হযরত আমীরে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর উপরে উত্থাপিত আপত্তি ও তার জবাব
হযরত আমীরে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর উপরে উত্থাপিত আপত্তি ও তার জবাব(প্রথম পর্ব)
মুফতি শামসুদ্দোহা মিসবাহী
ফলতা, দঃ২৪পরগনা, পঃবঃ
আহলে সুন্নাত ও জামায়াতের আক্বিদা হযরত আমীরে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু একজন সম্মানীয় সাহাবীয়ে রসূল, কাতিবে ওহি, প্রিয় নবী স্বল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রী উম্মে হাবিবা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহার আপন ভাই , তাঁর সম্বন্ধে কটুক্তি করা ও তাঁর শানে অসম্মানজনক বাক্য প্রয়োগ করা হারাম ও জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার মত কাজ ।
কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের সমাজে কিছু নামধারী আহলে বায়াত ভক্ত ও লেবাসধারী মোল্লা দাওয়াত ও ধন সম্পদের লালসায় পড়ে কোরআন ও হাদিসের অপব্যাখ্যা করে আহলে বায়াত পাকের শিক্ষা দীক্ষা পথ ও মত ভুলে শিয়া সম্প্রদায়ের অনুসরণে হযরত আমিরে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর উপর বহু আপত্তি উত্থাপন করে সাধারণ সহজ সরল মুসলমানদের গোমরাহ ও পথভ্রষ্ট করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
উত্থাপিত আপত্তির মধ্যে বারংবার শ্রবণে আসা কয়েকটি আপত্তি ও তার জবাব নিয়ে আলোচনা করা হবে এই লেখনীতে ইনশা আল্লাহ ।
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনাদের নিকট অনুরোধ যে অন্ধভক্ত ও সাহাবায়ে কেরামের শত্রুতার চশমা খুলে কোরআন হাদিসের আলোকে সত্য ও হক্ব কে মূল্যায়ন করার চেষ্টা করবেন সঠিক কি বুঝতে পারবেন ইনশাআল্লাহ । আল্লাহ আমাদের সঠিকটি বোঝার তৌফিক দান করুক ।আমীন
প্রথম আপত্তি:-রসূলুল্লাহ স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আমীরে মুয়াবিয়াকে বদ দোয়া ও অভিশাপ দিয়েছেন(মা'জাল্লাহ)
শিয়া ও রাফেজিরা মুসলিম শরীফের একটি সহীহ হাদিস দ্বারা হযরত আমীরে মুয়াবিয়ার উপরে আপত্তি উত্থাপন করে যে প্রিয় নবী স্বল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে আমীরে মুয়াবিয়াকে বদ দোয়া তথা অভিশাপ ও লানত করেছেন । তাদের দেওয়া হাদিস ও তার অনুবাদ নিম্নে দেয়া হলো :
حدثنا : محمد بن المثنى العنزي ح ، وحدثنا : إبن بشار واللفظ لإبن* المثنى قالا ، حدثنا : أمية بن خالد ، حدثنا : شعبة ، عن أبي حمزة القصاب ، عن إبن عباس ، قال : كنت ألعب مع الصبيان فجاء رسول الله صلي الله عليه و سلم فتواريت خلف باب قال : فجاء فحطأني حطأة وقال : أذهب وإدع لي معاوية قال : فجئت فقلت : هو يأكل قال : ثم قال : لي أذهب فإدع لي معاوية قال : فجئت فقلت : هو يأكل فقال : لا أشبع الله بطنه قال : إبن المثنى قلت لأمية :ما حطأني قال : قفدني قفدة ، حدثني : إسحق بن منصور ، أخبرنا : النضر بن شميل ، حدثنا : شعبة ، أخبرنا : أبو حمزة سمعت إبن عباس يقولا : كنت ألعب مع الصبيان فجاء رسول الله صلي الله عليه و سلم فإختبأت منه فذكر بمثله.
