KeyOfIslam
Welcome To KeyOfIslam.com. KeyOfIslam is the platform to spread love and brotherhood among all people through the light of Prophet Mohammad(peace be upon him), the Final Messanger of Allah. Here you will get informations with precision.
Individual Articles
লাইলাতুল ক্বদর (শবে ক্বদর) এর ফজিলত
লাইলাতুল ক্বদর (শবে ক্বদর) এর ফজিলত ------------------------------------- মুফতী উমর ফারুক মিসবাহী ফারসি ভাষায় রাতকে শাব বলা হয় আর আরবী ভাষায় রাতকে লাইলাতুন বলা হয়। সেহেতু শাবে ক্বদর ও লাইলাতুল ক্বদরের অর্থ একটি ক্বদরের রাত। লাইলাতুল ক্বদরকে লাইলাতুল ক্বদর কেনো বলা হয়? قیل سمیت بذلک لان الارض تضیق باالملائکۃ فيها۔ ক্বদরের অনেক গুলি অর্থের মধ্যে একটি হলো সংকীর্ণতা। এই রাতে অগণিত ফেরেশতাগণ আকাশ থেকে পৃথিবীতে অবতরণ হওয়ার জন্য পৃথিবী সংকীর্ণ হয়ে যায়। সেই কারণে এটিকে "লাইলাতুল ক্বদর" বলা হয়। (তাফসীরে খাজিন, ৪:৩৯৫) ان اللّٰه تعالٰی یقض الا قضیة فی لیلة نصف شعبان و یسلمها الٰی اربابها فی لیلة القدر. ক্বদরের আর এক অর্থ ভাগ্য। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, আল্লাহ তায়ালা অর্ধশাবানের রাতে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেন এবং এই শবে ক্বদরের রাতেই আল্লাহ তায়ালা এক বছরের ভাগ্য ও ফয়সালা তাদের ওপর অর্পণ করেন। সেই কারণে' এটিকে "লাইলাতুল কদর" বলা হয়। (তাফসীরে কুরতুবী,২০:১৩০) انما سمیت بذلک لعظمها و قدرها و شرفها ইমাম যুহরি রমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন, ক্বদরের অর্থ হচ্ছে সম্মানও মর্যাদা। যেহেতুএই রাতটি সম্মান ও মর্যাদার দিক থেকে অন্য রাতগুলির থেকে বেশি সেই জন্য এই রাতকে লাইলাতুল ক্বদর বলা হয়। ( তাফসীরে কুরতুবি, 20: 130) قال ابو بکر الوراق: سمیت بذلک لأن من لم یکن له قدر و لا خطر یصیر فی هذه الیلة اذ قدر إذا احیاها. ইমাম আবু বকর আল-ওয়ারাক ক্বদর বলার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, যার সম্মানও মর্যাদা ছিলনা সে এই রাতে ইবাদত করে সম্মানীয় ও মর্যাদাবান হয়ে যায়। তাই এই রাতকে "লাইলাতুল ক্বদর" বলা হয়। (তাফসীরে কুরতুবি, ২০: ১৩১) ক্বদরের রাত বরকতময় হওয়ার কারণ ان رسول ﷲ صلی الله علیه وآله وسلم اری اعمار الناس قبله او ماشاء ﷲ من ذلک فکانه تقاصر اعمار امته عن ان لا یبلغوا من العمل‘ مثل الذی بلغ غیرهم فی طول العمر‘فاعطاہ لیلة القدر خیر من الف شهر۔ যখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পূর্ববর্তী উম্মতের বয়স সম্পর্কে অবহিত করা হলো তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উম্মতের বয়স তাদের থেকে কম দেখে বললেন, আমার উম্মতেরা এত কম বয়সে পূর্ববর্তী উম্মতের মত আমল কি ভাবে করতে পারবে? অতঃপর হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে লাইলাতুল ক্বদর দেওয়া হয়েছে যে রাত হাজার মাসের থেকেও উত্তম। (মুয়াত্তা ইমাম মালিক,1: 319) হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিস দ্বারাও এর সমর্থন পাওয়া যায় যে, বনী ইসরাঈলের এক ব্যক্তির কথা মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে উল্লেখ করা হয় যে আল্লাহর পথে এক হাজার মাস জিহাদ করেছিল। فعجب رسول ﷲ صلی الله علیه وآله وسلم لذلک و تمنی ذالک لامته فقال یا رب جعلت امتی أقصر الامم الاعمارا و أقلها أعمالا فاعطاه ﷲ تبارک و تعالیٰ لیلة القدر. তো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এতে বিস্ময় প্রকাশ করলেন এবং তাঁর উম্মতের জন্য কামনা করতে গিয়ে যখন দোয়া করলেন যে, হে আমার রব, আমার উম্মতের লোকদের বয়স কম হওয়ার কারণে নেক আমল কমে যাবে তখন আল্লাহ্ রব্বুল আলামীন এই লাইলাতুল ক্বদর দান করলেন। (তাফসীরে খাযিন, ৪:৩৯৭) উম্মতে মুহাম্মদীর বৈশিষ্ট্য লাইলাতুল ক্বদর মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উম্মতের একটি বৈশিষ্ট্য মাত্র। ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমাতুল্লাহ আলাইহি হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ان ﷲ وهب لامتی لیلة القدر لم یعطها من کان قبلهم আল্লাহ এই পবিত্র রাতটি শুধুমাত্র আমার উম্মতকেই দান করেছেন, পূর্ববর্তী উম্মতদের এই বরকতময় রাত দেওয়া হয়নি। (তাফসীরে দুররে মনসুর, 6:371) অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ আমার উম্মতকে শবে ক্বদর দান করেছেন,তোমাদের পূর্বে কোন উম্মতকে এ রাত দান করেননি। (ফিরদৌস বি-মাসুরিল খিতাব, খণ্ড:1 পৃ. 173 হাদিস 647 ) রমযানের কোন তারিখের রাত লাইলাতুল ক্বদরের রাত রমযানের ২৭ তম রাত হচ্ছে কদরের রাত। ইমাম কুরতুবী রহমতুল্লাহ আলাইহি বলেনঃ قد اختلف العلماء فی ذالک والذی علیه المعظم انها لیلة سبع و عشرین. ক্বদরের রাত নির্ধারণের ব্যাপারে আলেমদের মতভেদ আছে , তবে অধিকাংশের অভিমত হলো লাইলাতুল কদরের রাত হচ্ছে রমযান মাসের ২৭ তম রাত। (তাফসিরে কুরতুবি ২০: ১৩৪) এছাড়া ও দ্বীন ইসলামের অধিকাংশ উলেমায়ে কিরামগন ২৭ শে রমজানের রাতকে লাইলাতুল কদর বলে উল্লেখ করেছেন। আল্লামা আলুসী রহমতুল্লাহ আলাইহি লিখেছেন: و کثیر منهم ذهب الی انها اللیلة السابعة من تلک الاوتار অধিকাংশ আলেমদের অভিমত হল, এটি বিজোড় রাতের সাতাশতম রাত। (রুহুল মাআনী' 30: 220) সাহাবিয়ে রসূল হজরত উবাই বিন কা'ব আনহুর নিকট রমযানের ২৭ তম রাত হলো শবে ক্বদরের রাত। (মুসলিম শরীফ, নম্বর: 762) সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু ক্বদরের ২৭ তম রাতকে আখ্যায়িত করার সময় তিনটি যুক্তি বর্ণনা করতেন। যা ইমাম রাজী তার নিজের ভাষায় বর্ণনা করেছেন। انه قال لیلة القدر تسعة حروف وهو مذکور ثلاث مرات فتکون السابعة والعشرین. (১) লাইলাতুল কদর ( لیلۃ القدر ) শব্দে 9টি অক্ষর রয়েছে এবং এই শব্দটি সূরা ক্বদরে তিনবার উল্লেখ করা হয়েছে,তো 9টি অক্ষর যুক্ত শব্দ যদি তিনবার হয় তাহলে মোট 27টি অক্ষর হবে। (তাফসীরে কবির 23:30) .ان السورة ثلاثون کلمة و قوله (هی) هی السابعة و عشرون فيها. (2) সূরা ক্বদরে মোট 30টি শব্দ রয়েছে, যার মাধ্যমে ক্বদরের রাত সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে, তবে এই সূরায় যে শব্দটি দিয়ে এই রাতটির দিকে ইশারা করা হয়েছে তা হল বিশেষ্য (هى হিয়া) এর মাধ্যমে এবং এই শব্দটি হল 27 তম শব্দ। ان السورة ثلاثون کلمة و قوله (هی) هی السابعة و عشرون فيها. সূরা ক্বদরের মোট শব্দ ত্রিশটি (এবং এর মধ্যে)হিয়া শব্দটি সাতাশতম শব্দ। (তাফসীর কবীর' 32:30 তাফসীরে কুরতুবি' 10: 136) (3)সায়্যিদুনা ফারুক