন ও অগ্রহণযোগ্য। সনদগত গবেষণা উক্ত আলোচনা হাদীসের মতনগত দিক থেকে ছিল যদি তার সনদগত দিক থেকে গবেষণা করা যায় তাহলে ফলাফল বের হবে যে উক্ত হাদিসটি খবরে ওয়াহিদ( যা এক প্রকার সন্দেহের অবকাশ রাখে ) ও গরিব হাদিসের অন্তর্ভুক্ত সুতরাং এরূপ একপ্রকার সন্দেহযুক্ত হাদিস দ্বারা কারো প্রতি দলিল উপস্থাপন করা গ্রহণযোগ্য নয়। ইবনে স্বালেহ লেখেন: الحديث الذي يتفرد به بعض الرواة يوصف بالغريب" وكذلك الحديث الذي يتفرد فيه بعضهم بأمر لا يذكره فيه . غيره إما في متنه وإما في إسناده অনুবাদ : গরিব সেই হাদীসকে বলা হয়, কতক রাবি একক যা বর্ণনা করে অনুরূপ কোন রাবি যদি হাদীসের কোন অংশ একক ভাবে বর্ণনা করে, সেক্ষেত্রে সনদ হোক আর মতনের অংশ হোক উভয়ই গরিব। ( উলুমে হাদীস, পৃষ্ঠা - ৪৭০) উক্ত বর্ণনায় বর্ণনাকারী হচ্ছেন একমাত্র সা'দ বিন আবি ওয়াক্বাস, তার থেকে একমাত্র বর্ণনাকারী হিসাবে বর্ণনা করেছেন আমির বিন সা'দ বিন আবি ওয়াক্বাস। তিনি ব্যতীত হজরতে সা'দ বিন আবি ওয়াক্বাসের কাছ থেকে কোন সাহাবী বা তাবেয়ি এই বর্ণনা শুনেছেন বলে তার প্রমাণ নেই। তাছাড়া আমির বিন সা'দের কাছ থেকে একমাত্র শ্রোতা হলেন বুকাইর বিন মিস্মার, তিনি ছাড়া অন্য কোন রাবি পাওয়া যায়নি। সুতরাং হাদীসটি খবরে ওয়াহিদ সাথে সাথে সনদের দিক থেকে অতিমাত্রায় গরীব প্রকৃতির। সনদে উল্লেখিত বুকাইর বিন মিস্মার সম্বন্ধে ইমামগণ সমালোচনাও করেছে যা নিম্নে দেয়া হলঃ بكير بن مسمار (1) أخبرنا ابن حماد قال: قال البخاري بكير بن مسمار أخو مهاجر بن مسمار روى عنه أبو بكر الحنفي في حديثه بعض النظر অনুবাদ: খবর দিলেন ইবনে হাম্মাদ তিনি বলেন ইমাম বুখারী বলেছেন বুকাইর বিন মিসমার হলো মুহাজির বিন মিসমারের ভাই, আবু বকর হানাফি তার থেকে বর্ণনা করে থাকেন তার হাদীসে সমালোচনা আছে। (তাহজিবুল কামাল, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-৪২) إسناده ضعيف ؛ لضعف بكير بن مسمار অনুবাদ: ইহার সনদ জইফ, বুকাই বিন মিসমার জইফ হওয়ার কারণে। (তারিখুল বাগদাদ, খন্ড-৬ পৃষ্ঠা-৩০৩) প্রিয় পাঠক বন্ধু! আপনারা লক্ষ্য করলেন উক্ত হাদিসটির মতন ও সনদ দুই দিক থেকেই শিয়া ও রাফেজিদের উত্থাপিত আপত্তি প্রমাণ হয় না সুতরাং তাদের আপত্তি ভিত্তিহীন ও অগ্রহণযোগ্য । দ্বিতীয় হাদীস এই একই প্রসঙ্গে যে হযরত আমির মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু কে গালি দিয়েছেন তারা নিম্নে দেওয়া হাদিস দলিল উপস্থাপন করে থাকে। حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ ابْنِ سَابِطٍ، - وَهُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ - عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَ قَدِمَ مُعَاوِيَةُ فِي بَعْضِ حَجَّاتِهِ فَدَخَلَ عَلَيْهِ سَعْدٌ فَذَكَرُوا عَلِيًّا فَنَالَ مِنْهُ فَغَضِبَ سَعْدٌ وَقَالَ تَقُولُ هَذَا لِرَجُلٍ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏"‏ مَنْ كُنْتُ مَوْلاَهُ فَعَلِيٌّ مَوْلاَهُ ‏"‏ ‏.‏ وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ ‏"‏ أَنْتَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلاَّ أَنَّهُ لاَ نَبِيَّ بَعْدِي ‏"‏ ‏.‏ وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ ‏"‏ لأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ الْيَوْمَ رَجُلاً يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ ‏"‏ ‏.