তাদের অনুবাদ:- হযরত ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহুমা থেকে হাদিস শরীফটি বর্ণিত তিনি বলেন আমি বাচ্চাদের নিয়ে খেলছিলাম প্রিয়নবী এসে আমাকে বললেন তুমি গিয়ে মুয়াবিয়াকে ডেকে আনো তখন আমি ডাকতে গেলাম এবং বললাম প্রিয়নবী আপনাকে ডাকছেন তখন তিনি জবাব দিলেন- আমি খাচ্ছি এখন যেতে পারবোনা। প্রিয়নবীকে এটা বলাতে আবারো আমাকে পাঠালেন তখনও তিনি বললেন আমি খাচ্ছি এখন যেতে পারবোনা অবশেষে প্রিয়নবী তাকে অভিশাপ দিয়ে বললেন "আল্লাহ তার পেট কখনো ভরাবেন না"।
( সহীহ মুসলিম -২৬০৪)
উক্ত হাদীস দ্বারা তাদের আপত্তি: ১) হযরত আমীরে মুয়াবিয়া কে হযরত ইবনে আব্বাস নবীজির ডাকার কথা বলার পরেও তিনি আসেননি ২) উক্ত হাদিসে প্রিয় নবী স্বল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমীরে মুয়াবিয়া কে বদ দোয়া তথা অভিশাপ ও লানাত করেছেন।
আমাদের জবাবঃ প্রথমত: উক্ত হাদিসটি সহী যথাযোগ্য সঠিক ও গ্রহণযোগ্য কিন্তু তার অনুবাদে ঘৃন্য মিথ্যাচার করা হয়েছে অর্থাৎ শিয়া রাফেজিরা নিজেদের মতো করে হাদীসটির অনুবাদ করেছে যা হাদিসের মতনের সাথে আকাশ পাতালের পার্থক্য
দ্বিতীয়ত : হাদিসে উল্লেখিত শব্দের لا اشبع الله بطنه( আল্লাহ তার পেট না ভরাক) সঠিক মানে মতলব না বুঝে তার অপব্যাখা করে মানুষদের পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা চালিয়েছে।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ! আসুন সর্বপ্রথম আমরা হাদিসের মতন অনুসারে তার সঠিক বঙ্গানুবাদটি দেখে নিই
ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻣُﺤَﻤَّﺪُ ﺑْﻦُ ﺍﻟْﻤُﺜَﻨَّﻰ ﺍﻟْﻌَﻨَﺰِﻱُّ، ﺡ ﻭَﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺍﺑْﻦُ ﺑَﺸَّﺎﺭٍ، – ﻭَﺍﻟﻠَّﻔْﻆُ ﻻِﺑْﻦِ ﺍﻟْﻤُﺜَﻨَّﻰ – ﻗَﺎﻻَ ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺃُﻣَﻴَّﺔُ ﺑْﻦُ ﺧَﺎﻟِﺪٍ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺷُﻌْﺒَﺔُ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺣَﻤْﺰَﺓَ ﺍﻟْﻘَﺼَّﺎﺏِ، ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ، ﻗَﺎﻝَ ﻛُﻨْﺖُ ﺃَﻟْﻌَﺐُ ﻣَﻊَ ﺍﻟﺼِّﺒْﻴَﺎﻥِ ﻓَﺠَﺎﺀَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓَﺘَﻮَﺍﺭَﻳْﺖُ ﺧَﻠْﻒَ ﺑَﺎﺏٍ – ﻗَﺎﻝَ – ﻓَﺠَﺎﺀَ ﻓَﺤَﻄَﺄَﻧِﻲ ﺣَﻄْﺄَﺓً ﻭَﻗَﺎﻝَ ” ﺍﺫْﻫَﺐْ ﻭَﺍﺩْﻉُ ﻟِﻲ ﻣُﻌَﺎﻭِﻳَﺔَ ” . ﻗَﺎﻝَ ﻓَﺠِﺌْﺖُ ﻓَﻘُﻠْﺖُ ﻫُﻮَ ﻳَﺄْﻛُﻞُ – ﻗَﺎﻝَ – ﺛُﻢَّ ﻗَﺎﻝَ ﻟِﻲَ ” ﺍﺫْﻫَﺐْ ﻭَﺍﺩْﻉُ ﻟِﻲ ﻣُﻌَﺎﻭِﻳَﺔَ ” . ﻗَﺎﻝَ ﻓَﺠِﺌْﺖُ ﻓَﻘُﻠْﺖُ ﻫُﻮَ ﻳَﺄْﻛُﻞُ ﻓَﻘَﺎﻝَ ” ﻻَ ﺃَﺷْﺒَﻊَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑَﻄْﻨَﻪُ ” . ﻗَﺎﻝَ ﺍﺑْﻦُ ﺍﻟْﻤُﺜَﻨَّﻰ ﻗُﻠْﺖُ ﻷُﻣَﻴَّﺔَ ﻣَﺎ ﺣَﻄَﺄَﻧِﻲ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﻔَﺪَﻧِﻲ ﻗَﻔْﺪَﺓً
