আম্বিয়ায়ে কেরাম আলাইহিমুস সালাম ও সাধারণ ব্যক্তিদের ইন্তেকালের মধ্যে পার্থক্য
শ্রদ্ধেয় পাঠকবৃন্দ! পূর্বের অনুচ্ছেদে উল্লেখিত আয়াত সমূহ ও সহীহ হাদীসসমূহের আলোকে সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, আম্বিয়ায়ে কেরাম আলাইহিমুস সালাম তৎসহ নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অবশ্যই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করেছেন ও ইন্তেকাল করেছেন। তবে আম্বিয়ায়ে কেরাম আলাইহিমুস সালাম-এর ইন্তেকাল ও সাধারণ ব্যক্তিদের ইন্তেকাল সমান নয়। নাবীগণ ও সাধারণ ব্যক্তিদের ইন্তেকালের মধ্যে আসমান-যমীনের পার্থক্য বিদ্যমান। তন্মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য কিছু পার্থক্য নিম্নে প্রদত্ত হল-
১,, সাধারণ ব্যক্তিদের ইন্তেকালের পর তাদের দেহ জমিন ভক্ষণ করে ফেলে এবং তারা মাটির সঙ্গে মিশে যায় কিন্তু নাবীগণের ইন্তেকালের পর তাঁদের দেহ মোবারক জমিনের উপর ভক্ষণ ও গ্রাস করা হারাম করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং ইন্তেকাল করার পরেও সমস্ত নাবীগণের দেহ মোবারক দুনিয়াবী জীবনের ন্যায় সুরক্ষিত রয়েছে।
২,, সাধারণ ব্যক্তিদের ইন্তেকালের পর তাদেরকে বলা হবে মৃত বা মুর্দা কিন্তু কোন নাবীর ইন্তেকালের পর তাঁকে মৃত বা মুর্দা বলা ও ধারণা করা কোরআন ও হাদিস পরিপন্থী বরং তাঁকে জীবিত ও জিন্দা মান্য করা জরুরি।
৩,, সাধারণ ব্যক্তিদের ইন্তেকালের পর তাদের আত্মা তাদের দেহে থাকে না। কারণ তাদের দেহ মাটির সঙ্গে মিশে যায় এবং আত্মা থাকে তাদের আমল অনুপাতে বিভিন্ন স্থানে। পক্ষান্তরে নাবীগণের ইন্তেকালের পর তাঁদের আত্মা তাঁদের শরীরের মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সুতরাং তাঁদের আত্মা নিজ দেহ মোবারকেই উপস্থিত থাকে।
৪,, সাধারণ ব্যক্তিদের ইন্তেকালের পর তাদের আমল বন্ধ হয়ে যায় অর্থাৎ তারা নামাজ রোজা ইত্যাদি আমল করতে সক্ষম নন। পক্ষান্তরে নাবীগণের ইন্তেকালের পর তাঁদের আমলের ধারা বন্ধ হয়ে যায় না বরং তাঁরা ইন্তেকালের পরেও নামাজ ও হজ্ব ইত্যাদি আমল আদায় করেন।
✍️ মুফতী আমজাদ হুসাইন সিমনানী
🌎 দক্ষিণ দিনাজপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত🌎
Comments -