‏ অনুবাদ: সা'দ বিন আবূ ওয়াক্কাস থেকে বর্ণিত:তিনি বলেন, মুআবিয়া (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) একবার হাজ্জ করতে আসেন। সা‘দ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) তার নিকটে উপস্থিত হলে লোকেরা আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) সম্পর্কে (অশোভন) উক্তি করে। এতে সা‘দ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) অসন্তুষ্ট হন এবং বলেন, তোমরা এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে কটুক্তি করলে যার সম্পর্কে আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ আমি যার বন্ধু, আলী তার বন্ধু। আমি, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আরো বলতে শুনেছিঃ তুমি আমার কছে ঐরূপ যেরূপ ছিলেন হারূন (আলাইহিস সালাম) মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট। তবে আমার পরে কোন নবী নেই। আমি,নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আরো বলতে শুনেছিঃ আজ (খায়বার যুদ্ধের দিন) আমি অবশ্যই এমন ব্যক্তির হাতে (যুদ্ধের) পতাকা অর্পন করবো, যে আল্লাহ ও তার রসূলকে ভালোবাসে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং -১২১) ( মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাহ , হাদীস নং -৩১৩৫৯) তাদের আপত্তি ১) হযরত আমির মোয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুকে গালি দিয়েছেন আমাদের জবাবঃ প্রথমত হাদিসের সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে যে হযরত আমির মোয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু হযরত আলীর রাযিয়াল্লাহু আনহু সম্পর্কে গালি তো দূরের কথা কোন অশোভন উক্তি না নিজে করেছেন আর না কাউকে করার আদেশ দিয়েছেন। উক্ত হাদিসে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে হযরত আমির মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু হজে এসেছিলেন এবং হযরত সাদ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু তাঁর সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে আসেন সেখানে উপস্থিত লোকেরা হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর অশোভন উক্তি করেন কিন্তু শিয়ারা চালাকি ও মিথ্যাচার করে সেটিকে হযরত মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর নামে চালিয়ে তাঁর উপর আপত্তি উত্থাপন করে। হজে আগত মানুষজন যদি কারো উপর অশোভন করে, তাহলে কি তার দায় হযরত আমিরে মুয়াবিয়ার উপরে হবে ? একদমই না সুতরাং বোঝা গেল যে হযরত আমিরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু হযরত আলী সম্পর্কে গালি ও অশোভন উক্তি করেননি । তাছাড়া উক্ত হাদিসটি সনদগত দিক থেকে যয়ীফ ও অগ্ৰহণযোগ্য তার কারণ নিম্নে দেওয়া হলো : قيل ليحيى بن معين سمع عبد الرحمن من سعد بن أبي وقاص ؟ قال: لا. قيل: من أبي أمامة؟ قال: لا. قيل: من جابر؟ قال: لا هو مرسل অনুবাদ: ইহাইয়া ইবনে মঈনকে জিজ্ঞাসা করা হলে, বলেন আব্দুর রাহমান হজরতে সা'দের কাছ থেকে হাদীস শুনেছেন? তিনি উত্তর দিলেন, না। জিজ্ঞাসা করা হলো আবু উমামা থেকে? তিনি উত্তর দিলেন, না। জিজ্ঞাসা করা হলো হজরতে জাবির থেকে? তিনি উত্তর দিলেন, না। (তাহজিবুত ত্যাহজিব খন্ড-৬, পৃষ্ঠা-১৮০) সনদ পর্যালোচনা করার পর জানা যায় উক্ত হাদীসে আব্দুর রাহমান ইবনে সাবিত কোন হাদীসই সরাসরি হজরতে সা'দ থেকে শোনেননি অতএব বলা যেতে পারে হজরতে সা'দ যে বর্ণনা করেছেন তা প্রমাণিত নয়। যেহেতু বর্ণনাটির যথাযথ সাক্ষী নেই সেক্ষেত্রে যথাযথ সাক্ষী না থাকায় ইহা গ্রহনযোগ্য হবে না এবং এই প্রমাণের দ্বারা কাওকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না । এখানেও তাদের অভিযোগ প্রত্যাখ্যাত। তৃতীয় হাদীস وقال أبو زرعة الدمشقي: ثنا أحمد بن خالد الذهبي أبو سعيد ثنا محمد بن إسحاق عن عبد الله بن أبي نجيح عن أبيه قال: " لما حج معاوية وأخذ بيد سعد بن أبي وقاص فقال يا أبا إسحاق إنا قوم قد أجفانا هذا الغزو عن الحج حتى كدنا أن ننسى بعض سننه فطف نطف بطوافك، قال: فما فرغ أدخله دار الندوة فأجلسه معه على سريره ثم ذكر علي بن أبي طالب فوقع فيه فقال: أدخلتني دارك وأجلستني على سريرك ثم وقعت في علي تشتمه ؟ অনুবাদ: আব্দুল্লাহ ইবনে নাজিহ তাঁর পিতা হইতে বর্ণনা করেন তার পিতা বলেন যখন হজরতে আমীরে মুয়াবিয়া হজে গেলেন হজরতে সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস হাত ধরলেন এবং বললেন হে আবু ইসহাক যুদ্ধ আমাদেরকে হজ থেকে আঁটকে রেখেছিলো সম্ভবনা ছিলো আমরা তার নিয়মগুলি ভুলে যেতাম। এখন আপনি তাওয়াফ করতে থাকুন আপনাকে তাওয়াফ করতে দেখে আমরাও তাওয়াফ করবো। যখন হজ থেকে বেরিয়ে এলেন তখন দারুন নাদওয়াতে নিয়ে গেলেন আর হযরত আমীরে মুয়াবিয়া তার ঘরের খাটে নিজের সাথে হজরতে সা'দকে বসালেন। অতঃপর হজরতে আলীর কথা উঠলে তাঁর সম্বন্ধে উল্টোপালটা বলতে শুরু করে দেন হজরতে সা'দ বললেন আপনি নিজের ঘরে খাঠের উপর নিজের সাথে বসিয়ে মওলা আলীকে গালি বলতে শুরু করে দিলেন? (ইবনে কাসীরঃ আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, খন্ড-৭ পৃষ্ঠা-৩৭৬) তাদের আপত্তি ১) হযরত আমিরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু কে গালি দিয়েছেন আমাদের জবাবঃ উক্ত বর্ণনাটি আমীরে মুয়াবিয়ার প্রতি শিয়ারা তাদের অভিযোগ প্রমাণার্থে যে দলিলগুলি দেয়, তার মধ্যে এটি অন্যতম। তবে এই বর্ণনার উপর আমার জবাব হলো উক্ত হাদীস ও এর পুর্বের হাদীস লক্ষ করলে, দেখা যায়, এর পুর্বের বর্ণনায় ছিলো আমীরে মুয়াবিয়া হজে এলে, হজরতে সা'দ নিজে আমীরে মুয়াবিয়ার নিকট সাক্ষাত করতে গিয়েছিলেন কিন্তু উক্ত বর্ণনায় আছে আমীরে মুয়াবিয়া হজরতে সা'দের হাত ধরে বলছেন হে আবু ইসহাক যুদ্ধ আমাদেরকে হজ থেকে আঁটকে রেখেছিলো সম্ভবনা ছিলো আমরা তার নিয়মগুলি ভুলে যেতাম। এখন আপনি তাওয়াফ করতে থাকুন আপনাকে তাওয়াফ করতে দেখে আমরাও তাওয়াফ করবো। এবং পরে হজ শেষ হলে তিনি হজরতে সা'দকে নিজের সাথে নিয়ে যান অথচ পুর্বের বর্ণনায় ছিলো হজরতে সা'দই দেখা করতে গিয়েছিলেন হযরত আমীরে মুয়াবিয়া তাকে নিয়ে যাননি। কিন্তু উক্ত বর্ণনায় সা'দ নিজে সাক্ষাৎ করতে যাননি বরং হযরত আমীরে মুয়াবিয়া হযরত সা'দকে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাছাড়া সবচেয়ে মজার বিষয় হলো সর্বক্ষেত্রে হজরতে সা'দই আমীরে মুয়াবিকে গালি দিতে শোনেন আর কেও গালি শুনেননি বা সে বিষয়ে বর্ণনা করেননি। তাহলে বলা যেতে পারে আমীরে মুয়াবিয়ার উপর অপবাদ দিতে বার বার হজরতে সা'দের নাম ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র। এছাড়া উক্ত বর্ণনায় একই ঘটনায় মতনের মধ্যে সংঘর্ষ দেখা দিচ্ছে তাই এতে সন্দেহ থেকেই যায়।

Comments -

Most Read Articles