সঠিক অনুবাদ:
ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন , একবার আমি শিশুদের সাথে খেলছিলাম । এ সময় রসূলুল্লাহ স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে এসে উপস্থিত হলেন । আমি তখন দরজার আড়ালে লুকিয়ে রইলাম । অতঃপর নবীজি স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে আমাকে স্নেহভরে চাপড় দিয়ে বললেন , যাও , মুয়াবিয়াকে আমার কাছে ডেকে নিয়ে এসো । ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা গিয়ে দেখেন যে, মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু খাচ্ছেন। ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন , অতঃপর আমি নবীজী স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ফিরে এসে বললাম , তিনি ( মূয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) খাচ্ছেন । তখন নবীজি স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার আমাকে বললেন , আবার যাও, মূয়াবিয়াকে আমার কাছে ডেকে নিয়ে এসো। এবারও মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে তিনি খেতে দেখলেন, ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, এবারও আমি গিয়ে ফিরে এসে বললাম , তিনি খাচ্ছেন । এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ স্বল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বললেন , “আল্লাহ তাঁর পেট না ভরাক । (মুসলিম শরীফ, হাদীস নং -২৬০৪)
উল্লেখিত হাদিসে মতন অনুসারে কোথাও এটি লেখা নেই যে হযরত ইবনে আব্বাস হযরত মুয়াবিয়াকে বললেন যে প্রিয় নবী স্বল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে ডেকেছেন এবং তিনি উত্তরে বললেন যে এখন আমি খাচ্ছি যেতে পারবো না ( মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহর লানত বর্ষিত হোক)
প্রিয় পাঠক বন্ধু! দেখুন কত বড় মুনাফিক, সীমাহীন শত্রু শয়তানের মস্তিষ্কের তাপে লালন-পালন হলে এরূপ অনুবাদে মিথ্যাচার ও খেয়ানত করতে পারে এবং হযরত ইবনে আব্বাস ও আমীরে মুয়াবিয়ার মত সম্মানীয় সাহাবীদের উপর তহমৎ ও অপবাদ লাগাতে পারে বরং উক্ত হাদিসে রসূলুল্লাহ স্বল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইবনে আব্বাসকে বললেন
ﺍﺫْﻫَﺐْ ﻭَﺍﺩْﻉُ ﻟِﻲ ﻣُﻌَﺎﻭِﻳَﺔَ ” .