আযম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুকে ক্বদরের রাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন তো উত্তরে তিনি বললেন: احب الاعداد الی ﷲ تعالی الوتر واحب الوتر الیه السبعة فذکر السموت السبع والارضین السبع والاسبوع و عدد الطواف. আল্লাহ বিজোড় সংখ্যা পছন্দ করেন এবং বিজোড় সংখ্যার মধ্যেও সাত সংখ্যাটি পছন্দ করেন, কারণ আল্লাহ তাঁর কায়েনাত মহাবিশ্ব সৃষ্টিতে সাত সংখ্যাটি তুলে ধরেছেন, যেমন, সাত আসমান, সাত জমিন, সপ্তাহের দিন সাত,তাওয়াফ এর চক্র সাত ইত্যাদি। (তাফসীরে কবীর ৩২:৩০) শবে ক্বদরের ফজিলত: কুরাআন ও হাদিসের আলোকে পবিত্র কোরআনেপুরো একটি সূরা অবতীর্ণ হয়েছে শবে কদরের রাত সম্পর্কে। বঙ্গানুবাদ কাঞ্জুল ঈমান: নিশ্চয় আমি সেটা ক্বদরের রাতে অবতীর্ণ করেছি, এবং আপনি কি জানেন ক্বদর রাত্রি কি? ক্বদরের রাত হাজার মাস থেকে উত্তম। এতে    ফিরিশ্‌তাগণ  ও   জিবরাঈল   অবতীর্ণ   হয়ে  থাকে স্বীয় রবের আদেশে প্রত্যেক কাজের জন্য। ওটা - শান্তি- ভোর উদয় হওয়া পর্যন্ত। এই সূরা থেকে জানা যায় যে, শবে কদর একটি বরকতময় ও মহিমান্বিত রাত। × যা হাজার মাসের থেকে উত্তম। 🪴এই রাতে লওহে মাহফুজ থেকে প্রথম আসমানে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়। 🪴 এই রাতে ফেরেশতা ও জিব্রাইল আলাইহিস সালাম পৃথিবীতে অবতরণ করেন। 🪴 এই রাতে রহমত ও বরকত নাযিল হয় ভোর হওয়া পর্যন্ত। হাদীস: সায়্যিদুনা আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ من قام لیلة القدر ایماناً و احتساباً غفرله ما تقدم من ذنبه. যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় ক্বদরের রাতে ইবাদত করবে, তাঁর পূর্বের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। (বুখারী শরীফ,1,270) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এই বাণীতে যেখানে লাইলাতুল ক্বদর এর ইবাদত ও আনুগত্যের উপদেশ দেওয়া হয়েছে, সেখানে এটাও নির্দেশ করা হয়েছে যে, ইবাদত কেবলমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করতে হবে তবেই আল্লহর নিকট গ্রহণযোগ্য হবে অন্যথায় নয়। হাদীস: হজরত সায়্যিদুনা আনাস রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ একবার রমজানের আগমনে বললেন: ان هذا الشهر قد حضرکم و فیه لیلة خیر من الف شهر من حرمها فقد حرم الخیر کله ولا یحرم خیرها الا حرم الخیر তোমাদের উপর যে মাসটি এসেছে তাতে এমন একটি রাত রয়েছে যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। যে ব্যক্তি এই রাত হতে বঞ্চিত থাকলো সে যেন সমস্ত কল্যাণ হতে বঞ্চিত থাকলো আর এই রাতের কল্যাণ হতে সে বঞ্চিত থাকবে যে সত্যিই বঞ্চিত। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বর: 1644) যে ব্যক্তি অবহেলার কারণে এত বড় নেয়ামত থেকে দূরে থাকলো তার থেকে বঞ্চিত ব্যক্তি কে হতে পারে? হাদীস: হজরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, লাইলাতুল কদরের ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: اذا کان لیلة القدر نزل جبرائیل علیه السلام فی کبکة من الملئکة یصلون علی کل عبد قائم او قاعد یذکر ﷲ عزوجل কদরের রাতে, হজরত জিব্রাইল আমিন আলাইহিস সালাম ফেরেশতাদের একটি দলে পৃথিবীতে নেমে আসেন এবং যারা দাঁড়িয়ে বা বসে (অর্থাৎ যে কোনও অবস্থায়) আল্লাহকে