ﻗَﺎﻝَ ﻓَﺠِﺌْﺖُ ﻓَﻘُﻠْﺖُ ﻫُﻮَ ﻳَﺄْﻛُﻞ "
যাও মুয়াবিয়াকে ডেকে নিয়ে এসো । ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা গেলেন এবং দেখলেন যে তিনি খাচ্ছেন তাই তিনি ফিরে এসে বললেন যে তিনি খাচ্ছেন তারপর আবারও রাসূলে পাক স্বল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইবনে আব্বাসকে পুনরায় পাঠালেন এবং হযরত ইবনে আব্বাস পুনরায় একই উত্তর দিলেন তারপর রসূলুল্লাহ স্বল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন
ﻓَﻘَﺎﻝَ ” ﻻَ ﺃَﺷْﺒَﻊَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑَﻄْﻨَﻪُ ”
আল্লাহ তাঁর পেট না ভরাক।
অতএব এই হাদিসে কোথাও প্রমাণ পাওয়া যায় না যে হযরত ইবনে আব্বাস হযরাতে আমিরে মুয়াবিয়াকে প্রিয় নবীর ডাকার কথা বলার পরেও তিনি আসেননি কিন্তু তারা তাদের অনুবাদে মিথ্যাচার করে এটি প্রমাণ করেছে (মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহর লানত হোক) সুতরাং উক্ত হাদিস দ্বারা স্পষ্ট হল যে হযরতে আমীরে মুয়াবিয়া প্রিয় নবী স্বল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়া সাল্লামের ডাকার বিষয়টি জানতেন না সেই জন্যই তিনি উপস্থিত হননি যদি জানতেন তাহলে অবশ্যই উপস্থিত হতেন। এখানে একটি প্রশ্ন জাগতেই পারে যদি আমিরে মুয়াবিয়া রসূলুল্লাহ স্বল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লামের ডাকার বিষয়টি না জানতেন তাহলে রাসূলুল্লাহ স্বল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে لا اشبع الله بطنه (আল্লাহ তার পেট না ভরাক) শব্দ দ্বারা বদ দোয়া বা অভিশাপ দিলেন কেন ?
এই প্রশ্নের উত্তরের পূর্বে আমাদের আরব বাসীর কথোপকথনের ধরন ও তাদের বাক্য প্রয়োগ সম্পর্কে অবগত হওয়া একান্ত জরুরী আরববাসীরা বহু এমন শব্দ আছে যা বাহ্যিক দিক থেকে বদ দোয়া অভিশাপ মনে হয় কিন্তু তাহারা ওই সমস্ত শব্দগুলিকে অনর্থক ও রসিকতার ছলে একে অপরের জন্য প্রয়োগ করে থাকে সুতরাং বাহ্যিক দিক থেকে সেটা বদদোয়া ও অভিশাপ লাগলেও আসলে সেটা তারা অভিশাপ ও বদ দোয়া হিসেবে ব্যবহার করে না। বরং রসিকতার ছলে ব্যবহার করে থাকে ।
ইমাম নববী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এ সম্পর্কে লেখেন :
ﺃَﻥَّ ﻣَﺎ ﻭَﻗَﻊَ ﻣِﻦْ ﺳَﺒِّﻪِ ﻭَﺩُﻋَﺎﺋِﻪِ ﻭَﻧَﺤْﻮِﻩِ ﻟَﻴْﺲَ ﺑِﻤَﻘْﺼُﻮﺩٍ ﺑَﻞْ ﻫُﻮَ ﻣِﻤَّﺎ ﺟَﺮَﺕْ ﺑِﻪِ ﻋَﺎﺩَﺓُ ﺍﻟْﻌَﺮَﺏِ ﻓِﻲ ﻭَﺻْﻞِ ﻛَﻠَﺎﻣِﻬَﺎ ﺑِﻠَﺎ ﻧِﻴَّﺔٍ ﻛَﻘَﻮْﻟِﻪِ ﺗَﺮِﺑَﺖْ ﻳَﻤِﻴﻨُﻚَ ﻭﻋَﻘْﺮَﻯ ﺣَﻠْﻘَﻰ ﻭَﻓِﻲ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳﺚِ ﻟَﺎ ﻛَﺒِﺮَﺕْ ﺳِﻨُّﻚِ ﻭَﻓِﻲ ﺣَﺪِﻳﺚِ ﻣُﻌَﺎﻭِﻳَﺔَ ﻟَﺎ ﺃَﺷْﺒَﻊَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑﻄﻨﻪ ﻭﻧﺤﻮ ﺫﻟﻚ ﻻ ﻳﻘﺼﺪﻭﻥ ﺑﺸﺊ ﻣِﻦْ ﺫَﻟِﻚَ ﺣَﻘِﻴﻘَﺔَ ﺍﻟﺪُّﻋَﺎﺀِ
অনুবাদ: যেসব হাদীসে ( সাহাবাদের ব্যাপারে) রাসূল স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার যে " বদ'দোয়া " বুঝা যায়, মূলত সেগুলো ঐ'রকম বাক্য যা আরব লোকেরা অনর্থকতা বা রসিকতাছলে বলতো। যেমন, একটা হাদীসে কোন একজন সাহাবী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে তালিম দিতে গিয়ে রসূল স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল বল্লেন, ﺗَﺮِﺑَﺖْ ﻳَﻤِﻴﻨُﻚَ তোমার ডান হাতের অমঙ্গল হোক বা একবার উম্মুলমুমীনিন আম্মাজান আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা এর উদ্দিশ্যে রসূলুল্লাহ বলেন, ﻭﻋَﻘْﺮَﻯ ﺣَﻠْﻘَﻰ বা ﻟَﺎ ﻛَﺒِﺮَﺕْ ﺳِﻨُّﻚِ তোমার বয়স বেশি না হোক এবং সাইয়্যিদুনা মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর ব্যাপারে রসূলুল্লাহ স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন “ ﻟَﺎ ﺃَﺷْﺒَﻊَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑﻄﻨﻪ অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা তাঁর পেট না ভরাক, মূলত এসব ঐরকম পর্যায়ের যে, আহলে আরবগণ যা " বদদোয়া " উদ্দেশ্য নিতো না।
( শরহে সহীহ মুসলিম ১৬/১৫২)
ইবনে বত্তাল রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এমন একটি রেওয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন:
ﻫﻰ ﻛﻠﻤﺔ ﻻ ﻳﺮﺍﺩ ﺑﻬﺎ ﺍﻟﺪﻋﺎﺀ، ﻭﺇﻧﻤﺎ ﺗﺴﺘﻌﻤﻞ ﻓﻰ ﺍﻟﻤﺪﺡ ﻛﻤﺎ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻟﻠﺸﺎﻋﺮ ﺇﺫﺍ ﺃﺟﺎﺩ : ﻗﺎﺗﻠﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻘﺪ ﺃﺟﺎﺩ
অনুবাদ: মূলত, এসব এমন বাক্য যা দ্বারা " বদ'দোয়া " উদ্দেশ্য নই। এগুলো শুধু মাত্র সুনাম করার অর্থে ব্যবহার করা হয়। যেমন, কোন শায়ের যখন সুন্দর করে শে'র পড়ে তখন আরবীয়রা বলে যে, আল্লাহ তাকে মারুক! সে কত সুন্দর শে'র পড়লো।
( শরহে সহীহ বুখারী ৯/ ৩২৯)
এছাড়া মুসলিম শরীফের একটি বিস্তারিত হাদিসে প্রিয় নবী স্বল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন সাহাবীকে বদদোয়া দেওয়া সম্পর্কে বলেছেন যার সারমর্ম হল যে আল্লাহ যে আমার মুখাপেক্ষী নয় তার জন্য যদি বদদোয়া করা হয় তাহলে সেটা তার জন্য গুনাহ মাফের ওসীলা বানিয়ে দিও। উক্ত হাদিসের মূল অংশটি নিম্নে দেয়া হলো :
ﺃَﻭَﻣَﺎ ﻋَﻠِﻤْﺖِ ﻣَﺎ ﺷَﺎﺭَﻃْﺖُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺭَﺑِّﻲ ﻗُﻠْﺖُ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺃَﻧَﺎ ﺑَﺸَﺮٌ ﻓَﺄَﻯُّ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤِﻴﻦَ ﻟَﻌَﻨْﺘُﻪُ ﺃَﻭْ ﺳَﺒَﺒْﺘُﻪُ ﻓَﺎﺟْﻌَﻠْﻪُ ﻟَﻪُ ﺯَﻛَﺎﺓً ﻭَﺃَﺟْﺮًﺍ