স্মরণ করে তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। (শুয়াবুল ঈমান ৩:৩৪৩) হাদীস: অন্য রেওয়ায়েতে আরও বলা হয়েছে যে, হজরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাম এবং ফেরেশতারা এ রাতে ইবাদতকারীদের সঙ্গে মুসাফাহ করেন এবং ভোর পর্যন্ত তাদের প্রার্থনায় আমীন বলেন। (ফজাইলুল আওকাত লিল-বাইহাকি, খণ্ড ৩,পৃষ্ঠা: ৩৪৩) পতাকা নিয়ে ফেরেশতারা অবতরণ করেন হাদীস: হজরত সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন ক্বদরের রাত আসে তখন আল্লাহর নির্দেশে হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম ফেরেশতাদের একটি বিশাল বাহিনীর সাথে সবুজ পতাকা নিয়ে পৃথিবীতে আসেন এবং কাবা শরীফের উপর পতাকা উত্তোলন করে দেন। হযরত জিবরীল এঁর 100টি ডানা রয়েছে, যার মধ্যে তিনি দুটি ডানা ঐ রাতে খোলেন সেই বাহুগুলি পূর্ব ও পশ্চিমে বিস্তার হয়ে পড়ে, তখন হজরত জিবরীল আমীন নির্দেশ দেন। ফেরেশতাগণ যদি কোন মুসলমান এ রাতে জেগে ইবাদত, নামাজ, আল্লহর যিকর করে থাকে, তাকে সালাম দেবে এবং তাঁর সঙ্গে মুসাফাহ করবে, তাঁর প্রার্থনায় আমিন বলবে, ভোরে হজরত জিবরীল আমীন ফেরেশতাদেরকে( আসমানে ) ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। ফেরেশতারা জিজ্ঞেস করেন, হে জিব্রাইল আলাইহিস সালাম, আল্লাহ আপন প্রিয় হাবীবের উম্মতের মুমিনদের প্রার্থনা বা প্রয়োজনের ব্যাপারে কি করেছেন? হজরত জিবরীল বলেন, আল্লাহ রব্বুল আলামিন তাঁদের প্রতি বিশেষ ভালোবাসার দৃষ্টি দিয়েছেন এবং 4 প্রকার ব্যতীত অন্য সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! ঐ 4 প্রকারের লোক কোন ধরনের হয় ? তিনি বললেনঃ (1) মদ্যপানে আসক্ত ব্যক্তি (2) পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান (3) আত্মীয়-স্বজনের সাথে সম্পর্ক ছিন্নকারী (শরীয়তী কারণ ছাড়া) এবং (4) যে বিদ্বেষ হিংসা করে। ( শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নম্বর : ৩৬৯৫) শবে ক্বদরের আমল (১) হজরত আয়েশা সিদ্দীকা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন যে, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেসা করেছিলাম, ক্বদরের রাতে কী ওয়াযীফা পড়া উচিত? তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই শব্দগুলিকে পড়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন: اللهم انک عفو تحب العفو فاعف عنی. বাংলা উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন তুহিববুল আফওয়া ফা'ফু আন্নি। অর্থাৎ:- হে আল্লাহ, তুমিক্ষমাশীল এবং ক্ষমাকেই পছন্দ করো, তাই আমাকেও ক্ষমা করো। (মুসনাদে আহমাদ বিন হাম্বল ৬:১৭১-১৮২) (২) নফল নামাজের থেকে উত্তম যদি অতীত জীবনের কোন কাজা নামাজ বাকি থাকে সেগুলি পড়বেন। (৩) পবিত্র কুরআনের তিলাওয়াত করবেন। (৪) দরুদ শরীফ পাঠ করবেন। (৫) যিকির করবেন (৫) আলেমদের কাছে বসে কিছু শেখার সুযোগ হলে শিখবেন। (৬) বেশি বেশি করে আস্তাগফিরুল্লাহ রব্বি..... পড়বেন। (৭) দ্বীনের আলেম এঁর জিয়ারত করবেন। (৮) গরীব মিসকীনদেরকে সাহায্য করবেন। (৯) সালাতুস তাসবীহ ( নামাজ) পড়ার চেষ্টা করবেন। (১০) অন্তর থেকে ঐ রাতে তওবা করার চেষ্টা করবেন। (১১) যদি সামর্থ থাকে তো কিছু দান খয়রাত করার চেষ্টা করবেন।

Comments -

Most Read Articles