অনুবাদ:- তখন রসূলুল্লাহ স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বল্লেন, তোমার কি ঐ অঙ্গীকার মনে নেই.! যেটা আমি আমার আল্লাহর সাথে করেছি? আমি আমার আল্লাহর সাথে এই অঙ্গীকারের আবদ্ধ হয়েছি যে, হে আল্লাহ..! আমি একজন মানুষ.! যদি আমি কোন মুসলমানের জন্য বদদোয়া করি তবে সেটা তাঁর জন্য গুনাহ মাফের ওসীলা হয়ে যায়।
( সহীহ মুসলিম ,হাদীস নং ২৬০০)
উপরোক্ত দলিলাদী দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে হযরতে আমীরে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর উপর উত্থাপিত আপত্তি ভিত্তিহীন ও মূর্খতা ও অজ্ঞতার ফল ছাড়া আর কিছুই নয়। আল্লাহ আমাদের বোঝার তৌফিক দান করুক আমীন
দ্বিতীয় আপত্তি: হযরত আমিরে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু মদ্যপান করতেন(মা'জাল্লাহ)
শিয়া ও রাফেজিরা মুসনাদে আহমাদের একটি যয়ীফ হাদীসের অপব্যাখ্যা ও অপব্যবহার করে এটা প্রমাণ করতে চাই যে হযরতে আমীরে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু মদ্যপান করতেন কিন্তু তাদের এই অপচেষ্টা সর্বদা ব্যর্থ হয়েই থেকে যাবে ।
তাদের দেওয়া হাদিস ও তার অনুবাদ নিম্নে দেয়া হলো :
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَأَبِي عَلَى مُعَاوِيَةَ فَأَجْلَسَنَا عَلَى الْفرُشِ ثُمَّ أُتِينَا بِالطَّعَامِ فَأَكَلْنَا ثُمَّ أُتِينَا بِالشَّرَابِ فَشَرِبَ مُعَاوِيَةُ ثُمَّ نَاوَلَ أَبِي ثُمَّ قَالَ مَا شَرِبْتُهُ مُنْذُ حَرَّمَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ ইবনে বুরাইদা বর্ণনা করেছেন “আমি ও আমার আব্বা মুয়াবিয়ার কাছে গেলাম,মুয়াবিয়া আমাদের ফারসের উপর বসতে দিল এবং আমাদের জন্য খাদ্য পরিবেশন করল তো আমরা খেলাম, তারপর মুয়াবিয়া শারাব নিয়ে এল, মুয়াবিয়া পান করল ও আমার আব্বাকে দিল, আমার আব্বা বললেন, যখন থেকে রাসূল সা: এটিকে হারাম হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন, তখন থেকে আমি এটি পান করিনি।
(মুসনাদে আহমদ খণ্ড- ৫ পৃ- ৩৪৭)
উক্ত হাদিস দ্বারা তারা বিশিষ্ট সম্মানীয় সাহাবী আমিরে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকে মদ্যপানকারী প্রমাণ করার অপচেষ্টা করে থাকে ।
আমাদের জবাবঃ উপরোক্ত হাদীসটি দুই কারণে অগ্ৰহণযোগ্য প্রথমত হাদিসের সনদটি যয়ীফ দ্বিতীয়তঃ হাদিসের মতনে হেরফেরের সঙ্গে হাদিসে উল্লেখিত বাক্যটি (ما شربته منذ حرم مع رسول الله صلى الله تعالى عليه وسلم ) হযরত বুরাইদা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে যা আসলেই জঘন্য মিথ্যাচার ও অজ্ঞতার প্রমাণ অর্থাৎ উক্ত বাক্যটি হযরত বুরাইদা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর নয় বরং হযরত আমীরে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলছেন।
১) হাদীসটির সনদ সম্পর্কিত আলোচনা
হাদীসটির সনদ যয়ীফ কারণ আব্দুল্লাহ বিন বুরাইদা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে যখন হুসাঈন বিন ওয়াকেদ বর্ণনা করে তখন সেই সনদটি মুনকার সাব্যস্ত হয় । যেমনটি ইমাম আহমদ বিন হাম্বাল রহমাতুল্লাহি আলাইহি " আল ইলাল ও মারেফাতুর রিজাল " নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন
ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺑﺮﻳﺪﺓ ﺍﻟﺬﻱ ﺭﻭﻯ ﻋﻨﻪ ﺣﺴﻴﻦ ﺑﻦ ﻭﺍﻗﺪ ﻣﺎ ﺃﻧﻜﺮﻫﺎ
আব্দুল্লাহ বিন বুরাইদার হাদীস, যেটি হুসাঈন বিন ওয়াকেদ বর্ণনা করেছেন সেটি " মুনাকার " হিসেবে সাব্যস্ত। ( আল ইলাল ও মারেফাতুর রিজাল - পৃষ্ঠা ২২২)
উক্ত সংক্ষিপ্ত দলিল দ্বারা সুস্পষ্ট প্রমাণ হয় যে উক্ত হাদীসটি সনদগত দিক থেকে যয়ীফ ও অগ্ৰহণযোগ্য কিন্তু সাহাবাদের সহিত শত্রুতা পোষণকারী জঘন্য মানুষজন তাঁদের অসম্মান করার জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে থাকে যা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়।
২) হাদিসের মতনে হেরফের ও আমিরে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বাক্যকে অন্য সাহাবীর বলে আখ্যায়িত করা ও তার অপব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা:
শিয়া ও রাফেজিরা চালাকি করে উক্ত হাদিসে উল্লেখিত একটি বাক্য ما شربته منذ حرم رسول الله صلى الله تعالي عليه وسلم (অর্থাৎ যখন থেকে রসূলুল্লাহ স্বল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটিকে হারাম করেছেন তখন থেকে আমি পান করিনি ) বাক্যটিকে হযরত আমীরে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর স্থানে হযরত আব্দুল্লাহ বিন বুরাইদা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর বলে চালিয়েছে যেমনটি তাদের অপব্যাখ্যায় পরিলক্ষিত। বাস্তবে উক্ত বাক্যটি হযরত আমিরে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুই বলেছেন । যেমনটি মুসনাদে আহমাদের ব্যাখ্যাকারক হযরত আব্দুল্লাহ বিন শুয়ায়েব লিখেছেন:
ﻭﻗﻮﻟﻪ : “ ﺛﻢ ﻗﺎﻝ : ﻣﺎ ﺷَﺮِﺑﺘُﻪ ﻣﻨﺬ ﺣﺮَّﻣَﻪ ﺭﺳﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ” ﺃﻱ : ﻣﻌﺎﻭﻳﺔ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻔﻴﺎﻥ، ﻭﻟﻌﻠﻪ ﻗﺎﻝ ﺫﻟﻚ ﻟِﻤﺎ ﺭﺃَﻯ ﻣﻦ ﺍﻟﻜﺮﺍﻫﺔ ﻭﺍﻹﻧﻜﺎﺭ ﻓﻲ ﻭﺟﻪ ﺑﺮﻳﺪﺓ، ﻟﻈﻨِّﻪ ﺃﻧﻪ ﺷﺮﺍﺏٌ ﻣُﺤﺮَّﻡ، ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺃﻋﻠﻢ .
অনুবাদ: মুয়াবীয়া রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুর এই বক্তব্য অর্থাৎ " আমি এখনও পর্যন্ত এটি পান করিনি যখন হতে রসূলুল্লাহ স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদকে হারাম ঘোষণা দিয়েছেন। বস্তুত, এই কথাটি আমীরে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তখন বলেছিলেন, যখন তিনি হযরতে বুরাইদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর চেহারায় একপ্রকারের মালিন্যতা দেখতে পান। অর্থাৎ, হজরত বুরাইদা ভাবনায় ছিলেন যে, মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কি আমাকে হারাম " মাশরুব " দিলেন..!
( মুসনাদ আহমদ )
অতএব উক্ত আলোচনা দ্বারা বোঝা গেল যে উক্ত বাক্য "যখন থেকে রসূলুল্লাহ স্বল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটিকে হারাম করেছেন তখন থেকে আমি পান করিনি" এটি হযরত ইবনে বুরাইদার নয় বরং আমিরে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর
বাক্য বা কথা ।
এবারে আসুন হাদিসে উল্লেখিত বাক্যের ما شربته ( আমি পান করিনি) সঠিক মানে মতলব কি জেনে নেয়া যাক যেটি আপত্তির মূল অংশ কারণ এই শব্দ দ্বারাই শিয়ারা মিথ্যাচার করে প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে তিনি মদ পান করতেন। এবং উক্ত শব্দ দ্বারা তারা নিজেদের মত অনুযায়ী শারাব তথা মদ বুঝেছে বাস্তবে কিন্তু তা নয় । উর্দু ভাষায় মদ কে শারাব ও আরবিতে খামার বলা হয় যার কথা হাদিসে কোন জায়গায় উল্লেখ করা হয়নি। হাদিসে ما شربته ( আমি পান করিনি) শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে যার দ্বারা আরবিতে পানীয় জিনিস বোঝানো হয়। এবং সমস্ত পানীয় জিনিস মদ বা শারাব নয় । তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে যে হারাম শব্দের কথা আসলো কেন ? এই প্রশ্নের উত্তর হল যে পূর্বে হযরত আব্দুল্লাহ বিন শুয়ায়েবের বর্ননা থেকে আমরা বুঝতে পেরেছি যে যখন আজ রাতে আমিরে মুয়াবিয়া পানীয় জিনিস দ্বারা অতিথি আপ্যায়ন করছিলেন তখন অতিথিস্বরূপ উপস্থিত আব্দুল্লাহ ও তার পিতা বুরাইদা ভাবছিলেন যে তিনি তাদেরকে হারাম মাশরুব (পানীয় জিনিস)পান করাচ্ছেন তখন তিনি বলেছিলেন যে যখন থেকে রসূলুল্লাহ স্বল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদ কে হারাম করেছেন তখন থেকে আমি পান করিনি সুতরাং পানীয় জিনিসটি হারাম নয় আপনি পান করতে পারেন।
উক্ত বিষয়াদিকে সামনে রেখে যদি হাদীসটির সম্পূর্ণ সঠিক অনুবাদ করা যায় তাহলে বোঝা যাবে যে হযরতে আমীরে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু মদ পান করেননি কেবলমাত্র শিয়াদের হেরফের ও অনুবাদে মিথ্যাচার করার কারণেই এই আপত্তির উৎপত্তি হয়েছে ।
প্রিয় পাঠক বৃন্দ ! আপনারা লক্ষ্য করলেন যে কেমন ভাবে হাদিসের অপব্যাখ্যা ও তার অনুবাদে মিথ্যাচার করে তারা সাহাবায়ে কেরামদের উপর ভিত্তিহীন আপত্তি করে মানুষদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । শুধুমাত্র কোরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি দেখে তাদেরকে সঠিক মনে করা বোকামি হবে সুতরাং এদের থেকে খুব সাবধান !
জঘন্য শিয়া সম্প্রদায়ের বাকি আপত্তি ও তার জবাব সম্পর্কে আগামী পর্বে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ ।
Comments -